কলকাতা, 7 নভেম্বর: সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক৷ তৃণমূল কংগ্রেসে এটাই তাঁর পদ ৷ কিন্তু তিনিই তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তিনিই যে তৃণমূলের পরবর্তী কান্ডারি, তা লেখাই বাহুল্য ৷ তাই তাঁর জন্মদিনে শাসক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের আবেগের বিস্ফোরণ ঘটবে, সেটাই তো স্বাভাবিক ৷
হয়েছেও তাই৷ বৃহস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ভিড় জমেছিল কালীঘাটে ৷ সেখানে তাঁর বাড়ির সামনে সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা এসে ভিড় জমান ৷ তাঁদের কারও সঙ্গে ছিল বাজনা, কারও হাতে ছিল ফুলের তোড়া, কেউ বা নিয়ে এসেছিলেন আস্ত একখানা কেক ।
বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ে প্রতি রবিবার অমিতাভ বচ্চনের বাড়ির সামনে যে ভিড় দেখা যায়, কিংবা শাহরুখ-সলমনের জন্মদিনে তাঁদের বাড়ির সামনে যে ভিড় দেখা যায়, এদিনের ভিড় তার থেকে কোনও অংশে কম নয় ৷
ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে অমিতাভ-শাহরুখ-সলমনরা যেভাবে সকলকে ‘দর্শন’ দেন, অভিষেকও তার ব্যতিক্রম নন ৷ প্রতিবারই অনুগামীদের সামনে হাজির হয়ে কৃতজ্ঞতা ফিরিয়ে দেন ৷ এবারও দিয়েছেন ৷
যদিও তফাত একটা আগেও ছিল৷ এদিনও দেখা গিয়েছে ৷ অমিতাভ-শাহরুখ-সলমনরা কেউ ভক্তদের মাঝে মিশে যান না ৷ কিন্তু অভিষেক প্রতিবারই ঘাসফুলের নেতা-কর্মীদের মাঝে মিশে জন্মদিন পালন করেন ৷ এবারও তাই করলেন ৷
বিকেলে কালো টি-শার্ট ও কালো চশমায় হাজির হন জনতার মাঝখানে । দলীয় কর্মীদের সঙ্গে হাত মেলান, কারও সঙ্গে সেলফি তোলেন, কারও আনা কেক কেটে ‘সেলিব্রেশন’ করেন ৷
যদিও বুধবার রাত 12টা হতেই সোশাল মিডিয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা ৷ তবে সোশাল মিডিয়ায় অভিষেককে সবচেয়ে আগে সম্ভবত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ ৷ বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ তিনি সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে অভিষেককে শুভেচ্ছা জানান ৷ সঙ্গে জানান, সময়ের নিয়মে মমতার পরই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
এদিন সকাল হতেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের দীঘার্য়ু কামনা করে নানা মন্দিরে পুজোর আয়োজনও করা হয় । তার পর কালীঘাটের পটুয়াপাড়ায় অভিষেকের বাড়ির সামনে ভিড় জমতে শুরু করে ৷ সেখানে সাধারণ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক সাংসদ-বিধায়কও হাজির হয়েছিলেন ৷ অভিষেকও জনতার মাঝে হাজির হয়ে অনুগামীদের ভালোবাসার উত্তর ফিরিয়ে দিয়েছেন ৷