হরিপাল, 7 সেপ্টেম্বর: হরিপালের বিডিও অফিস কাছে অন্ধকার গলি থেকে অচৈতন্য অবস্থায় নাবালিকা উদ্ধার। ঘটনাটি হরিপালের বিডিও অফিস সংলগ্ন গোপীনগর এলাকার। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে খবর, সিঙ্গুর থেকে টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় হটাৎ করেই তাকে কে বা কারা চার চাকা গাড়িতে তুলে নেয় ৷ এরপর কি হয়েছে, তার আর মনে নেই ৷ এরপর তাকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় দেখে হরিপালের স্থানীয় মানুষ। খবর দেওয়া হয় হরিপাল থানার পুলিশকে ৷ পুলিশ গিয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে ৷ চিকিৎসা করার জন্য তাকে হরিপাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর পুলিশ ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়।
পরিবারের অভিযোগ, অপহরণ করে যৌন হয়রানি করা হয়েছে । এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পকসো মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ পরিবার সূত্রে খবর শুক্রবার রাত 8.20 নাগাদ টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার সময় 4 জন দুষ্কৃতী তাকে জোরপূর্বক একটি সাদা চার চাকার গাড়িতে তুলে হরিপাল থানা এলাকায় 18 নম্বর রুটের মহাদেব কোল্ড স্টোরেজের বিপরীতে একটি অন্ধকার জায়গায় নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীরা নাবালিকার হাত ধরে টেনে হিঁচড়ে মারতে থাকে ৷ তার জামা-কাপড় ছিঁড়ে যৌন হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ ৷
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন বলেন, "মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ এক মহিলা অফিসার এই তদন্ত করছেন ৷ তবে ধর্ষণের কোনও ঘটনা ঘটেনি ৷ যেটা জানা যাচ্ছে যৌন হয়রানি করা হয়েছে ৷ মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয় লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় ৷ অনুমান দুষ্কৃতীরা তাদের চার চাকার গাড়িতে করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় ৷ এরপর স্থানীয়রা মেয়েটিকে হরিপাল গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান ৷ এই অভিযোগের ভিত্তিতে, হরিপাল থানায় POCSO আইনে একটি মামলা রুজু হয় ৷ গাড়ি ও দোষীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷"
তবে কি কারণে বা কে ছাত্রীকে হরিপালে আনে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ দোষীদের শাস্তির দাবিতে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা ৷ হুগলি গ্রামীণ পুলিশের পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মামলা রুজু করা হয়েছে ৷ মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে ৷ সিঙ্গুর থেকে মেয়েটি কীভাবে হরিপালে এল ? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । এদিন সন্ধ্যায় নাবালিকাকে অন্ধকার গলির মধ্যে অচৈতন্য অবস্থায় পরে থাকতে দেখেন এলাকার মানুষ। তাঁদের দাবি, নাবালিকার নিম্নাঙ্গের পোশাক ঠিকঠাক ছিল না ৷ পাড়ার মহিলারা খবর পেয়ে তাকে পোশাক পরান এবং নাম-ঠিকানা জানার চেষ্টা করেন।
সিঙ্গুরের স্কুলের পাশেই এক গৃহ শিক্ষকের কাছে টিউশন পড়তে গিয়েছিল সে ৷ টিউশন শেষে নসিবপুরে বাড়ি ফেরার জন্য সিঙ্গুর স্টেশনে যায় ট্রেন ধরার জন্য ৷ এর পর আর বাড়ি ফেরেনি বলে দাবি পরিবারের ৷ তার পর থেকেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে পরিবারের লোকজন ৷ পরে হরিপাল এলাকা থেকে কেউ নাবালিকা ছাত্রীর বাড়িতে ফোন করে ঘটনার কথা জানালে, বাড়ির লোকজন হরিপাল হাসপাতালে আসে।