ETV Bharat / state

প্রথম সেমেস্টারে মেজর সাবজেক্টে ফেল 97 শতাংশ, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে দুর্নীতির 'গন্ধ' সুকান্তের - Gour Banga University

Gour Banga University Result: প্রকাশিত হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সেমেস্টারের ফল, যা দেখে আঁতকে উঠছেন শিক্ষা মহলের একাংশ ৷ মাত্র 3 শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন তাঁদের মূল বিষয়ে ৷ পড়ুয়াদের ভবিষ্য়ৎ নিয়ে চিন্তিত সকলে ৷

Gour Banga University
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফল (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 3, 2024, 7:28 PM IST

মালদা, 2 জুলাই: নয়া শিক্ষাব্যবস্থার সুফল নাকি কুফল ! গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির প্রথম সেমেস্টারের ফল প্রকাশের পর সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে ৷ প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, মোট সংখ্যার মাত্র 3 শতাংশ পড়ুয়া নিজেদের মূল বিষয়ে পাশ করেছেন ৷

তবে নয়া শিক্ষানীতির নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের 77 শতাংশ দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৷ কিন্তু এই ব্যবস্থায় শেষ সেমেস্টারের পড়াশোনার চাপ তাঁরা নিতে পারবেন কি না, তাতে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে ৷

মঙ্গলবার রাতে কলেজগুলির প্রথম সেমেস্টারের ফল ঘোষণা করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ যদিও এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ তাতেই দেখা যাচ্ছে, 97 শতাংশ পরীক্ষার্থী মূল বিষয়ে ফেল করেছেন ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই ফলাফল পর্যালোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে একটি রিভিজিট কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ ওই কমিটির রিপোর্ট পেলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে ৷ কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে, তাও জানা যাবে ৷ তার ভিত্তিতে আমরা আগামীতে সমস্ত ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব ৷"

এবার কলেজগুলিতে যাঁরা প্রথম সেমেস্টার পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা 2020 সালের মাধ্যমিক ব্যাচ ৷ সেবার করোনার জন্য বাড়িতে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ৷ করোনা আবহে দিয়েছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও ৷ শিক্ষা মহলের বক্তব্য, কলেজের প্রথম পরীক্ষায় তারই প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে ৷ এই অবস্থায় নয়া শিক্ষানীতির ফাঁক দিয়ে দ্বিতীয় সেমেস্টারে চলে গেলেও, এই পড়ুয়ারা ভবিষ্যতে আরও সমস্যায় পড়তে চলেছেন ৷

মূল বিষয়ে তাঁরা ফেল করলেও বাকি দু'টি প্রধান বিষয়ের যে কোনও একটিতে উত্তীর্ণ হওয়ায়, তাঁরা দ্বিতীয় সেমেস্টারে চলে গিয়েছেন ৷ সেখানে এবার আরও দু'টি নতুন বিষয় তাঁদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হবে ৷ অর্থাৎ এবার তাঁদের মোট পাঁচটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে ৷ শেষ সেমেস্টারে গিয়ে পড়াশোনার চাপ ধরে রাখার ক্ষমতা তাঁদের অনেকেরই থাকবে না বলে দাবি শিক্ষা মহলের একাংশের ৷

এদিকে প্রকাশিত ফলাফলের বিরোধিতা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মালদা জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, "এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত ৷ আমরা এই ফল প্রত্যাহার করে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানাচ্ছি ৷ প্রয়োজনে এই নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব ৷" অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্র জড়িয়ে থাকার গন্ধ পাচ্ছেন ৷

তিনি বলেন, "তৃণমূলের আমলে রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ছেলেমেয়েদের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ৷ এর পিছনে একটি চক্রও কাজ করছে বলে আমরা জানতে পারছি ৷ প্রথমে ফেল করিয়ে পরে টাকা পয়সা দিয়ে পাশ করানোই চক্রের কাজ ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে বলেও আমাদের কাছে খবর আছে ৷"

মালদা, 2 জুলাই: নয়া শিক্ষাব্যবস্থার সুফল নাকি কুফল ! গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলির প্রথম সেমেস্টারের ফল প্রকাশের পর সেই প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে ৷ প্রকাশিত ফলে দেখা যাচ্ছে, মোট সংখ্যার মাত্র 3 শতাংশ পড়ুয়া নিজেদের মূল বিষয়ে পাশ করেছেন ৷

তবে নয়া শিক্ষানীতির নিয়ম অনুযায়ী, পড়ুয়াদের 77 শতাংশ দ্বিতীয় ধাপে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৷ কিন্তু এই ব্যবস্থায় শেষ সেমেস্টারের পড়াশোনার চাপ তাঁরা নিতে পারবেন কি না, তাতে সন্দেহ প্রকাশ করছেন অনেকে ৷

মঙ্গলবার রাতে কলেজগুলির প্রথম সেমেস্টারের ফল ঘোষণা করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ৷ যদিও এই প্রথম পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ্যে আনা হয়নি ৷ তাতেই দেখা যাচ্ছে, 97 শতাংশ পরীক্ষার্থী মূল বিষয়ে ফেল করেছেন ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এই ফলাফল পর্যালোচনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে একটি রিভিজিট কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ ওই কমিটির রিপোর্ট পেলে গোটা বিষয়টি পরিষ্কার হবে ৷ কোথায় কী ঘাটতি রয়েছে, তাও জানা যাবে ৷ তার ভিত্তিতে আমরা আগামীতে সমস্ত ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব ৷"

এবার কলেজগুলিতে যাঁরা প্রথম সেমেস্টার পরীক্ষা দিয়েছেন তাঁরা 2020 সালের মাধ্যমিক ব্যাচ ৷ সেবার করোনার জন্য বাড়িতে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে হয়েছিল ৷ করোনা আবহে দিয়েছিলেন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষাও ৷ শিক্ষা মহলের বক্তব্য, কলেজের প্রথম পরীক্ষায় তারই প্রভাব লক্ষ করা যাচ্ছে ৷ এই অবস্থায় নয়া শিক্ষানীতির ফাঁক দিয়ে দ্বিতীয় সেমেস্টারে চলে গেলেও, এই পড়ুয়ারা ভবিষ্যতে আরও সমস্যায় পড়তে চলেছেন ৷

মূল বিষয়ে তাঁরা ফেল করলেও বাকি দু'টি প্রধান বিষয়ের যে কোনও একটিতে উত্তীর্ণ হওয়ায়, তাঁরা দ্বিতীয় সেমেস্টারে চলে গিয়েছেন ৷ সেখানে এবার আরও দু'টি নতুন বিষয় তাঁদের পাঠ্যক্রমে যুক্ত হবে ৷ অর্থাৎ এবার তাঁদের মোট পাঁচটি বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করতে হবে ৷ শেষ সেমেস্টারে গিয়ে পড়াশোনার চাপ ধরে রাখার ক্ষমতা তাঁদের অনেকেরই থাকবে না বলে দাবি শিক্ষা মহলের একাংশের ৷

এদিকে প্রকাশিত ফলাফলের বিরোধিতা করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মালদা জেলা সভাপতি প্রসূন রায় বলেন, "এই ফলাফল অপ্রত্যাশিত ৷ আমরা এই ফল প্রত্যাহার করে পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানাচ্ছি ৷ প্রয়োজনে এই নিয়ে আমরা আন্দোলনে নামব ৷" অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তথা কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার এই ঘটনার পিছনে কোনও চক্র জড়িয়ে থাকার গন্ধ পাচ্ছেন ৷

তিনি বলেন, "তৃণমূলের আমলে রাজ্যের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই ছেলেমেয়েদের অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে ৷ এর পিছনে একটি চক্রও কাজ করছে বলে আমরা জানতে পারছি ৷ প্রথমে ফেল করিয়ে পরে টাকা পয়সা দিয়ে পাশ করানোই চক্রের কাজ ৷ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মাধ্যমে এই কাজ করা হচ্ছে বলেও আমাদের কাছে খবর আছে ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.