কলকাতা, 7 অক্টোবর: সরকার কথা রাখেনি। এই অভিযোগে ধর্মতলায় আমরণ অনশন করছেন জুনিয়ার ডাক্তাররা। তাঁদের দাবির মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল হাসাপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। এ বিষয়ে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ জানান, , 90 শতাংশ কাজ 10 অক্টোবরের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি জানান, হাসপাতালের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়ে যে কাজ সরকার করবে বলে কথা দিয়েছিল তার বেশিরভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যসচিব এদিন তথ্য দিয়ে জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই হাসপাতালগুলিতে কনস্ট্রাকশনের কাজ 62 শতাংশ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়া উচিত বলেই মনে করছে সরকার ৷
নবান্নে মুখ্যসচিব বলেন, "শৌচালয় তৈরির কাজ হয়েছে 65 শতাংশ। আলোর কাজ হয়েছে 61 শতাংশ। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরুর সময় একটা সমস্যা দেখা গিয়েছিল। একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক সিসিটিভি পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছিল ৷ আপাতত সেই সমস্যাও মিটে গিয়েছে। এই মুহূর্তে সাপ্লাইয়ের কোনও ঘাটতি নেই।"
এদিন মুখ্য সচিব স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, 90 শতাংশ কাজ 10 অক্টোবরের মধ্যেই সম্পন্ন হয়ে যাবে। যেহেতু এর মধ্যে পুজো রয়েছে, সেক্ষেত্রে আশা করা হচ্ছে 15 তারিখের মধ্যে সবটাই ব্যবহারযোগ্য হয়ে যাবে। মুখ্যসচিব এও বলেন, "শুরুর দিকে কাজের গতি কিছুটা শ্লথ থাকলেও, ধীরে ধীরে সবটাই হচ্ছে। চিকিৎসকদের কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা কাজে যোগ দিন ৷ সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিন ৷"
প্রসঙ্গত, এদিন হাসপাতাল সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মেডিক্য়াল কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যসচিব। তারপরই তিনি একাধিক বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ৷ এদিন নবান্নের বৈঠকে বিভিন্ন হাসপাতালে কতগুলি বেড রয়েছে, তার সংখ্যা এবং রেফারেন্স সিস্টেম নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়ে একটা সিস্টেম তৈরি হয়েছে বলেও খবর।
তার জন্য 15 তারিখ থেকে কলকাতায় একটা পাইলট প্রজেক্ট শুরু হচ্ছে। সেটাই নভেম্বরের এক তারিখ থেকে পরিবর্তন এবং পরিমার্জন করে গোটা রাজ্যে চালু হবে। একই সঙ্গে হাসপাতালের কতগুলি বেড রয়েছে তা ওয়েবসাইটে এই মুহূর্তে উল্লেখ করা থাকে, সেই বিষয়টি নিয়েও পর্যালোচনা চলছে বলে খবর। একইভাবে প্যানিক বটন তৈরি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান মুখ্যসচিব। মোটের উপর এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী 1 নভেম্বর থেকে নিরাপত্তা জনিত যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া হয়েছিল তা 100 শতাংশই তৈরি হয়ে যাবে।