কলকাতা, 7 ডিসেম্বর: তাহলে কি মিটতে চলেছে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত ? কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বা সুপারিশ করা নামেই সিলমোহর দিল রাজভবন। স্থায়ী উপাচার্য পেলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের আরও 6টি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য হলেন নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য হলেন শংকর কুমার নাথ। কল্লোল পাল হলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য। বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন রূপকুমার বর্মণ৷ রানী রাসমণি গ্রিন বিশ্ববিদ্যালয এবং সিধু কানু বিরসা বিশ্ববিদ্যালযের উপাচার্য হলেন অমিয় কুমার পান্ডা এবং পবিত্র কুমার চক্রবর্তী।
উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়াই রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অন্তর্বর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোস । এরপরই এই বিষয়টি নিয়ে সংঘাত লেগেছিল রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের মধ্যে, যার জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত । তার পরেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে কড়া নির্দেশ আসে রাজভবনে । বিচারপতি সূর্যকান্ত ও বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়ার নির্দেশ, উপাচার্যদের নাম বাছাই করে তালিকা তৈরি করবে নির্দিষ্ট কমিটি। সেই মতো মুখ্যমন্ত্রীর তরফে বেশ কটি নাম পাঠানো হয়েছিল রাজভবনে। দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়েছিল যদি কোনও উপাচার্যের নাম নিয়ে সমস্যা থাকে, তবে বৈঠকে বসে তার সমাধান করবে রাজ্য ও রাজ্যপাল।
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু নিজের এক্স হ্যান্ডেল এ লিখেছেন, "পশ্চিমবঙ্গের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে উপাচার্য নিয়োগ শুরু হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেছে মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট। সার্চ কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বিচারপতি ললিতকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই যিনি উপাচার্য পদের জন্য নামের একটি প্যানেল সুপারিশ করেছেন। আন্তরিক ধন্যবাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, যিনি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে এই তালিকায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আচার্যকেও যিনি উপাচার্যদের নাম সুপারিশ করেছেন।"