কলকাতা, 9 ডিসেম্বর: আগেই চিঠি দিয়েছিলেন । এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন নদিয়ার পাঁচ বিধায়ক । সূত্রের খবর, এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই এই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নয় । যখন জেলাওয়ারি বৈঠক হবে, তখনই এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।
এদিন বিধানসভায় পূর্ব মেদিনীপুরের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকের পর অন্যান্য বিধায়কদের সাক্ষাতের জন্য ডাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সে সময়ই নদিয়ার পাঁচ বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি দেখা করে সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন । জানা গিয়েছে, বিধায়কদের এই অভিযোগ নিয়ে জেলাওয়ারি বৈঠকে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী । ফলে একরকম এটা পরিষ্কার যে, এখনই মহুয়াকে নিয়ে দল কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না ।
এদিন যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে গিয়ে মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে সরাসরি অভিযোগ জানালেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন চোপড়ার বিধায়ক রুকবানুর রহমান, নাকাশিপাড়ার বিধায়ক কল্লোল খাঁ, পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য, কৃষ্ণনগর দক্ষিণের বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস এবং কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ । বৈঠকের পর তাঁদের এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কেউ অবশ্য বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি ।
প্রসঙ্গত, শেষ রদবদলের সময় মহুয়াকে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি করেন দলনেত্রী । এই অবস্থায় আগেই এই বিধায়কদের অভিযোগ ছিল, সম্প্রতি 178 জন বুথ সভাপতি এবং 17 জন অঞ্চল সভাপতিকে বদল করেছেন মহুয়া । কিন্তু তা নিয়ে বিধায়কদের কিছু জানাননি তিনি ৷ চেয়ারম্যানদেরও কিছু জানাননি বলে অভিযোগ । বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদেরই বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে । বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের দাবি, এর ফলে সাংগঠনিক জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দল । এই অবস্থায় দলনেত্রীর এ ধরনের বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ । জেলাওয়ারী বৈঠকে আদেও কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কি না সেটাই দেখার ।