রঘুনাথগঞ্জ, 12 জুলাই: টোটোর পিছনে পণ্য়বাহী লরির ধাক্কা ৷ ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধ দম্পতি-সহ টোটো চালকের। শুক্রবার মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটেছে 34 নম্বর জাতীয় সড়কের উপর রঘুনাথগঞ্জ থানার মঙ্গলজোন এলাকায়। লরির ধাক্কায় কার্যত দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে টোটোটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধ দম্পতির ৷ মৃতরা হলেন চণ্ডী হালদার(75) ও পুষ্প হালদার(71)। বাড়ি সুতি থানার আলোয়ানি বংশবাটি ৷
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় টোটো চালককে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ সেখানেই মৃত্যু হয় নীলচাঁদ হালদারের(42)। তিনি ওই গ্রামেরই টোটো চালক। ঘাতক লরিটি আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার জেরে জাতীয় সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
মৃত বৃদ্ধ দম্পতির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অসুস্থ মেয়েকে দেখতে হালদার দম্পতি রঘুনাথগঞ্জের সাইদাবাদ যাচ্ছিলেন। গ্রামের এক টোটো চালকের টোটো ভাড়া করে সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। জাতীয় সড়কে যাওয়ার পথে মঙ্গলজোন এলাকায় একটি পণ্যবোঝাই লরি টোটোটিকে ওভারটেক করতে যায় ৷ সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে টোটোর পিছনে ধাক্কা মারে ৷ দুমড়ে-মুচড়ে যায় টোটোটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা ছুটে এসে তিনজনকে গাড়ির তলা থেকে উদ্ধার করে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে ৷
বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নিয়ে টানাপোড়েনের মাঝে মহিলাকে জানালা দিয়ে গুলি
পুলিশ এসে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে ৷ প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসকরা দম্পতিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় টোটোচালক নীলচাঁদ হালদারকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে । নীলচাঁদ হালদারের স্ত্রী কদম হালদার জানান, মাসদু'য়েক আগে বোনের স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকে লোন নিয়ে টোটো কিনেছিলেন। এবার ছোট দুই মেয়েকে নিয়ে কী করব কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। প্রত্যক্ষদর্শী কৃষ্ণ দাস বলেন, "চোখের সামনে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা দেখে ছুটে যাই। উদ্ধারের পর বেঁচে ছিলেন টোটোচালক। অ্যাম্বুলেন্স দাঁড় করিয়ে তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।"
নিজের ঘরে প্রোমোটারের গলা কাটা দেহ মিলল শহরে, পাশে পড়ে রক্তমাখা চপার