আসানসোল, 1 অগস্ট: বিহারের গয়ার শেরঘাঁটি আদালতে গুলি চালানোর ঘটনায় বরাকর থেকে গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতী ৷ ধৃতদের আসানসোল সিজিএম আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
প্রসঙ্গত, গত 24 জুলাই গয়ার আদালতে ফোটু খান নামে এক অভিযুক্তকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি চালানো হয়। বিহারের এক নেতাকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফোটু ৷ এই ঘটনায় ফোটু খানের পাশাপাশি এক পুলিশকর্মীও আহত হন বলে খবর। এরপর গুলির লড়াই শুরু হয় দুস্কৃতী ও পুলিশের মধ্যে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতারও করে ৷ বাকিরা অবশ্য পালিয়ে যায় ৷ এর মধ্যেই তিন দুষ্কৃতী আসানসলের কুলটির বরাকরের এক ধর্মশালায় আশ্রয় নিয়েছিল ৷ কুলটি থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সেই তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মেহেদি হাসান, সিরাজ সিদ্দিকি ও ইদানি খান। ধৃতদের আসানসোল সিজিএম আদালতে তোলা হলে তাদের চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
জানা গিয়েছে, বিহারে গত বছর সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি সদস্য আনোয়ার আলি খান খুন হয়েছিলেন। সেই খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ফোটু খান বর্তমানে গয়া পুলিশের হেফাজতে। সেই ফোটু খানকে গয়ার শেরঘাঁটি আদালতে শুনানির জন্য নিয়ে গিয়েছিল গয়া পুলিশ। কিন্তু আদালত চত্বরেই ফোটু খানের উপর হামলা হয়। এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়া হয় তাকে লক্ষ্য করে। ঘটনায় ফোটু খানের শরীরে দুটি গুলি লাগে ৷ এক পুলিশ কর্মীও আহত হন। যদিও বর্তমানে দু'জনেই স্থিতিশীল বলে বিহার পুলিশ সূত্রে খবর। আদালত চত্বরে সেই গুলিকাণ্ডে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুলিশ প্রায় ফিল্মি কায়দায় দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করলেও বাকি আরও বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায় বলে খবর।
এরপর বুধবার রাতে কুলটির বরাকরে একটি ধর্মশালা থেকে তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে কুলটি থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি এই তিনজনই শেরঘাঁটি আদালতে গুলিকাণ্ডে জড়িত। তিনজনই বিহারের কুখ্যাত সার্প শুটার বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এই তিন দুষ্কৃতীকে বৃহস্পতিবার আসানসোল সিজিএম আদালতে তোলা হয়। সাম্প্রতিককালে আসানসোল এলাকায় ডাকাতি এবং খুনের ঘটনায় এই শুটাররা জড়িত কি না, কিংবা শেরঘাঁটি আদালতের গুলিকাণ্ডে আর কোনও অপরাধী আসানসোল-সহ অন্যান্য অঞ্চলে ঘাপটি মেরে বসে আছে কি না, তা জানতে এই দুষ্কৃতীদের জেরা করবে কুলটি থানার পুলিশ।