কলকাতা, 22 অগস্ট: খুচরো চুরি জোচ্চুরির ঘটনায় যেমন এফআইয়ার দায়ের হয়, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধেও একইরকম ভাবে দায়ের হয়েছে একের পর এক এফআইয়ার। এই সমস্ত এফআইয়ার দায়ের করা হয়েছে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে। 26টি এফআইয়ার খারিজের আবেদন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের বেঞ্চে এই মামলার ফের শুনানি হবে আগামী শুক্রবার।
এদিন বিরোধী দলনেতার তরফে আইনজীবী পরনজিৎ সিং পাটোয়ালিয়া বলেন, খুচরো চুরি বা জোচ্চুরির বিষয় আলাদা । কিন্তু, সেই রকম ভাবেই এফআইয়ার দায়ের করা হয়েছে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই সমস্ত এফআইয়ার দায়ের হয়েছে। কয়েকমাস আগে 1 মাসের মধ্যে নন্দীগ্রাম থানায় বিজেপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট প্রায় 47টি এফআইয়ার দায়ের হয়েছিল । নন্দীগ্রামে থানায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে 35 দিনে 47টি এফআইআরের সেই মামলায় সমস্ত তদন্তের উপর স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। একজন ব্যাক্তিই বেশিরভাগ এফআইয়ার দায়ের করেছিল।
19 ডিসেম্বর 2020 শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান করেন। তারপর থেকে তার বিরুদ্ধে এফআইয়ার করা শুরু হয়। 2021 সালে বিধানসভা নির্বাচনের সময় এটা আরও বাড়ে। ওই নির্বাচনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রাম কেন্দ্র থেকে শুভেন্দু পরাজিত করেন 2021 সালে। শুভেন্দু অধিকারীর সহযোগী ছিলেন এরা বলা হয়। যদিও হাইকোর্টে তাঁরা রক্ষা পায়।
মুকুল রায় দল বদলের পর একইরকম ভাবে তাঁর বিরুদ্ধেও 10-12টা এফআইয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে দায়ের করা হয়। বেশিরভাগ অভিযোগ একইরকম ছিল। কলকাতা হাইকোর্ট সমস্ত মামলা খারিজ করে। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগও প্রায় একই রকম।
2022 সালের 8 ডিসেম্বর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া 26টি এফআইআরের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা এই মামলায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইয়ার করার আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হলে সেখানেও মুখ পুড়েছিল রাজ্যের। শীর্ষ আদালত মামলাগুলি হাইকোর্টেই ফেরত পাঠায় এবং হাইকোর্টকেই মামলার নিস্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিল।