জলপাইগুড়ি, 16 জুলাই: চা-বাগানে নাবালিকাকে গণধর্ষণে অভিযুক্ত 2 জন সাবালককে রিমান্ডে নিল মেটেলি থানার পুলিশ । অন্যদিকে, একজন সাবালককে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ ধৃত আরও চারজন নাবালককে হোমে পাঠিয়েছে জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড ।
মেটেলি থানার অন্তর্গত একটি চা-বাগানে নিয়ে গিয়ে বন্ধুর নাবালিকা প্রেমিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে সাতজনের বিরুদ্ধে ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে নির্যাতিতার প্রেমিকও রয়েছে ৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নেমে চারজন নাবালক-সহ সাতজনকে গ্রেফতার করে । ধর্ষণে অভিযুক্ত ধৃত সাতজনের মধ্যে চারজন নাবালককে মেটেলি থানার পুলিশ আজ জলপাইগুড়ি জুভেনাইল আদালতে তোলে এবং তিনজনকে মালবাজার মহকুমার পক্সো আদালতে তোলা হয় ।
আজ মালবাজারে পক্সো আদালত সাবালক তিন অভিযুক্তের মধ্যে একজনকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷ আর দু'জনকে পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ বাকি চারজন নাবালককে সরকারি হোমে পাঠানো হয়েছে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে ঘটনাটি ঘটেছে ৷ ছ’জন ডুয়ার্সের মেটেলি থানা এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে ৷ তার পর তারা বন্ধু ও বন্ধুর নাবালিকা প্রেমিকাকে নিয়ে চা-বাগানে যায় ৷ সেখানে প্রেমিক ও তার বন্ধুরা মেয়েটিকে গণধর্ধষণ করে বলে অভিযোগ ৷ সেই সময় তারা ভিডিয়ো রেকর্ডও করে ৷ গত রবিবার সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যায় ৷ এই ঘটনার তদন্তে নেমে গতকাল রাতে জেলা পুলিশ জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় অভিযান চালিয়ে সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ।
মালবাজার আদালতের সরকারি আইনজীবী অপুর্ব ঘোষ বলেন, মেটেলি থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে মেটেলি থানার পুলিশ মালবাজার আদালতে তিনজনকে তোলে । দুইজনকে রিমান্ডে দেন আদালত । একজনকে 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।
জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত জানান, "মেটেলি থানা এলাকায় একটি ঘটনা ঘটেছিল । বন্ধুর বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল এক নাবালিকা ৷ এরপর তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ । একটা ভিডিয়োও ভাইরাল হয় । আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্তে নামি । সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।"