ETV Bharat / state

ভয় কাটিয়ে ভোটারদের বুথমুখী করতে নতুন পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের - Election Commission

Central Force in Bengal ahead of Lok Sabha Elections: নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ তারা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট পাঠাবে ৷ সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে ভোটারদের ভয়হীন ভাবে ভোট দেওয়াতেও সাহায্য করবে ৷

ETV Bharat
রাজ্যে নির্বাচন কমিশন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 2, 2024, 9:51 AM IST

কলকাতা, 2 মার্চ: আইনশৃঙ্খলা রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিবর্তন করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ ৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে এসেছে 100 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ কয়েকটি এলাকার মানুষের মধ্যে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধির কাজ করবে 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ তবে এবার এই 150 কোম্পানির দায়িত্বের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা রদবদল হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে ৷ বলাই যায়, নির্বাচনের আগে এরাই হবে কমিশনের চোখ ও কান ৷

সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, সন্দেশখালিতে মহিলারা তাঁকে জানিয়েছিলেন, ভোটের সময় তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হয় না ৷ কখনও ভয় দেখিয়ে, কোনও অত্যাচার করে ভোটের দিন তাঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয় না ৷ কমিশন সূত্রে এও জানা গিয়েছে, প্রতি জেলার এসপিদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ভোটের সময় এই চিত্র শুধু সন্দেশখালিরই নয়, বরং রাজ্যের আরও একাধিক জায়গায় এমনটা হয় ৷

গত বিধানসভা এবং তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সবদিক থেকে ভয়মুক্ত এবং একশো শতাংশ স্বচ্ছ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন ৷ তাই এই অভিযোগের ভিত্তিতে একেবারে শেষ বেলায় বড়সড় রদবদল করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনায় ৷ 7 মার্চের মধ্যে রাজ্যে পুরো 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

রুট মার্চের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোথায় কতগুলি স্পর্শকাতর এবং সংঘর্ষ প্রবণ জায়গা রয়েছে, সেইগুলি চিহ্নিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ এলাকাগুলি ঘুরে স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে কমিশনকে ৷ কমিশনকে এলাকা ভিত্তিক পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পাঠাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তাই প্রথম দেড়শো কোম্পানিকে 'মাদার কোম্পানি' বলা হচ্ছে ৷

ভোটের মুখে বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তাঁদের অঞ্চল চেনাতে সাহায্য করবে এই কোম্পানি। শুধু তাই নয় এদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে তাও ঠিক করা হবে ৷ অন্যদিকে নির্বাচনের দিন দু'টি ভাগে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ এক ভাগ ভোটকেন্দ্রের সামনে এবং ভোটকেন্দ্রের ভিতরে থাকবে ৷ আরেক দল ভোটারদের নিরাপদে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসা এবং তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশন, পুলিশে বড়সড় বদলি করল নবান্ন
  2. বুধে চারটি জেলাকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন
  3. কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ স্কুল, ক্ষুদ্ধ পর্ষদ ! সিলেবাস শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন

কলকাতা, 2 মার্চ: আইনশৃঙ্খলা রিপোর্টের ভিত্তিতে পরিবর্তন করা হল কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ ৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে ৷ ইতিমধ্যে রাজ্যে এসেছে 100 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ কয়েকটি এলাকার মানুষের মধ্যে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধির কাজ করবে 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ তবে এবার এই 150 কোম্পানির দায়িত্বের ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা রদবদল হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে ৷ বলাই যায়, নির্বাচনের আগে এরাই হবে কমিশনের চোখ ও কান ৷

সম্প্রতি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, সন্দেশখালিতে মহিলারা তাঁকে জানিয়েছিলেন, ভোটের সময় তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হয় না ৷ কখনও ভয় দেখিয়ে, কোনও অত্যাচার করে ভোটের দিন তাঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হয় না ৷ কমিশন সূত্রে এও জানা গিয়েছে, প্রতি জেলার এসপিদের থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ভোটের সময় এই চিত্র শুধু সন্দেশখালিরই নয়, বরং রাজ্যের আরও একাধিক জায়গায় এমনটা হয় ৷

গত বিধানসভা এবং তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সবদিক থেকে ভয়মুক্ত এবং একশো শতাংশ স্বচ্ছ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন ৷ তাই এই অভিযোগের ভিত্তিতে একেবারে শেষ বেলায় বড়সড় রদবদল করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনায় ৷ 7 মার্চের মধ্যে রাজ্যে পুরো 150 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে ৷

রুট মার্চের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আস্থা ও মনোবল বৃদ্ধির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট এলাকায় কোথায় কতগুলি স্পর্শকাতর এবং সংঘর্ষ প্রবণ জায়গা রয়েছে, সেইগুলি চিহ্নিত করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ এলাকাগুলি ঘুরে স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর বুথ ও এলাকা চিহ্নিত করতে সাহায্য করবে কমিশনকে ৷ কমিশনকে এলাকা ভিত্তিক পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পাঠাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে তাই প্রথম দেড়শো কোম্পানিকে 'মাদার কোম্পানি' বলা হচ্ছে ৷

ভোটের মুখে বাকি কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে তাঁদের অঞ্চল চেনাতে সাহায্য করবে এই কোম্পানি। শুধু তাই নয় এদের পাঠানো রিপোর্টের ভিত্তিতে কোথায় কত কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হবে তাও ঠিক করা হবে ৷ অন্যদিকে নির্বাচনের দিন দু'টি ভাগে কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ এক ভাগ ভোটকেন্দ্রের সামনে এবং ভোটকেন্দ্রের ভিতরে থাকবে ৷ আরেক দল ভোটারদের নিরাপদে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে আসা এবং তাঁদের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে ৷

আরও পড়ুন:

  1. রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশন, পুলিশে বড়সড় বদলি করল নবান্ন
  2. বুধে চারটি জেলাকে নিয়ে বিশেষ বৈঠকে জাতীয় নির্বাচন কমিশন
  3. কেন্দ্রীয় বাহিনী আসায় বন্ধ স্কুল, ক্ষুদ্ধ পর্ষদ ! সিলেবাস শেষ করা নিয়ে প্রশ্ন
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.