জামালপুর, 7 ডিসেম্বর: যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষে আহত হয়েছেন 14 জন। যার মধ্যে একজন শিশুও আছে ৷ তিন জনের অবস্থা গুরুতর ৷ শনিবার দুপুর নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রাম জামালপুরের পর্বত এলাকায় ৷ সংঘর্ষের আওয়াজ শুনে ছুটে আসেন স্থানীয়রা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জামালপুর থানার পুলিশ ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুর নাগাদ জৌগ্রাম থেকে একটা যাত্রীবাহী বাস জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল ৷ পর্বতপুর এলাকায় একটি বাঁকে টার্ন নেওয়ার সময় উলটো দিক থেকে একটা লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বাসে যাত্রী ভর্তি ছিল। ঘটনায় 14 জন যাত্রী আহত হন। আহতদের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় ৷
এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সংঘর্ষের প্রচন্ড আওয়াজে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন। তাঁরা উদ্ধারকার্যে হাত লাগান ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জামালপুর থানার পুলিশ। যাত্রীদের অভিযোগ, প্রচণ্ড গতিতে বাসটা যাচ্ছিল ৷ এমনকি বাঁকে টার্ন নেওয়ার সময়েও বাসের গতি বেশি ছিল। সেই কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৷ আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি।
জামালপুরের বিধায়ক অলোক মাঝি বলেন, 'একটা বাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষ হয়। বাসে 14 জন যাত্রী আহত হন। আহতদের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয় ৷ এদের মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৷"
আহত যাত্রী সৌমেন চ্যাটার্জি বলেন, 'আমরা জৌগ্রাম থেকে বাসে চেপে ছিলাম ৷ বাসটি প্রায় 80 কিলোমিটার বেগে চলছিল ৷ বাসটি জামালপুরের দিকে আসছিল ৷ পর্বতপুর মোড়ে টার্ন নেওয়ার সময়েও বাসের গতি বেশি ছিল। এদিকে উল্টো দিক থেকে যে লরিটা টার্ন নিচ্ছিল, সেই লরির ড্রাইভার হর্ন দেয়নি। ফলে বাসের সঙ্গে লরির সংঘর্ষ হয়। কিন্তু লরির গতি সেভাবে ছিল না। ফলে দুর্ঘটনা ঘটলেও অল্পের জন্য সকলেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন।'
দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন রুমা চট্টোপাধ্যায় নামে এক বাস যাত্রী । তাঁর মুখে আঘাত লাগে। হাসপাতালের বেডে বসে তিনি বলেন, "বাসটা হর্ন দিতে দিতে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিল ৷ একটা বাঁকে টার্ন নেওয়ার সময় লরির সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে। বাসে সব সিটই ভর্তি ছিল। আমি বাসে সামনের দিকেই ছিলাম। আমার মুখের সামনে চোট লেগে কেটে যায়। ঘাড়েও অল্প আঘাত লেগেছে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছি।"