পাথরপ্রতিমা, 15 সেপ্টেম্বর: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার সময় বাংলাদেশী ট্রলার দুর্ঘটনার কবলে পড়ল। বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার সময় উত্তাল সমুদ্রে উল্টে যায় বাংলাদেশি ট্রলার। এরপর বাংলাদেশী মৎস্যজীবীরা কোনও রকমে ভাসতে ভাসতে ভারতীয় জল-সীমানার মধ্যে প্রবেশ করে। বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের বাঁচাতে মৃত্যু-ভয় উপেক্ষা করে এগিয়ে আসেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা। তৎপরপতার সঙ্গে ওই 12 বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেন ভারতীয় মৎস্যজীবীরা।
জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এফবি পারমিতা 5 নামের একটি ভারতীয় ট্রলার গভীর সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে আসছিল। ফিরে আসার সময় ওই ট্রলারের মৎস্যজীবীরা বেশ কয়েকজনকে সমুদ্রে ভেসে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ভেসে থাকা ওই ব্যক্তিদের উদ্ধার করেন।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, সে কথা জানালেন উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশি মৎস্যজীবী মহম্মদ শরিফুল। মহম্মদ শরিফুল বলেন, "আমরা 13 জন মৎস্যজীবী নিয়ে 11 সেপ্টেম্বর এমবি কৌশিক ট্রলারে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সারারাত গভীর সমুদ্রে মাছ ধরি আমরা। এরপর উত্তাল সমুদ্রে বিশাল ঢেউয়ের আঘাতে উল্টে যায় আমাদের ট্রলার। আমরা মোট 13 জন মৎস্যজীবী ছিলাম ওই ট্রলারে। আমাদের 13 জনের মধ্যে 12 জন একটি বাঁশের সাহায্যে ভেসে থাকার চেষ্টা করি। তবে, আমাদের একজন সঙ্গী নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর ভারতীয় মৎস্যজীবীদের ট্রলার আমাদের উদ্ধার করে প্রাণে বাঁচায় । আমরা সকলেই বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দা ।"
এ বিষয়ে সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক সতীনাথ পাত্র বলেন, "বৃহস্পতিবার বিকেলে সমুদ্র থেকে ফিরে আসার সময় ভারতীয় মৎস্যজীবীরা বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে ভেসে থাকতে দেখতে পান । 12 জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে পাথরপ্রতিমার ফেরিঘাটে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে একজন বাংলাদেশি মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের পাথরপ্রতিমা থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।" পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে রবিবার উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তবে তাঁর আগে তাঁদের উপযুক্ত চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হবে।