নয়াদিল্লি, 2 অক্টোবর: প্য়ারিস অলিম্পিক্সে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ার পর কুস্তিগীর থেকে এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ ভিনেশ ফোগত ৷ আসন্ন হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়ছেন কংগ্রেসের টিকিটে ৷ এমন সময় বড় সত্যি সামনে আনলেন মহিলা পালোয়ান ৷ জানালেন, প্য়ারিসের ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রী ফোন করে কথা বলতে চাইলেও তিনি বলেননি ৷
সম্প্রতি জনপ্রিয় এক সংবাদমাধ্যমে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন জুলানা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী ৷ সেখানেই বড় সত্য়ি সামনে আনেন এশিয়াড এবং কমনওয়েলথ গেমসের সোনাজয়ী ৷ ভিনেশ বলেন, "এক আধিকারিক আমাকে এসে বলেন প্রধানমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলতে চান ৷ আমি বলেছিলাম ঠিক আছে ৷ এরপর ওই আধিকারিক শর্ত দিয়ে জানান, আমার সঙ্গে কেউ থাকলে চলবে না ৷ কেবল একজন আপনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথনের ভিডিয়ো শুট করবেন ৷ তারপরেই আমি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি ৷"
এখানেই শেষ নয় ৷ ভিনেশ আরও বলেন, "আমি জানিয়েছিলাম, সোশাল মিডিয়ায় আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করতে পারব না ৷ প্রধানমন্ত্রী সমব্যথী হলে ভিডিয়ো রেকর্ডিং না-করে আমার সঙ্গে কথা বলুন ৷" কুস্তিগীর টার্নড রাজনীতিবিদ আরও বলেন তাঁর কাছে ফোন রাখার কোনও সুযোগ ছিল না ৷ পুরোটাই তাঁদের নিয়ন্ত্রণে ছিল ৷ ভিনেশের কথায়, "ওরা জানত ভিনেশকে ফোন দিলেই ও গত দু'বছরের হিসেব চাইবে ৷"
পাশাপাশি কুস্তি ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার প্রতিবাদ এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যন্তর মন্তরে পুলিশি নিগ্রহের পর দেশ ছাড়ার কথাও ভেবেছিলেন বলে জানান ভিনেশ ৷ সে সময় প্রিয়াঙ্কা গান্ধির সাক্ষাৎ তাঁর পরিকল্পনায় বদল আনে ৷ ভিনেশ জানান, বাবা রাজীব গান্ধির হত্যার পর প্রিয়াঙ্কা গান্ধিও একইভাবে দেশ ছাড়তে চেয়েছিলেন ৷ কিন্তু মানুষের ভালোবাসায় সেটা সম্ভব হয়নি ৷ তাঁর ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান ভিনেশ ৷