ডুসেলডর্ফ, 7 জুলাই: এ যেন 'চক দে ইন্ডিয়া' ছবির অনুকরণ ৷ তবে, একটু অন্যভাবে ৷ ছবিতে আমরা দেখেছিলাম কোচ কবীর খান মেয়েদের হকি বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টাইব্রেকারের শেষ শট নেওয়ার সময়, গোলরক্ষককে ইশারায় নির্দেশ দিচ্ছেন ৷ গোলরক্ষককে ডাগ-আউটে দাঁড়িয়ে কোচ কবীর খান হাতের ইশারায় বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, শট সোজা আসবে ৷ তা অনুসরণ করে সফল গোলরক্ষক ৷ রিল থেকে এবার রিয়েলে পেনাল্টি শট আটকানোর কৌশলের বাস্তবায়ন ৷
শনিবার রাতে ইংল্যান্ড বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচে দেখা গেল অন্য ছবি ৷ যা আদতে কবীর খানের দৃশ্য অনুসারী। সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। নির্ধারিত সময়ে ম্যাচ 1-1 ৷ অতিরিক্ত সময়ও গোল হয়নি ৷ এরপর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে ৷ পেনাল্টি শুট-আউটে প্রত্যেক দলই তাদের মত করে কৌশল সাজায় ৷ গোলরক্ষকের নৈপুণ্যের উপর নির্ভর করে ম্যাচের ভাগ্য ৷ কিন্তু, শনিবার রাতে দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য ৷ প্রতিটি টাইব্রেকার শটের পরেই জল খেতে ছুটছেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক জর্ডন পিকফোর্ড ৷
ব্যাপারটা কী ? গোলরক্ষকের কী প্রতি শটের পরেই জল তেষ্টা পাচ্ছে ? নাকি তিনি বাড়তি মিনারেল প্রবেশ করাচ্ছেন শরীরে ? যাতে এনার্জি পাওয়া যায় ৷ এখানেই আসল রহস্য ৷ ইংল্যান্ডের গোলরক্ষকের জলের বোতলের গায়ে লেখা আছে সুইজারল্যান্ডের কোন কোন ফুটবলার কোন দিকে বল মারতে পারেন ৷ হলও ঠিক তাই !
সুইজারল্যান্ডের হয়ে প্রথম শট মারতে আসেন ম্যানুয়েল আকাঞ্জি ৷ বোতলে লেখা ছিল আকাঞ্জি বাঁ-দিকে শট মারবেন ৷ জর্ডন পিকফোর্ড সেইমতো বাঁ-দিকেই ঝাপিয়ে শট বাঁচিয়ে দেন ৷ অসামান্য বুদ্ধি এবং নিপুণ হোমওয়ার্কের জন্য ইংল্যান্ড গোলরক্ষক পিকফোর্ড ও দলের সাপোর্ট স্টাফদের বাহবা দিতেই হবে ৷
ক্রিকেটে এর আগে হেডফোন লাগিয়ে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়েকে ৷ কোচ বব উলমার ড্রেসিংরুম থেকে নির্দেশ দিচ্ছিলেন কী করতে হবে ৷ এবার হেডফোন নয় ৷ অভিনব উপায়ে তথ্য বিনিময় ৷ যা আধুনিক ফুটবলের ছবি বদলের ইঙ্গিত দিচ্ছে ৷