স্টুটগার্ড, 6 জুলাই: বাডেন রাটেমবার্গে জমজমাট দুই সফলতম দেশের লড়াই ৷ হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচের শেষ মুহূর্তে মিকেল মেরিনোর দুরন্ত হেড ৷ জার্মানিকে 2-1 গোলে হারিয়ে ইউরোর সেমি-ফাইনালে পৌঁছে গেল স্পেন ৷ টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে শেষ চারে মিউনিখের এলিয়াঞ্জ এরিনায় নামবে তিকিতাকার দেশ ৷
51 মিনিটে ডানি ওলমোর দুরন্ত গোলে এগিয়ে গিয়েছিল স্প্যানিশ আর্মাডা ৷ একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিল জার্মানিও ৷ কিন্তু কিছুতেই গোলমুখ খুলতে পারছিলেন না জামাল মুশিয়ালা, ইকে গুন্দোগানরা ৷ সমতা ফেরাতে টমাস মুলার, নিকোলাস ফুলক্রগকেও নামিয়ে দেন জুলিয়ান নাগেলসমান ৷ যদিও সব আক্রমণ গিয়ে আটকে যাচ্ছিল স্পেনের ডিফেন্স লাইন-আপে ৷ দুরন্ত সেভ করে দলের পতন রোধ করছিলেন গোলরক্ষক উনাই সিমন ৷ শেষ পর্যন্ত 89 মিনিটে দুরন্ত ভলিতে ‘লা রোজা’র জালে বল জড়িয়ে দেন ফ্লরিয়ান রিটজ ৷
নির্ধারিত 90 মিনিটে ফয়সালা না-হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে ৷ তাতে দু’দলই সমানতালে আক্রমণে গেলেও গোলের দেখা মিলছিল না ৷ কার্যত টাইব্রেকারের স্ট্র্যাটেজি সাজাতে শুরু করেছিলেন দুই হেডস্যর ৷ কিন্তু 118 মিনিটে ম্যাচের রঙ বদলে দিলেন মিকেল মেরিনো ৷ ড্যানি ওলমোর ক্রস থেকে দুরন্ত হেডে জার্মানির জালে বল জড়িয়ে দেন 80 মিনিটে মাঠে নামা মেরিনো ৷ যদিও গোল করায় মেরিনোর যতটা কৃতিত্ব, ততটাই দোষ অ্যান্তোনিও রুদিগারের ৷ কার্যত ফাঁকা অবস্থায় বল পান স্পেনের সুপার-সাব ৷ দাঁড়িয়ে থেকে দলের ছিটকে যাওয়া দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না গোলকিপার ম্যানুয়েল নয়্যারের ৷
কী কী নজির হল ?
- শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জেতানোয় তিনে মেরিনো ৷ তাঁর গোল এসেছে ম্যাচের 118 মিনিট 52 সেকেন্ডে ৷ এর আগে 118 মিনিট 53 সেকেন্ডে জয়ের গোল করেছিলেন ফ্রান্সের মিচেল প্লাতিনি ৷ 1984 ইউরোতে পর্তুগালের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন ফরাসি কিংবদন্তি ৷ যদিও এই তালিকায় শীর্ষে ইউক্রেনের আরটেম ডোভিক ৷ 2020 ইউরোতে সুইডেনের বিরুদ্ধে 120 মিনিট 36 সেকেন্ডের মাথায় গোল করেছিলেন তিনি ৷
- তৃতীয় দল হিসেবে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতল স্পেন ৷ এর আগে এই কৃতিত্ব রয়েছে ফ্রান্স (1984 ইউরো) ও ইতালির (2020 ইউরো) ৷ দুই বছরেই টুর্নামেন্ট ঘরে তুলেছিল ফ্রান্স ও ইতালি ৷