কলকাতা, 16 এপ্রিল: 24 ঘণ্টা পড়েও উৎসব থামছে না ৷ মুম্বই সিটি এফসি বধ করে তখন বাঁধ ভাঙা আনন্দে উদ্বেল সবুজ-মেরুন সমর্থক ৷ সাধারণ সমর্থক থেকে কর্তা, সবার মুখে একটাই কথা- 'এবার আইএসএল ট্রফিটাও জিততে হবে' ৷ লিগ উইনার্স শিল্ড আর চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফি, 'ডাবল' জয়ের কথা বলছেন ফুটবলাররা ৷ তাই হোটেলে ফিরে শ্যাম্পেন উড়িয়ে ও কেক কেটে সাদামাটা উদযাপনেই আপাতত ইতি টানা হয়েছে ৷ কারণ, লিগ শিল্ড জয় দিয়েই মিশন শেষ হচ্ছে না ৷ আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া গেলে, সেটা হবে নতুন কীর্তি ৷
ম্যাচের পরে মোহনবাগান দলের প্রায় সকলে উপস্থিত থেকে শ্যাম্পেন ছিটিয়ে কেক কেটে উৎসব করেন ৷ তবে, এবার ফের খেলায় মন দিতে চান ফুটবলাররা ৷ 23 এপ্রিল পরের ম্যাচ খেলতে নামবেন জেসন কামিন্সরা ৷ তবে, তাদের প্রতিপক্ষ কারা, তা এখনও জানা যায়নি ৷ প্লে-অফের প্রথম ম্যাচের পরেই তা জানা যাবে ৷ ওড়িশা ও কেরলের মধ্যে কোনও একটি দলের বিরুদ্ধে খেলবে সবুজ-মেরুন ৷ সেটা অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও, পরের লেগে 28 এপ্রিল ম্যাচ ঘরের মাঠে সেমিফাইনাল খেলবে ৷
23 এপ্রিল: সেমি-ফাইনাল 1 (প্রথম লেগ)- নকআউট 1 বিজয়ী (হোম) বনাম মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট
28 এপ্রিল: সেমিফাইনাল 1 (দ্বিতীয় লেগ) – মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (হোম) বনাম নকআউট 1 বিজয়ী
লিগ শিল্ড জিতে ট্রফির জয়ের সার্কেল সম্পূর্ণ করার পরেও, একটি প্রশ্ন উঠে আসছে ৷ যাদের পরিশ্রমে বাংলায় প্রথম আইএসএল লিগ শিল্ড এল, তাঁরাও এত শান্ত কেন ? ফুটবলারদের নিয়ে হুডখলা গাড়িতে শোভাযাত্রা হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক ৷ কিন্তু, তা হয়নি সোমবার যুবভারতীতে ৷ বাইপাসের ধারে টিম হোটেলে ঢোকেনি লিগ শিল্ড ট্রফিও ৷ অথচ কয়েকদিন আগে মহমেডান স্পোর্টিং আই লিগ জয়ের পরে তাই করেছে ৷ সুপার কাপ জিতে ফেরার পরে সমর্থকদের উচ্ছ্বাসের মধ্যে দিয়ে ট্রফি নিয়ে ক্লাবে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ অথচ মোহনবাগান লিগ শিল্ড ছুঁতেই পেল না ৷ কেন লিগ শিল্ড হাতে পেলেন না ফুটবলাররা ? গাড়ির ডিকিতে বাক্সবন্দি লিগ শিল্ড চলে গেল ৷
এই প্রশ্নের উত্তরে বলা হচ্ছে, লিগ পর্বের ম্যাচ শেষ হলেও, মোহনবাগানের মরশুম এখনও শেষ হয়নি ৷ প্লে-অফের ম্যাচ খেলতে হবে তাদের ৷ সেই কারণেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কর্তারা চাইছেন না, বাড়তি সেলিব্রেশন হোক ৷ আইএসএল ট্রফি জয় থেকে ফোকাস সরে যাক ফুটবলারদের ৷ প্রথমত, পরপর দু’বার আইএসএল ফাইনাল জেতার সুযোগ রয়েছে ৷ আর, পাশাপাশি প্রথম ক্লাব হিসেবে লিগ শিল্ড ও ফাইনাল জেতার হাতছানি মনবীর সিং, শুভাশিস বসুদের সামনে ৷
জেসন কামিংস বলছেন, "মোহনবাগান জার্সিতে প্রথম মরশুমেই আমি দু’টো খেতাব পেলাম ৷ প্রথম ডুরান্ড কাপ ৷ এবার লিগ-শিল্ড ৷ এবার নকআউট পর্বে চ্যাম্পিয়ন হলেই আমার টেবিল সম্পূর্ণ হয়ে যাবে ৷ আমরা সেই লক্ষ্যেই ঝাপাব ৷"
হাবাসকে কারিগর বলছেন দিমিত্রি পেত্রাতোস, "হাবাস কোচ হয়ে আসার পর দলে অনেক বদল হয়েছে ৷ সবচেয়ে বড় কথা, হাবাস আমাদের এক করে তুলেছেন ৷ আমাদের দলটা শুরু থেকেই অসাধারণ ছিল ৷ হাবাস সেই লড়াইয়ের মানসিকতাকে আরও তীক্ষ্ণ করে তুলেছেন ৷"
আরও পড়ুন: