মাদ্রিদ, 9 মে: মিউনিখ বনাম মাদ্রিদ মহারণে শেষ মুহূর্তে বাজিমাত ঘরের ছেলেদের ৷ সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে 12 মিনিটেই বারের ‘ইনসাইড স্পটে’ লেগে ফিরেছিল ভিনিসিয়াস জুনিয়রের জোরালো শট ৷ হাইভোল্টেজ ম্যাচে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করছিলেন রদ্রিগো, বেলিংগহামরা ৷ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন ম্যানুয়েল নয়্যারও ৷ ফলে মুহূর্মুহূ আক্রমণেও অক্ষত ছিল রিয়াল দূর্গ ৷ উলটে ম্যাচের 68 মিনিটে আলফানসো দাভিসের দুরন্ত গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন মিউনিখ ৷
যদিও 2013 চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে পূনরাবৃত্তি হল না কার্লোস আন্সেলোত্তির বুদ্ধিমত্তার জোরে ৷ নির্ধারিত সময়ের 9 মিনিট আগে ফেডেরিকো ভালভার্দেকে তুলে জোসেলুকে নামিয়েছিলেন পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের হটসিটে বসা কোচ ৷ হেডস্যরের আস্থার দাম রেখেছেন জোসে লুইস মাতো সানমার্তিন, ওরফে জোসেলু ৷ 88 মিনিটে জুনিয়রের শট প্রতিহত করেন নয়্যার ৷ ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ৷ তিন মিনিট পরেই রুডিগারের পাস থেকে ফের গোল করে যান রিয়ালের সুপার-সাব ৷
প্রথম লেগে 2-2 ড্র হওয়ার পর এদিন ঘরের মাঠে এগিয়ে থেকেই নেমেছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম দল ৷ পাস, গোলমুখী শট সবেতেই এগিয়ে আন্সেলোত্তির ছেলেরা ৷ ফলে যোগ্য দল হিসেবেই ফাইনালে পৌঁছেছে রিয়াল ৷ ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ আর্মাডা ৷ এর আগে 17 বার ইউরোপ সেরা হওয়ার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ ৷ 14 বার ট্রফি গিয়েছে সান্তিয়াগো বের্নাব্যুতে ৷ 2 জুন সেই সংখ্যাটাই বাড়িয়ে নেওয়ার উদ্দেশে মাঠে নামবেন ‘ম্যান ইন হোয়াইটস’রা ৷
আরও পড়ুন: