কলকাতা, 19 মে: নতুন মরশুম শুরুর আগে নয়া স্পনসরের হাত ধরে লক্ষ্মী এল আইএফএ'র ঘরে ৷ কলকাতা লিগ ছাড়াও আইএফএ শিল্ড, ফুটসলের আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতায় থাকছে এই নতুন স্পনসর ৷ আদতে এই নতুন স্পনসরের কর্মকাণ্ড আবাস নির্মাণ-সহ নানাবিধ বাণিজ্যে প্রসারিত ৷ গত একবছর ধরেই তারা ময়দানের বিভিন্ন খেলাধুলোয় আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা করছিল ৷ এবার রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে তিন বছরের চুক্তিতে গাঁটছড়া বাঁধল সংস্থাটি ৷ আর এই তিন বছরে আইএফএ পাবে সাড়ে সাত কোটি টাকা ৷ অর্থাৎ, বছর পাবে আড়াই কোটি টাকা ৷ যা গত পঁচিশ বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর্থিক সহায়তা লাভ আইএফএ-র ৷
শনিবার পার্ক স্ট্রিটের এক পাঁচতারা হোটেলে আইএফএ ও নির্মাণ সংস্থার কর্তারা চুক্তির কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করেন ৷ উপস্থিত ছিলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত, সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, চেয়ারম্যান সুব্রত দত্ত, বিনিয়োগকারী নির্মাণ সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর রাহুল টোডি, চেয়ারম্যান তমাল ঘোষাল, প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় ৷
বাংলার ফুটবলের উন্নতির লক্ষ্যে তৃণমূল স্তর থেকে একযোগে কাজ করার কথা জানিয়েছে আইএফএ এবং নয়া স্পনসর সংস্থা ৷ গত কয়েক বছরে আর্থিক সমস্যায় ভুগতে থাকা রাজ্য ফুটবল নিয়ামক সংস্থা চলতি বছরে কিছুটা স্বচ্ছলতার মুখ দেখছে ৷ নতুন স্পনসরের থেকে আড়াই কোটি টাকা পাওয়া ছাড়াও, নতুন দলের অর্ন্তভুক্তিতে এক কোটি টাকা পেয়েছে আইএফএ ৷ এছাড়াও দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ন্তভুক্তিতে মোট এক কোটি টাকা এসেছে ৷ ফলে মোট সাড়ে চার কোটি টাকা এসেছে আইএফএ'র কোষাগারে ৷
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত জানিয়েছেন, "বাংলার ফুটবলের উন্নতিতে আমরা এক যোগে কাজ করব ৷ আমরা ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দিকটি দেখব ৷ আর্থিক পৃষ্ঠপোষকরা বাণিজ্যিক দিকটা দেখবে ৷ সহযোগী স্পনসর নেওয়ার বিষয়টিও ওদের বিবেচনাধীন ৷"
উল্লেখ্য, প্রতিবছর কলকাতা লিগ ও ডুরান্ড কাপ আয়োজনে সংঘাতের বিষয়টি নিয়েও এদিন অনির্বাণ দত্ত আশার কথা শুনিয়েছেন ৷ আইএফএ সচিব জানিয়েছেন ফেডারেশন তাদের সেপ্টেম্বর মাসে নিরবিচ্ছিন্ন সময়সীমা দেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে ৷ তবে, সুষ্ঠু ও আকর্ষণীয় কলকাতা লিগ আয়োজনে তিনপ্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে, সব কিছু ঠিক হবে বলে জানানো হয়েছে ৷ সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয় বলেও জানিয়েছেন আইএফএ সচিব ৷
আরও পড়ুন: