লেইপজিগ, 22 জুন: প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে জয় পেলেও ফ্রান্সের খেলায় মন ভরেনি ৷ তাই দ্বিতীয় ম্যাচে তারকাখচিত ফ্রান্সকে চেনা ছন্দে দেখতে মুখিয়ে ছিলেন অনুরাগীরা ৷ প্রতিপক্ষ প্রথম ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়েও জয় ছিনিয়ে নেওয়া নেদারল্যান্ডস ৷ সবমিলিয়ে এক উপভোগ্য ম্যাচের অপেক্ষায় প্রহর গুনছিল ফুটবল বিশ্ব ৷ কিন্তু অনুরাগীদের হতাশ করে ইউরোর গ্রুপ 'ডি'তে হাইভোল্টেজ ফ্রান্স বনাম নেদারল্যান্ডস ম্যাচ শেষ হল গোলশূন্যভাবে ৷
প্রথম ম্যাচে নাকে চোট পাওয়া কিলিয়ান এমবাপেকে নয়া মাস্কে মাঠে দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনুরাগীরা ৷ কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের নয়া তারকাকে এদিন পরিবর্ত হিসেবেও ব্যবহার করলেন না দিদিয়ের দেশঁ ৷ ফল যা হওয়ার তাই ৷ সারা ম্যাচ জুড়ে ফরাসিদের আক্রমণের ঝাঁঝটাই উধাও এদিন ৷ তারপরেও গোলের একাধিক সহজ সুযোগ এসেছিল দু'বারের চ্যাম্পিয়নদের কাছে ৷ কিন্তু একাধিক ক্ষেত্রে হেলায় সুযোগ নষ্ট করে যান আতোয়াঁ গ্রিজম্যান, আদ্রিয়েন ব়্যাবিয়টরা ৷
ম্যাচের প্রথম মিনিটেই অবশ্য গোলের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের জেরেমি ফ্রিমপং ৷ গোলরক্ষক মাইক মাইগনানের দুরন্ত সেভে ম্যাচে এগিয়ে যেতে পারেনি অরেঞ্জ ব্রিগেড ৷ তবে 14 মিনিটে গোলরক্ষককে ডাচ গোলরক্ষককে একা পেয়েও যে সুযোগ নষ্ট করেন গ্রিজম্যান, তা ক্ষমার অযোগ্য ৷ এক্ষেত্রে প্রথম সুযোগে গোলে শট না-নেওয়ায় ব়্যাবিয়টও দোষ ঝেড়ে ফেলতে পারেন না ৷
দ্বিতীয়ার্ধে 65 মিনিটে দিনের সহজতম সুযোগটি হারান সেই গ্রিজম্যান ৷ এনগোলো কান্তের সাজিয়ে দেওয়া বল ধরে একা গোলরক্ষককে পেয়েও জালে রাখতে পারেননি ফরাসি অধিনায়ক ৷ 69 মিনিটে জাভি সিমন্সের গোলে ডাচরা এগিয়ে গেলেও অফসাইডের কারণে তা নাকচ হয় ৷ এরপর বাকি সময়ে অবশ্য বলার মতো আর কিছু ঘটেনি ৷ শেষপর্যন্ত গোলশূন্য অবস্থাতেই শেষ হয় গ্রুপ 'ডি'র এই শো-পিস ম্যাচ ৷ যদিও পয়েন্ট ভাগ করে নেওয়া দু'দলের নক-আউটের পৌঁছনোর পথে খুব একটা বাধা হবে না ৷ চার পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড অফ 16 মোটামুটি নিশ্চিত দু'দলেরই ৷