কলকাতা, 23 জুলাই: কলকাতা পুলিশের জালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট ! হ্যাঁ, কলকাতা প্রিমিয়ার ডিভিশন লিগে দু’টি পেনাল্টি নষ্টের খেসারত দিয়ে ফের পয়েন্ট নষ্ট করল সবুজ-মেরুন ৷ মঙ্গলবার কল্যাণী স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিশ ক্লাবের বিরুদ্ধে 1-1 গোলে ড্র করল তারা ৷
সুহেল বাট ম্যাচের 40 মিনিটে গোল করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, 55 মিনিটে রবি দাসের গোলে সমতায় ফেরে কলকাতা পুলিশ ক্লাব ৷ এর ফলে সাত পয়েন্ট নষ্ট করে কলকাতা লিগের পরের পর্বে যাওয়ার বিষয়টি ক্রমেই কঠিন করে ফেলছে মোহনবাগান ৷ শেষ ম্যাচে জয় পাওয়ায় মনে হয়েছিল মোহনবাগান দেরিতে হলেও ঘুরে দাঁড়াবে ৷ কোচ ডেইজি কার্ডোজের কথাতেও ছিল তার ইঙ্গিত ৷
কিন্তু, মঙ্গলবারের কল্যাণী স্টেডিয়ামে মোহনবাগানের ফুটবলে ছিল একাধিক ভুল ৷ 19টি গোলমুখী শট নিয়ে সুহেল বাট ছাড়া সকলেই ব্যর্থ ৷ এরমধ্যে দু’বার পেনাল্টি নষ্ট করেছে তারা ৷ প্রথমার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ফারদিন আলি মোল্লা ৷ দ্বিতীয়ার্ধে ফের পেনাল্টি থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন অভিষেক সূর্যবংশী ৷
কলকাতা পুলিশ ক্লাবের বিজয় দাসের দল শুরু থেকেই নির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে ৷ তাই সহজেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে আটকে দিয়েছে তারা ৷ একটা সময় মনে হচ্ছিল, ম্যাচের নিয়ন্ত্রক পুলিশ ৷ ছোট দলের পুরনো মানসিকতা এখন কলকাতা ময়দানে নেই ৷ তিন প্রধানের সঙ্গে চোখ রেখে শুধু লড়াই করছে না, ড্র করছে কিংবা হারিয়ে দিচ্ছে ৷ যা কলকাতা ফুটবলে ভালো দিক ৷
মূলত ডাবল মার্কিংয়ে ভর দিয়ে সবুজ-মেরুনকে থামিয়ে দিল পুলিশ ক্লাব ৷ সুহেল বাট, থমসিন, ফারদিন আলি মোল্লার পায়ে বল পড়লেই কড়া ট্যাকেল করছিল প্রতিপক্ষ ৷ মোহনবাগানের খেলায় গতির অভাবকে কাজে লাগাতেই ম্যাচের রাশ চলে যায় কলকাতা পুলিশ ক্লাবের খেলোয়াড়দের পায়ে ৷ অন্তত দু’বার গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলেছিল তারা ৷
যা কাজে লাগাতে পারল বিজয় দাসের দল, পুরো পয়েন্ট নিয়েই ফিরতে পারত ৷ মঙ্গলবার ফের পয়েন্ট নষ্টের পরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের তরফে বলা হচ্ছে ঘুরে দাঁড়াবে দল ৷ সিনিয়র দলের একাধিক ফুটবলার ইতিমধ্যে প্র্যাকটিস শুরু করেছে ৷ তাই বাকি ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোই পাখির চোখ ৷ তবে, মোহনবাগান কোচের দাবিতে সমর্থকরা আশ্বস্ত হলেন বলে মনে হয় না ৷