কলকাতা, 14 এপ্রিল: বাংলা নববর্ষে মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজোর অনুষ্ঠানের আবহ গ্রীষ্মের দাবদাহের থেকেও যেন বেশি তপ্ত ছিল ৷ আজ সকালে সবার আগে ক্লাবে ঢুকে বারে প্রণাম করে বেরিয়ে গেলেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু ৷ তবে, অনেকদিন পর ক্লাবে উপস্থিত থাকতে দেখা গেল মোহনবাগানের সভাপতি স্বপন সাধন বসুকে ৷ কিন্তু, সেখানেও বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গেল তাঁকে ৷
রবিবার মোহনবাগান ক্লাবের বারপুজোর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান দলের দীপেন্দু দুয়ারি এবং আমনদীপ সিং ৷ প্রাক্তন ফুটবলারদের মধ্যে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অলোক মুখোপাধ্যায়, শিশির ঘোষ, মানস ভট্টাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন ৷ আজ বারপুজো আর আগামিকাল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট নামছে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে ৷ যে ম্যাচ সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের লিগ শিল্ড জেতার লড়াই ৷
যে ম্যাচের আগে পরোক্ষে প্রতিবেশী ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিলেন স্বপন সাধন বসু ওরফে টুটু বসু ৷ সঙ্গে ক্লাবের ফুটবল দল সম্পর্কে কোনও খবরই পান-না বলেও জানালেন তিনি ৷ মোহনবাগান ক্লাবের সভাপতি টুটু বসু মনে করেন, এবারের লিগ শিল্ড জিতবে সবুজ-মেরুনই ৷ অসুস্থতা কাটিয়ে কোচ আন্তেনিও লোপেজ হাবাসের প্রত্যাবর্তনে নিশ্চিন্ত বোধ করছেন তিনি ৷ তাঁর মতে মোহনবাগান আর্থিকভাবে স্বচ্ছল হাতে রয়েছে ৷ সঞ্জীব গোয়েঙ্কার সঙ্গে গাঁটছড়া বাধা সঠিক পদক্ষেপ ছিল বলে মনে করেন ৷ দলবদল নিয়ে আর্থিক চিন্তা আর করতে হয় না ৷ এটা যেমন স্বস্তির ৷ তেমনি জানালেন, মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের অন্দরের খবর সেভাবে পান-না ক্লাব কর্তারা ৷
তবে, সে নিয়ে টুটু বসুর আক্ষেপ নেই ৷ কারণ হিসেবে ইস্টবেঙ্গলকে খোঁচা দিয়ে বলেন, "'মোহনবাগান আর সেই আগের মোহনবাগন নেই ৷ যে বলে দেব রাত 12টার সময় আমি কৃশানুকে তুলেছি ৷ তবে, এ নিয়ে আক্ষেপ নেই। এটা যদি করতে না পারতাম, তা হলে আমাদের অবস্থা ইস্টবেঙ্গলের মতো হত ৷ ওই পরিবারের সঙ্গে আমার অনেকদিনের সম্পর্ক ৷ আরপি গোয়েঙ্কাও মোহনবাগান সদস্য ছিলেন ৷ সঞ্জীব গোয়েঙ্কাও মোহনবাগান সদস্য ৷ সিইএসসি কলকাতার কোম্পানি ৷ ওরা পালিয়ে যাবে না ৷"
ক্লাব সভাপতির মতো সচিব দেবাশিস দত্ত প্রথমবার আইএসএল লিগ শিল্ড জয়ের স্বপ্নকে পূরণ করতে চান ৷ তিনি বিশ্বাস করেন হাবাসের কোচিংয়ে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট সফল হবে ৷ এও জানান, আগামী বছর কলকাতার দুই প্রধানের মধ্যে এই লিগ শিল্ড জয়ের লড়াইটা হলে, তিনি খুশি হবেন ৷
আরও পড়ুন: