কলকাতা, 28 এপ্রিল: ওড়িশা এফসি'কে হারিয়ে আইএসএল ফাইনালে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ভুবনেশ্বরের 1-2 গোলে হারের বদলা যুবভারতীতে 2-0 গোলে জিতে নিল আন্তোনিয়ো হাবাসের ছেলেরা। মোহনবাগানের হয়ে এদিন দুই অর্ধে দু'টি গোল জেসন কামিংস এবং সাহাল আব্দুল সামাদের। সবমিলিয়ে লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবার আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দোরগোড়ায় মোহনাগান। মুম্বইকে হারিয়ে লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পুনরাবৃত্তি ঘটিয়েই রবিবার ফের কানায় পূর্ণ যুবভারতীতে পিছিয়ে থেকে বাজিমাত বাগানের ৷
ম্যাচের প্রথমার্ধে এদিন জেসন কামিংসের শট অমরিন্দর সিং প্রতিহত করলে ওত পাতা শিকারির মতো তা জালে জড়ান জেসন কামিংস ৷ 22 মিনিটে হাজার ষাটেক বাগান অনুরাগীদের স্বপ্নপূরণের আকাঙ্খা যেন শব্দব্রহ্ম হয়ে ফেটে পড়ছে যুবভারতীর গ্যালারিতে। যদিও নির্ধারিত সময়ে আইএসএল ফাইনালে পৌঁছতে তখন দরকার ছিল আরও একটি গোল। একই শর্ত প্রযোজ্য ছিল ওড়িশার ক্ষেত্রেও। এক গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় হাবাসের ছাত্ররা ৷
ভুবনেশ্বরে রয় কৃষ্ণা একক কৃতিত্বে মোহনবাগানকে হারিয়েছিলেন। হাবাস এদিনল ভালো করেই জানতেন, পুরনো ছাত্রকে ফের খেলতে দিলে বিপদ। তাই জনি কাউকোকে মাঝমাঠে নির্দিষ্ট গন্ডিতে রেখে দলের খেলায় বাঁধন রাখতে চেয়েছিলেন হাবাস। সেই লক্ষ্যে সফল সবুজ-মেরুনের বর্ষীয়ান কোচ। সারা ম্যাচে এদিন সেভাবে দাগ কাটতে ব্যর্থ ফিজিয়ান। তবুও বিরতির আগে মোহনবাগান গোলমুখ খুলে ফেলেছিল কলিঙ্গ রাজ্যের দল। কৃষ্ণার ক্রস থেকেই ইশাক রালতের শট গোললাইন বাঁচান হেক্টর ইউস্তে।
গরমে ক্লান্ত দু'দলের খেলা বিরতির পর গতিমন্থরতায় ভুগল। এরইমধ্যে মনবীরের সেন্টার থেকে অনিরুদ্ধ থাপার হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু ফুটবলদেবতা এদিন জয় লিখে রেখেছিলেন বাগানের পক্ষেই। সংযুক্তি সময়ে মনবীরের পাস থেকে সেই জয়সূচক গোল এল থাপার পরিবর্তে নামা সাহালের পা থেকে। যা টানা দ্বিতীয়বার সবুজ-মেরুনকে পৌঁছে দিল আইএসএল ফাইনালে। এফএসডিএলের নিয়ম মেনে 4 মে যুবভারতীতেই হবে ফাইনাল ৷ সেই ম্যাচে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: