কলকাতা, 2 নভেম্বর: তিনি একদা লাল-হলুদের মিডফিল্ড জেনারেল ৷ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে সর্বাধিক ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করার নজির রয়েছে তাঁরই নামে ৷ তাই শুক্রবার নেজমেহ এসসি'কে হারিয়ে প্রাক্তন ক্লাব এএফসি চ্য়ালেঞ্জ লিগের (প্রতিযোগিতার নয়া ফরম্যাটে) আত্মপ্রকাশে শেষ আটে পৌঁছতেই আবেগে ভাসলেন মেহতাব হোসেন ৷ তারপর ইটিভি ভারতের তরফে ফোনে ধরা হলে লাল-হলুদের প্রাক্তন মিডফিল্ড জেনারেল শেয়ার করলেন নানা কথা ৷
- প্রঃ (মেহতাবের ফেসবুক পোস্ট উদ্ধৃত করে) ইস্টবেঙ্গল কি সত্যিই ফিরল?
উঃ এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার কোয়ার্টারে কোয়ালিফাই করা ভীষণই কঠিন কাজ ৷ এই দলটার মানসিক স্থিতি যে তলানিতে ছিল, সেখান থেকে উঠে এসে চ্য়ালেঞ্জ লিগের কোয়ার্টারে জায়গা করে নেওয়া ফুটবলারদের জন্যই সম্ভব হয়েছে ৷ মরশুমে প্রায় দশটা ম্যাচ খেলার পরেও ফুটবলারদের ম্যাচ ফিটনেস থাকবে না এটা হতে পারে না ৷ নতুন কোচ এসে দলটাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করেছে ৷ তাতেই ফুটবলারদের চারিত্রিক দৃঢ়তা প্রকাশ পেয়েছে ৷ সবমিলিয়ে অসাধারণ কামব্যাক ৷ অস্কারের (ব্রুজোঁ) যত প্রশংসা করব, কম হয়ে যাবে ৷
- প্রঃ তবুও তো আইএসএলে দলের ফিটনেস নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছে...
উঃ মরশুমের মাঝপথে ফুটবলারদের ফিটনেস ট্রেনিং করানো একেবারেই উচিত নয় ৷ ছেলেদের তিনবেলা, দু'বেলা অনুশীলন করালে তাঁরা মাঠে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই পারফরম্য়ান্স করতে পারবে না ৷ আগের কোচকে দোষ না-দিয়েই বলছি হয়তো দলের সঙ্গে এটাই হয়েছে ৷ প্র্যাকটিস করে গেলেই ম্যাচ জেতা যায় না ৷ মাঝে মাঝে ফুটবলারদের বিশ্রামেরও প্রয়োজন ৷
- প্রঃ আইএসএলে নিষ্প্রভ, অথচ এএফসি টুর্নামেন্টে তিন ম্যাচে চার গোল ৷ দিয়ামানতাকোসকে নিয়ে কী বলবে?
উঃ দিয়ামানতাকোস একজন বক্স স্ট্রাইকার ৷ গতকাল বক্সের মধ্যে স্লাইড করে যে গোলটা করেছে, পারো এফসি'র বিরুদ্ধেও একইভাবে একটা গোল করেছিল ৷ সুতরাং উইং থেকে যত ক্রস আসবে, দিয়ামানতাকোস আরও বেশি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে ৷ ভারতে খেলা এই মুহূর্তে অন্যতম বিধ্বংসী স্ট্রাইকার ও ৷
- প্রঃ চ্যালেঞ্জ লিগের এই পারফরম্যান্সের পর আইএসএলে লাল-হলুদের প্রত্যাবর্তনের ব্য়াপারে কতটা আশাবাদী?
উঃ আমি ভীষণ আশাবাদী ৷ যে মানসিক অবস্থায় দলটা ছিল সেখান থেকে নিজেদের বের করে আনতে পেরেছে ৷ নইলে একটা দল কখনো এত ভালো পারফর্ম করতে পারে না ৷