ETV Bharat / sports

অলিম্পিক্সে পদক জয়ী প্রথম ভারতীয় মহিলা কর্ণম মালেশ্বরীর বিশেষ সাক্ষাৎকার - Paris Olympics 2024

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 27, 2024, 3:59 PM IST

Paris Olympics 2024: কর্ণম মালেশ্বরী ৷ অন্ধ্রপ্রদেশের এই অ্যাথলিট প্রথম মহিলা যিনি ভারতকে অলিম্পিক্সের মঞ্চে পদক এনে দিয়েছিলেন ৷ প্রথম ভারতীয় মহিলা হিসেবে সেই প্রাপ্তি এবং চলতি অলিম্পিক্সে ভারতীয় প্রতিযোগীদের নিয়ে ইটিভি ভারতকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিলেন কর্ণম মালেশ্বরী ৷

ETV BHARAT
কর্ণম মালেশ্বরী ৷ (ছবি- কর্ণম মালেশ্বরী এক্স হ্যান্ডেল)

হায়দরাবাদ, 27 জুলাই: একজন প্রাক্তন অ্যাথলিট হিসেবে তিনি মনে করেন, অলিম্পিক্সে পদক জেতা খুবই কঠিন কাজ ৷ তবে, এটাও তাঁর বিশ্বাস, যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় জারি রাখেন ৷ তাহলে সব সম্ভব ৷ আর সেই বিশ্বাস থেকে প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে 2000 সালে সিডনি অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন ভারোত্তলনে ৷ ইটিভি ভারতকে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন তিনি ৷

একজন ভারোত্তলোক হয়ে ওঠা নিয়ে কর্ণম জানান, "আমার জন্ম ও বড় হওয়া শ্রীকাকুলাম জেলায় ৷ আমার বড় বোন এবং কয়েকজন মেয়ে ভারোত্তলনের অনুশীলন করতেন ৷ সেখান থেকেই আমিও শিখতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু, কোচ আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, 'তুমি ভারোত্তলোনের জন্য ফিট নও ৷ বদলে তোমার মাকে সংসারের কাজে সাহায্য করতে শুরু করো ৷' সেই কথাটা আমাকে রাগিয়ে দিয়েছিল ৷ একজন বাইরের লোক কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যে আমি করতে পারব আর কী করতে পারব না ? আমি তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ভালোভাবে পারফর্ম করব এবং পদক জিতব ৷ সেখানে কোনও কোচ ছিলেন না ৷ আমি অন্যদের দেখে 12 বছর বয়স থেকে শিখতে শুরু করি ৷ পুরনো সামগ্রী দিয়ে মাটিতে অনুশীলন করতাম ৷"

তিনি জানান, "তৎকালীন ব্যাঙ্গালোর এনআইএ সেন্টারে 1990 এশিয়াডের ট্রায়াল গেম ছিল ৷ আমার বড় বোন সেই ক্যাম্পে ছিলেন ৷ আমি সেখানে আমার পরিচিতদের সঙ্গে গিয়েছিলাম ৷ আমি স্টেডিয়ামে একটি কোনায় চেয়ারে বসেছিলাম এবং বাকি খেলোয়াড়দের দেখছিলাম ৷ আমি সকাল 8টার সময় সেখানে যাই ৷ কিন্তু, রাত 9টা বেজে গেলেও সেখানে বসে বাকি খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্স দেখছিলাম ৷ খেতে পর্যন্ত যাইনি ৷ সেখানে বিদেশি প্রতিনিধি হিসেবে রাশিয়ান কোচ নাদি রেবাকন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ বিষয়টি তাঁর নজরে আসে ৷ উনি আমাকে ডেকে পাঠান ৷ জিজ্ঞেস করেন, 'তুমি ভারোত্তলোন পছন্দ কর ? তুমি কী অনুশীলন কর ? আমাকে তোমার সম্পর্কে আরও কিছু বলো ?' উনি আমাকে একটা মেয়েদের কস্টিউম দেন এবং আমাকে বলেন, কতটা ওজন তুমি তুলতে পারো দেখাও ৷"

অলিম্পিক্সে পদকজয়ী মালেশ্বীর বলেন, "আমি করে দেখিয়েছিলাম ৷ উনি আমার প্রতিভায় বিশ্বাস রাখেন এবং আমাকে ভারতীয় শিবিরে রাখতে বলেন ৷ যে দলে কেবলমাত্র জাতীয় স্তরে পদক পেয়েছেন, এমন অ্যাথলিটরা জায়গা পান ৷ উনি আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, যাঁর কাছে রাজ্য স্তরে খেলারও অভিজ্ঞতা ছিল না ৷ উনি আমাকে 10 মাসের জন্য কোচিং করিয়েছিলেন ৷"

পুরো দল একসঙ্গে 'জাতীয় সঙ্গীত' গেয়ে ছিলাম চিনে

1991 সালে উদয়পুরে জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ আমার প্রথম প্রতিযোগিতা ছিল ৷ আমি তিনটে সোনার পদক জিতেছিলাম ৷ তারপর আমি 1992 সালে রুপোর পদক ও 1993 সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম ৷ এরপর 1994 সালে আমি মেয়েদের সিঙ্গল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতি ৷ কিন্তু, সেখানে একটা কথা বলা হয়েছিল সব কোচদের তরফে যে, 'আমাদের মেয়েদের সোনার পদক জেতার ক্ষমতা নেই ৷' তুরস্কের সেই প্রতিযোগিতায় আমার প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় মাদক সেবন করেছিলেন ৷ কোচদের মত ছিল, ওই মেয়েটি ড্রাগ নেওয়ায় আমি ভাগ্যের জোরে সোনা জিতেছি ৷

এটা শুনতে খুব খারাপ লাগত যে, আমি ভাগ্যের জোরে সোনা জিতেছিলাম ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ৷ সেখানে আমার পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের কোনও কৃতিত্ব ছিল না ৷ এরপর চিনে আমি ফের সোনার পদক জিতি ৷ ওই একই দেশের অন্য এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে ৷ আর সেটাও বিশ্বরেকর্ড ছিল ৷ সেই সময় জয়ী দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হত ৷ কিন্তু, আমরা আশা করিনি, জিততে পারব ৷ তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত সঙ্গে করে নিয়ে যাইনি ৷ তবে, সেখানে পুরো দল একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম ৷ সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আজও ভালো লাগে ৷"

অলিম্পিক্সে পদক জেতা যে কখনই সহজ কাজ নয়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কর্ণম মালেশ্বরী ৷ ঠিক কতটা কষ্ট করতে হয়, তার জন্য ! এনিয়ে পদকজয়ী ভারোত্তলোক বলেন, "অন্যান্য দেশে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ছিল ৷ তবুও, আমি সবসময় প্রতিযোগিতা এবং আমার পারফরম্যান্সের দিকে মনোনিবেশ করতাম ৷ সেই সময় পরিমাণ মতো খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল ৷ ম্যানেজমেন্ট আমাদের কখনই বিশ্বাস করত না ৷ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর, 2000 সালে অলিম্পিক্সে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম ৷ সেই সময় অলিম্পিক্সের থেকেও বেশি কঠিন ছিল আশেপাশের লোকজনদের মন্তব্য ৷"

হতাশার সুরে বলেন, "বলা হয়েছিল, 'কোনও মহিলা অ্যাথলিট গত 100 বছরে একটি পদক জেতেনি ৷' অনেকে আমাদের নিরুৎসাহিত করেছে ৷ কিন্তু, আমি সেই মতামতকে ভুল প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম ৷ মাত্র 2 কেজির ফারাকের জন্য সোনা হাতছাড়া হয়ে যায় এবং আমি ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম ৷ সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে, এখন অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় ৷ আমাদের বলা হত, খেলার একদিন আগে যেতে এবং ম্যাচের পরেরদিন ফিরে আসতে ৷ আমাদের সঙ্গে একজনই কোচ থাকতেন ৷ কিন্তু, এখন সবাই বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং করেন ৷ চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপিস্ট, মাসাজার মিলিয়ে প্রায় 10 জনের দল থাকে প্রতিযোগীদের সঙ্গে ৷ সেই সময় সরকার আমাকে 6 লাখ টাকা দিয়েছিল ৷ এখন সফল অ্যাথলিটদের সরকারের তরফে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয় ৷"

হায়দরাবাদ, 27 জুলাই: একজন প্রাক্তন অ্যাথলিট হিসেবে তিনি মনে করেন, অলিম্পিক্সে পদক জেতা খুবই কঠিন কাজ ৷ তবে, এটাও তাঁর বিশ্বাস, যদি আপনি কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যাবসায় জারি রাখেন ৷ তাহলে সব সম্ভব ৷ আর সেই বিশ্বাস থেকে প্রথম ভারতীয় মহিলা অ্যাথলিট হিসেবে 2000 সালে সিডনি অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছিলেন ভারোত্তলনে ৷ ইটিভি ভারতকে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন তিনি ৷

একজন ভারোত্তলোক হয়ে ওঠা নিয়ে কর্ণম জানান, "আমার জন্ম ও বড় হওয়া শ্রীকাকুলাম জেলায় ৷ আমার বড় বোন এবং কয়েকজন মেয়ে ভারোত্তলনের অনুশীলন করতেন ৷ সেখান থেকেই আমিও শিখতে চেয়েছিলাম ৷ কিন্তু, কোচ আমার দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, 'তুমি ভারোত্তলোনের জন্য ফিট নও ৷ বদলে তোমার মাকে সংসারের কাজে সাহায্য করতে শুরু করো ৷' সেই কথাটা আমাকে রাগিয়ে দিয়েছিল ৷ একজন বাইরের লোক কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, যে আমি করতে পারব আর কী করতে পারব না ? আমি তখনই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ভালোভাবে পারফর্ম করব এবং পদক জিতব ৷ সেখানে কোনও কোচ ছিলেন না ৷ আমি অন্যদের দেখে 12 বছর বয়স থেকে শিখতে শুরু করি ৷ পুরনো সামগ্রী দিয়ে মাটিতে অনুশীলন করতাম ৷"

তিনি জানান, "তৎকালীন ব্যাঙ্গালোর এনআইএ সেন্টারে 1990 এশিয়াডের ট্রায়াল গেম ছিল ৷ আমার বড় বোন সেই ক্যাম্পে ছিলেন ৷ আমি সেখানে আমার পরিচিতদের সঙ্গে গিয়েছিলাম ৷ আমি স্টেডিয়ামে একটি কোনায় চেয়ারে বসেছিলাম এবং বাকি খেলোয়াড়দের দেখছিলাম ৷ আমি সকাল 8টার সময় সেখানে যাই ৷ কিন্তু, রাত 9টা বেজে গেলেও সেখানে বসে বাকি খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্স দেখছিলাম ৷ খেতে পর্যন্ত যাইনি ৷ সেখানে বিদেশি প্রতিনিধি হিসেবে রাশিয়ান কোচ নাদি রেবাকন সেখানে উপস্থিত ছিলেন ৷ বিষয়টি তাঁর নজরে আসে ৷ উনি আমাকে ডেকে পাঠান ৷ জিজ্ঞেস করেন, 'তুমি ভারোত্তলোন পছন্দ কর ? তুমি কী অনুশীলন কর ? আমাকে তোমার সম্পর্কে আরও কিছু বলো ?' উনি আমাকে একটা মেয়েদের কস্টিউম দেন এবং আমাকে বলেন, কতটা ওজন তুমি তুলতে পারো দেখাও ৷"

অলিম্পিক্সে পদকজয়ী মালেশ্বীর বলেন, "আমি করে দেখিয়েছিলাম ৷ উনি আমার প্রতিভায় বিশ্বাস রাখেন এবং আমাকে ভারতীয় শিবিরে রাখতে বলেন ৷ যে দলে কেবলমাত্র জাতীয় স্তরে পদক পেয়েছেন, এমন অ্যাথলিটরা জায়গা পান ৷ উনি আমাকে সুযোগ দিয়েছিলেন, যাঁর কাছে রাজ্য স্তরে খেলারও অভিজ্ঞতা ছিল না ৷ উনি আমাকে 10 মাসের জন্য কোচিং করিয়েছিলেন ৷"

পুরো দল একসঙ্গে 'জাতীয় সঙ্গীত' গেয়ে ছিলাম চিনে

1991 সালে উদয়পুরে জুনিয়র ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ আমার প্রথম প্রতিযোগিতা ছিল ৷ আমি তিনটে সোনার পদক জিতেছিলাম ৷ তারপর আমি 1992 সালে রুপোর পদক ও 1993 সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম ৷ এরপর 1994 সালে আমি মেয়েদের সিঙ্গল ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতি ৷ কিন্তু, সেখানে একটা কথা বলা হয়েছিল সব কোচদের তরফে যে, 'আমাদের মেয়েদের সোনার পদক জেতার ক্ষমতা নেই ৷' তুরস্কের সেই প্রতিযোগিতায় আমার প্রতিপক্ষ খেলোয়াড় মাদক সেবন করেছিলেন ৷ কোচদের মত ছিল, ওই মেয়েটি ড্রাগ নেওয়ায় আমি ভাগ্যের জোরে সোনা জিতেছি ৷

এটা শুনতে খুব খারাপ লাগত যে, আমি ভাগ্যের জোরে সোনা জিতেছিলাম ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে ৷ সেখানে আমার পরিশ্রম ও অধ্যাবসায়ের কোনও কৃতিত্ব ছিল না ৷ এরপর চিনে আমি ফের সোনার পদক জিতি ৷ ওই একই দেশের অন্য এক প্রতিযোগীকে হারিয়ে ৷ আর সেটাও বিশ্বরেকর্ড ছিল ৷ সেই সময় জয়ী দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হত ৷ কিন্তু, আমরা আশা করিনি, জিততে পারব ৷ তাই আমরা জাতীয় সঙ্গীত সঙ্গে করে নিয়ে যাইনি ৷ তবে, সেখানে পুরো দল একসঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছিলাম ৷ সেই স্মৃতিগুলো মনে পড়লে আজও ভালো লাগে ৷"

অলিম্পিক্সে পদক জেতা যে কখনই সহজ কাজ নয়, তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ কর্ণম মালেশ্বরী ৷ ঠিক কতটা কষ্ট করতে হয়, তার জন্য ! এনিয়ে পদকজয়ী ভারোত্তলোক বলেন, "অন্যান্য দেশে প্রতিযোগিতায় যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ছিল ৷ তবুও, আমি সবসময় প্রতিযোগিতা এবং আমার পারফরম্যান্সের দিকে মনোনিবেশ করতাম ৷ সেই সময় পরিমাণ মতো খাবার পাওয়া খুবই কঠিন ছিল ৷ ম্যানেজমেন্ট আমাদের কখনই বিশ্বাস করত না ৷ দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর, 2000 সালে অলিম্পিক্সে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম ৷ সেই সময় অলিম্পিক্সের থেকেও বেশি কঠিন ছিল আশেপাশের লোকজনদের মন্তব্য ৷"

হতাশার সুরে বলেন, "বলা হয়েছিল, 'কোনও মহিলা অ্যাথলিট গত 100 বছরে একটি পদক জেতেনি ৷' অনেকে আমাদের নিরুৎসাহিত করেছে ৷ কিন্তু, আমি সেই মতামতকে ভুল প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম ৷ মাত্র 2 কেজির ফারাকের জন্য সোনা হাতছাড়া হয়ে যায় এবং আমি ব্রোঞ্জ জিতেছিলাম ৷ সেই সময়ের সঙ্গে তুলনা করলে, এখন অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় ৷ আমাদের বলা হত, খেলার একদিন আগে যেতে এবং ম্যাচের পরেরদিন ফিরে আসতে ৷ আমাদের সঙ্গে একজনই কোচ থাকতেন ৷ কিন্তু, এখন সবাই বিদেশে গিয়ে ট্রেনিং করেন ৷ চিকিৎসক, ফিজিওথেরাপিস্ট, মাসাজার মিলিয়ে প্রায় 10 জনের দল থাকে প্রতিযোগীদের সঙ্গে ৷ সেই সময় সরকার আমাকে 6 লাখ টাকা দিয়েছিল ৷ এখন সফল অ্যাথলিটদের সরকারের তরফে কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয় ৷"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.