কলকাতা, 27 অক্টোবর: প্রাথমিক বিবেচনায় ছিলেন না ৷ তবে টিম ম্যানেজমেন্টের বিশেষ আগ্রহে দলের সঙ্গে থেকে গিয়েছিলেন। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা কল্যাণী স্টেডিয়ামে বাড়তি ট্রেনিংয়ে তাঁকে পুরোনো ছন্দে ফেরাতে চেয়েছিলেন। সেই চেষ্টা যে বিফলে যায়নি, রবিবাসরীয় বিকেলে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুঝিয়ে দিলেন ঈশান পোড়েল। কেরল ইনিংসের টপ-অর্ডার ধসিয়ে আপাত নিরীহ ম্য়াচে প্রাণের সঞ্চার করলেন তিনি ৷
বিহার ম্যাচ ভেস্তে যাওয়ার পর ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে তৃতীয় রাউন্ডে বাংলা বনাম কেরল ম্যাচের প্রথমদিনও একটিও বল গড়ায়নি ৷ মাঠ বদলেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে আশঙ্কার চোরাস্রোত বইতে শুরু করে বাংলা শিবিরে ৷ তবে দ্বিতীয়দিনে মাঠকর্মীদের প্রচেষ্টায় খেলা শুরু করা সম্ভব হল বেলা সাড়ে তিনটেয় ৷ তারপরই ঈশান পোড়েল বুঝিয়ে দিলেন ফুরিয়ে যাননি তিনি ৷ সাত ওভার হাত ঘুরিয়ে দু'টি মেডেন-সহ 18 রানে নিলেন তিন উইকেট ৷
কেরল ওপেনার রোহন কুন্নুম্মল জাঁকিয়ে বসতেই তাঁকে লেগ বিফোর উইকেট করেন চন্দননগরের পেসার ৷ এরপর বাবা অপরাজিত (0) ও বৎসল গোবিন্দও (5) ঈশানের শিকার হন ৷ দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে 51 রান কেরলের পাশে ৷ বাঁ-হাতি স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকের ঝুলিতে যায় চতুর্থ উইকেট ৷ আদিত্য সারাওয়াতেকে পাঁচ রানে ফেরান তিনি ৷ দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন কেরল অধিনায়ক সচিন বেবি (4) ও অক্ষয় চন্দ্রন (9) ৷ রবিবাসরীয় বিকেলে যাদবপুরে চার শিকারে ঈশান যদি বঞ্চনার জবাবের ছবি হন, তাহলে স্টাম্পের পিছনে ফের জাত চেনালেন অভিজ্ঞ ঋদ্ধিমান সাহা ৷
চল্লিশ ছুঁইছুঁই পাপালি যে বিদ্যুৎগতির প্রতিবর্ত ক্রিয়ায় দু'টি ক্যাচ ধরলেন, দিনের শেষে তার প্রশংসা না-করে পারলেন না কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা ৷ আড়াই দিনের ম্যাচে কোন লক্ষ্যকে চাঁদমারি করছে বাংলা? লক্ষ্মী জানালেন, কোনও লক্ষ্য দলের সামনে ছুড়ে দেননি। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে বলেছেন ছেলেদের। রঞ্জি অভিযানে বৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বাংলা শিবির কি হতাশ ? কোচ জানালেন, লম্বা মরশুমে অনেক ক্রিকেট বাকি। তাই প্রতিটি ম্যাচ ধরে সামনে তাকাতে চান। এদিকে কেরল ম্যাচে বাংলা জার্সিতে অভিষেক হল অভিলীন ঘোষ এবং শুভম দে'র।