কলকাতা, 28 অক্টোবর: যে ফর্মে দ্বিতীয়দিন শেষ করেছিলেন, তৃতীয়দিন সেই একই আগুনে ফর্মে শুরু করেছিলেন ঈশান পোড়েল ৷ চন্দননগর পেসারের পাঁচ উইকেটে একসময় 83 রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বসেছিল কেরল ৷ এই অবস্থায় মনে হয়েছিল বাংলা চালকের আসনে বোধহয় আরও শক্তপোক্ত। কিন্তু বেলা গড়াতেই বাংলাকে বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে দাঁড় করালেন জলজ সাক্সেনা ৷ তাঁকে সঙ্গ দিলেন সলমন নিজার। বাংলার যাবতীয় বোলিং আক্রমণকে সাধারণ স্তরে নামিয়ে কেরলকে ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছে দিল এই দু'জনের ব্যাট। দিনের শেষে কেরল সাত উইকেটে 267 রান ৷
সাক্সেনা 84 রানে ফিরলেও ক্রিজে 64 রানে অপরাজিত সলমন। বিপর্যয় থেকে দলকে শক্তপোক্ত জায়গায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ করলেন জলজ এবং সলমন। 234 মিনিট ক্রিজ আঁকড়ে জুটিতে 140 রান তোলেন দু'জনে। জলজ সাক্সেনা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় নাম। অলরাউন্ড ক্রিকেট দক্ষতায় বছরের পর বছর দলকে ভরসা দিয়ে চলেছেন। সোমবারও 245 মিনিট ব্যাট করে 84 রানের ঝকঝকে ইনিংস সাজালেন এক ডজন বাউন্ডারিতে। 72 রানে একটি সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন, কিন্তু স্লিপে অপ্রত্যাশিতভাবে তা ফস্কান বাংলা অধিনায়ক অনুষ্টুপ। শেষ পর্যন্ত জলজের চার ঘণ্টার বেশি সময়ের ইনিংস থামে সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের ডেলিভারিতে।
সোমবার পুরো দিন কেরলের ইনিংস প্রত্যাঘাতের বলা চলে। প্রত্যুত্তরে বাংলার বোলিং প্রয়োগে ব্যর্থতা সর্বস্ব। ঈশান পোড়েলের নামের পাশে 83 রানে পাঁচ শিকার থাকলেও আখেরে তা কোনও কাজে এল না। প্রদীপ্ত প্রামাণিক এবং সূরজ জয়সওয়ালের ঝুলিতে একটি করে উইকেট। সবমিলিয়ে বৈচিত্র্যহীন বাংলার বোলিং পারফরম্যান্স। যা তাদের সুবিধাজনক জায়গা থেকে নিষ্ফলা ড্র'য়ের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেল। শেষদিনে কেরল যতটা সম্ভব ব্যাটিং করে বাংলাকে আরও কোণঠাসা করতে চাইবে। যাতে বাংলার তিন পয়েন্টের আশা দুরাশা হয়ে যায়।
কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা দিনের শেষে জানালেন, তাঁরা শেষ চেষ্টা করবেন। দলের ক্রিকেটাররাও হয়তো মানসিকভাবে তৈরি হচ্ছেন। কিন্তু সেই সুযোগটা পর্যাপ্তভাবে পাওয়া যাবে তো, প্রশ্ন থাকছেই। প্রশ্ন উঠল আম্পায়ারিং নিয়েও। তবে তা যে নিছক পারফরম্যান্সের খামতি আড়ালের চেষ্টা, তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার নেই।