কলকাতা, 30 মে: কলকাতায় চলে এল ভারতীয় ফুটবল দল। আগামী 6 জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচে কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত। পরের পর্বে যাওয়ার জন্য এই ম্যাচে জয় জরুরি সুনীল ছেত্রীর নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দলের। কারণ আগের ম্যাচগুলোর হতশ্রী পারফরম্যান্সের কারণে পরের পর্বে যাওয়ার রাস্তাটা ভারতীয় দল কঠিন করে ফেলেছে। ভুবনেশ্বরে শিবির করে কোচ ইগর স্টিম্যাচ ম্যাচের সাতদিন আগে কলকাতায় দল নিয়ে চলে এলেন।
এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই ভারতীয় দলের আগে কলকাতায় চলে আসা। সুনীলদের হেডস্যর বলছেন, "যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সমর্থকদের জোরালো আওয়াজ তাঁর দলকে ভালো খেলতে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাবে।" প্রাক বিশ্বকাপের ম্যাচের পাশাপাশি 6 জুন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কুয়েতের সঙ্গে ম্যাচটি ভারতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীর আর্ন্তজাতিক ফুটবলের শেষ ম্যাচ। 150টি ম্যাচে দেশের জার্সিতে 94টি গোলের মালিক ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি।
6 জুনের কুয়েত ম্যাচের দল ঘোষণা, বিশ্বকাপ যোগ্যতাঅর্জন ম্যাচে নেই গগৈ-হামাদ
ফলে সুনীলের অবসর ম্যাচকে ঘিরে আবেগের স্রোত বইতে শুরু করেছে। সদ্য ভারতীয় দলে সুযোগ পাওয়া ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গা সুনীলের থেকে অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন । অনিরুদ্ধ থাপা বিদায়ী ম্যাচে অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীকে জয় উপহার দেওয়ার কথা বলছেন। সমর্থকরা অধিনায়কের শেষ ম্যাচে উপস্থিত থাকতে মরিয়া। 6 জুনের টিকিট নিঃশেষিত। বুধবার বিকেলে ভারতীয় দলকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। আবেগের এই সুনামিতে সুনীল ছেত্রী স্বয়ং আবেগতাড়িত।
ভারতীয় ফুটবলের পোস্টার বয় বলছেন, "শেষ কয়েকটি দিন আমি দ্বিধার মধ্যে রয়েছি। জাতীয় দলের সঙ্গে আমার আর কয়েকটি দিন বাকি রয়েছে। আমি সেই দিন গুলোকে কীভাবে দেখব? আমি কি প্রতিটি দিন গুনব, প্রতিটি অনুশীলন হিসাব করব? কোনটা হবে আমার সঠিক পথ? অথবা শেষ ম্যাচটা কোনও চিন্তা না-করে স্বাভাবিকভাবে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হব? সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মনে হচ্ছে আমি মাঠের মাঝখানে। মাঠের মাঝখানে বলার কারণ কোনও কিছুই আমার কাছে সহজে আসেনি। তাই ঠিক প্রতিটি অনুশীলন প্রতিটি ক্ষণ আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করব। কোনও প্রশংসা ছাড়াই মনে হচ্ছে আমি ফুটবলের কাছে ভীষণভাবে ঋণী। আমি যা পেয়েছি তার জন্য আমার দলের কাছেও ঋণী।"
62 হাজার মুখোশ-পুষ্প বৃষ্টিতে সুনীলের বিদায়ী ম্যাচ স্মরণীয় করার পরিকল্পনা