বুদাপেস্ট (হাঙ্গেরি), 22 সেপ্টেম্বর: জোড়া সোনায় ইতিহাস দাবা অলিম্পিয়াডে। প্রথমবার সোনার অলো লাগল ভারতীয় দাবায়। এবং সেটাও অলিম্পিয়াডের মঞ্চে। যা দেখে কিংবদন্তী দাবাড়ু এবং পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বিশ্বনাথন আনন্দ অভিনন্দন বার্তা দিয়েছেন ছেলেদের ভারতীয় দলকে।
সোনা যে আসতে পারে তার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল শনিবার রাত থেকেই। কিন্তু ছোট্ট একটা অঙ্কের হিসেব বিষয়টি আটকে ছিল। রবিবার 11তম ও শেষ রাউন্ডে হারা চলবে না এবং স্লোভেনিয়ার বিরুদ্ধে দুটো গেম জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে কাঙ্খিত সোনার পদক। রবিবার সন্ধেয় ঠিক সেটাই হল। প্রথমে জেতেন অর্জুন এরিগাইসির জয় জান সুবেলের বিরুদ্ধে। এরপরে দোম্মারাজু গুকেশ জয় তুলে নেন ভ্লাদিমির ফেদোসিভের বিরুদ্ধে। তার সঙ্গেই নিশ্চিত হয়ে যায় সোনা।
এর আগে দু’বার ব্রোঞ্জে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল দাবা অলিম্পিয়াডে। গতবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়েও প্রাপ্তি ছিল ব্রোঞ্জ। কিন্তু 2024 বুদাপেস্ট অলিম্পিয়াড উজ্বল হয়ে রইল ভারতের সোনা জয়ে। অর্জুন, গুকেশ, রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ, বিদিত গুজরাটি ও পেন্টালা হরিকৃষ্ণ ভারতীয় দাবার নতুন মুখের সারি। যারা স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। দাবা অলিম্পিয়াডে আগে কখনও সোনা জেতেনি ভারত। রবিবার জোড়া সোনা জিতে ইতিহাস গড়ে ফেলল ভারতের দুই টিম। প্রথম হিসেবে ওপেন বিভাগে সোনা জিতলেন ভারতের ছেলেরা। তার কিছু পরেই মেয়েদের টিমও সোনা জিতে ‘ডাবল’ সম্পূর্ণ করে।
মেয়েদের বিভাগে রবিবার ভারত 3.5-0.5 ফলে হারায় আজারবাইজানকে। কিন্তু তাতেও নিশ্চিত ছিল না সোনা। এখানেও সেই অঙ্ক। কাজাখস্তানকে যদি ইউএসএ হারায় বা ড্র করে তবেই মিলবে সোনা। কাজাখস্তান ড্র করতেই সোনার আলো লাগল হরিকা দ্রোণাভাল্লী, দিব্যা দেশমুখ, তানিয়া সচদেব, বন্তিকা আগরওয়াল, রমেশবাবু বৈশালীদের ভুখে।
রবিবার সকালে বিশ্বের তিন নম্বর দাবাড়ু হিকারু নাকামুরার এক্স হ্যাণ্ডেলে ছিল সোনার ইতিহাসের ইঙ্গিত। তিনি পোষ্ট করেছিলেন বিশ্বনাথন আনন্দের ছেলেবেলার একটা ছবি। সঙ্গে লেখা, ‘এই ছেলেটা যে ভাবে শুধু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নই হয়নি, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে দাবাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কিংবদন্তি। ভারতকে অনেক অভিনন্দন দাবা অলিম্পিয়াডে সোনা জেতার জন্য।’ বিশ্বনাথন আনন্দের দেখানো পথেই চৌষট্টি খোপের খেলায় ভারতীয় ছেলে এবং মেয়েরা সোনার সিংহাহনে।