ETV Bharat / sports

চার গোলে লজ্জার হার, আইএসএলে ক্রমেই বিবর্ণ হচ্ছে মহমেডান

প্রথম পনেরো মিনিটে তিন গোল হজমের ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে গিয়েছিল । হায়দরাবাদের গোল আরও বাড়ত যদি না পদম অন্তত গোটা তিনেক গোল বাঁচাতেন ।

Hyderabad FC beat Mohammedan SC
ক্রমেই বিবর্ণ হচ্ছে মহমেডান (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : 3 hours ago

কলকাতা, 26 অক্টোবর: সময় যত গড়াচ্ছে আইএসএলের মঞ্চে ধরা পড়ে যাচ্ছে মহমেডান স্পোর্টিং । ছয় ম্যাচে চার হার । প্রতিটি ম্যাচেই জ্বলে ওঠার ফুলকি দেখা যায়, কিন্তু তা দাবানল হয়ে ওঠে না । ফলে প্রাথমিক ঝটকা সামলে দিতে পারলেই আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা বিবর্ণ । শনিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসির কাছে 0-4 গোলে আত্মসমর্পণ ব্ল্যাক প্যান্থার্সের ।

বড় ব্যবধানে হায়দরাবাদ এফসি জয়ে ভূমিকা অ্যাল্যান মিরান্ডার জোড়া গোল, একটি করে গোল করেন স্টিফান স্যাপিচ, পরাগ শ্রীবাসের । পাঁচ ম্যাচে প্রথম জয় নিজামের শহরের দলের । গোল-বৃষ্টির শুরুটা করেন অ্যালান মিরান্ডা । সাদা-কালো রক্ষণের ভুলে এই গোল হয় । ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার এগিয়ে আসছেন দেখেও ফ্লোরেন্ত ব্যাক পাস করেন গোলরক্ষক পদমকে । তিনি বল বার করতে হাওয়াতেই পা চালালেন । ফলে সুযোগসন্ধানী মিরান্ডার বল জালে জড়াতে কোনও অসুবিধা হয়নি।

দর্শকরা যখন আশা করছেন, মহমেডান সমতা ফেরাবেন, আট মিনিট পরেই ফের হতাশা । সাই গোদার্দের কর্নার থেকে উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে গোল করলেন স্টিফান স্যাপিচ । তিনি যখন উঠলেন সামনেই লালরেমসাঙ্গা এবং জুইডিকা দাঁড়িয়ে, কিন্তু তাঁরা কোনও বাধাই দিলেন না । ফ্লোরেন্তও নিজের জায়গায় ছিলেন না ।

তিন মিনিট পরেই ফের দীর্ঘশ্বাস ফেলার পালা মহমেডানের । এবারে ফের সেই মিরান্ডা । পরাগ শ্রীবাসের বাড়ানো বল থেকে দ্বিতীয় বার স্কোরশিটে নাম তোলেন । প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, ফ্লোরেন্ত সামনে থাকলেও তিনি বাধা দিলেন না কেন ? এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর চের্নিশভ হাতড়ে বেড়াবেন । আক্রমণাত্মক ছকে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙার কৌশল তাঁর । কিন্তু যাদের ওপর ভর করে আক্রমণ সাজাচ্ছেন, তারা ‘গোললেস ওয়ান্ডার’ । ব্রাজিলীয় ফ্রাঙ্কা সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ন। কিন্তু গোলের দরজা খুঁজে পান না । আর্জেন্তিনার অ্যালেক্সিস বল নিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট করেন । ফলে আক্রমণগুলো দিশা পায় না । রেমসাঙ্গা প্রান্ত ধরে দৌড়ন, কিন্তু তা উদ্দেশ্যহীন । একই কথা মাখন ছোটে সম্বন্ধেও বলা যায় । ফলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের আক্রমণ প্রাথমিকভাবে ভয়ঙ্কর মনে হলেও দিনের শেষে নিষ্ফলা ।

দলের রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণ এই তিন বিভাগের হতশ্রী পারফরম্যান্সে চের্নিশভ মেজাজ হারালেন । গ্যালারিতে প্রিয় দলকে উৎসাহ দিতে পছন্দ করা সমর্থকরা চুপ করে থাকলেন । খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পনেরো আগে মাঠ ছাড়লেন । প্রথমবার আইএসএলে খেলতে এসে সাদা-কালো ফুটবলাররা এখনও আই লিগের ঘোরে রয়েছে । তাই প্রাথমিক চমকের রেশ কাটতেই মহমেডান স্পোর্টিং ধরা পড়ে যাচ্ছে । তাদের পরের ম্যাচ 9 নভেম্বর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে । মাঝের কয়েক দিনে পারফরম্যান্সের উন্নতি না-হলে আইএসএলে এখনও অবধি খাতা না-খোলা ইস্টবেঙ্গলও পয়েন্ট ছিনিয়ে নেবে ।

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 26 অক্টোবর: সময় যত গড়াচ্ছে আইএসএলের মঞ্চে ধরা পড়ে যাচ্ছে মহমেডান স্পোর্টিং । ছয় ম্যাচে চার হার । প্রতিটি ম্যাচেই জ্বলে ওঠার ফুলকি দেখা যায়, কিন্তু তা দাবানল হয়ে ওঠে না । ফলে প্রাথমিক ঝটকা সামলে দিতে পারলেই আন্দ্রে চের্নিশভের ছেলেরা বিবর্ণ । শনিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসির কাছে 0-4 গোলে আত্মসমর্পণ ব্ল্যাক প্যান্থার্সের ।

বড় ব্যবধানে হায়দরাবাদ এফসি জয়ে ভূমিকা অ্যাল্যান মিরান্ডার জোড়া গোল, একটি করে গোল করেন স্টিফান স্যাপিচ, পরাগ শ্রীবাসের । পাঁচ ম্যাচে প্রথম জয় নিজামের শহরের দলের । গোল-বৃষ্টির শুরুটা করেন অ্যালান মিরান্ডা । সাদা-কালো রক্ষণের ভুলে এই গোল হয় । ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার এগিয়ে আসছেন দেখেও ফ্লোরেন্ত ব্যাক পাস করেন গোলরক্ষক পদমকে । তিনি বল বার করতে হাওয়াতেই পা চালালেন । ফলে সুযোগসন্ধানী মিরান্ডার বল জালে জড়াতে কোনও অসুবিধা হয়নি।

দর্শকরা যখন আশা করছেন, মহমেডান সমতা ফেরাবেন, আট মিনিট পরেই ফের হতাশা । সাই গোদার্দের কর্নার থেকে উচ্চতাকে কাজে লাগিয়ে গোল করলেন স্টিফান স্যাপিচ । তিনি যখন উঠলেন সামনেই লালরেমসাঙ্গা এবং জুইডিকা দাঁড়িয়ে, কিন্তু তাঁরা কোনও বাধাই দিলেন না । ফ্লোরেন্তও নিজের জায়গায় ছিলেন না ।

তিন মিনিট পরেই ফের দীর্ঘশ্বাস ফেলার পালা মহমেডানের । এবারে ফের সেই মিরান্ডা । পরাগ শ্রীবাসের বাড়ানো বল থেকে দ্বিতীয় বার স্কোরশিটে নাম তোলেন । প্রশ্ন উঠতে বাধ্য, ফ্লোরেন্ত সামনে থাকলেও তিনি বাধা দিলেন না কেন ? এরকম একাধিক প্রশ্নের উত্তর চের্নিশভ হাতড়ে বেড়াবেন । আক্রমণাত্মক ছকে প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙার কৌশল তাঁর । কিন্তু যাদের ওপর ভর করে আক্রমণ সাজাচ্ছেন, তারা ‘গোললেস ওয়ান্ডার’ । ব্রাজিলীয় ফ্রাঙ্কা সারা মাঠ জুড়ে দৌড়ন। কিন্তু গোলের দরজা খুঁজে পান না । আর্জেন্তিনার অ্যালেক্সিস বল নিয়ে অহেতুক সময় নষ্ট করেন । ফলে আক্রমণগুলো দিশা পায় না । রেমসাঙ্গা প্রান্ত ধরে দৌড়ন, কিন্তু তা উদ্দেশ্যহীন । একই কথা মাখন ছোটে সম্বন্ধেও বলা যায় । ফলে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের আক্রমণ প্রাথমিকভাবে ভয়ঙ্কর মনে হলেও দিনের শেষে নিষ্ফলা ।

দলের রক্ষণ, মাঝমাঠ, আক্রমণ এই তিন বিভাগের হতশ্রী পারফরম্যান্সে চের্নিশভ মেজাজ হারালেন । গ্যালারিতে প্রিয় দলকে উৎসাহ দিতে পছন্দ করা সমর্থকরা চুপ করে থাকলেন । খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পনেরো আগে মাঠ ছাড়লেন । প্রথমবার আইএসএলে খেলতে এসে সাদা-কালো ফুটবলাররা এখনও আই লিগের ঘোরে রয়েছে । তাই প্রাথমিক চমকের রেশ কাটতেই মহমেডান স্পোর্টিং ধরা পড়ে যাচ্ছে । তাদের পরের ম্যাচ 9 নভেম্বর ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে । মাঝের কয়েক দিনে পারফরম্যান্সের উন্নতি না-হলে আইএসএলে এখনও অবধি খাতা না-খোলা ইস্টবেঙ্গলও পয়েন্ট ছিনিয়ে নেবে ।

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.