ETV Bharat / sports

সবুজ গালিচা থেকে বাইশ গজ, জীবনের ময়দান ছেড়ে তারার দেশে যে তারকারা - SPORTS PERSONALITIES DIED IN 2024

ক্রীড়াক্ষেত্রে যেভাবে একাধিক নজির দেখেছে বিশ্ব, তেমনই তারকা বিয়োগের যন্ত্রণাও রয়েছে । বছর শেষে তাঁদেরকেই স্মরণ করল ইটিভি ভারত ।

Sports Personalities Death
তারার দেশে তারকারা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Sports Team

Published : 2 hours ago

হায়দরাবাদ, 17 ডিসেম্বর: শেষের পথে 2024 । বর্ষবরণের প্রহর গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ চলছে শেষ হতে চলা বছর থেকে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব-নিকেশও ৷ অন্যান্য বছরের মতো এবছরও ঘটনাবহুল । ক্রীড়াক্ষেত্রে যেভাবে একাধিক নজির দেখেছে বিশ্ব, তেমনই তারকা বিয়োগের যন্ত্রণাও রয়েছে ।

সবুজ গালিচা থেকে বাইশ গজ, বছরের পর বছর নিজেদের শৈলিতে মন মজিয়েছেন যারা, তাঁদের অনেকেই জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন । ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার থেকে মারিও জাগালো হয়ে কলকাতা ময়দানের টিকে চাত্তুনি, তারার দেশে পাড়ি দেওয়া তারকাদের সংখ্যাটা নেহাতই কম নয় । বছর শেষে তাঁদেরকেই স্মরণ করল ইটিভি ভারত ।

টিকে চাত্তুনি (T. K. Chathunni), ফুটবল কোচ: মোহনবাগানের প্রথম জাতীয় লিগ জয়ী কোচ টিকে চাত্তুনি ৷ 1997 সালে মোহনবাগানকে প্রথম জাতীয় লিগ জেতানো কোচ তিনি ৷ 12 জুন প্রয়াত হন তিনি, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 79 বছর ৷

T. K. Chathunni
টিকে চাত্তুনি (ইটিভি ভারত)

1997-98 ফুটবল মরশুমে সালগাওকার থেকে এসেই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেন টিকে চাত্তুনি ৷‌ অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেমের তখন রমরমা ৷ 1997 সালের ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে বিদায় নেয় সবুজ-মেরুন ৷ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চাত্তুনির সালগাওকার ৷ মোহনবাগান কর্তাদের নজরে পড়ে যান কেরালার কোচ ৷ অমল দত্তের জায়গায় জাতীয় লিগে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ দায়িত্ব নিয়েই অল্প দিনের কোচিংয়ে জাতীয় লিগ জেতান মোহনবাগানকে ৷ তবে, কলকাতায় টিকে চাত্তুনির কোচিং জীবন খুব বেশি দিনের ছিল না ৷ পরবর্তীকালে আর এখানকার কোনও দলকে কোচিং করাতে দেখা যায়নি ৷

জয়ন্ত পুশিলাল (Jayanta Pushilal), দ্রোণাচার্য পুরস্কার বিজয়ী টেবিল টেনিস কোচ: বাংলার টেবল টেনিসের 'দ্রোণাচার্য' কোচ জয়ন্ত পুশিলাল । দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি । অরূপ বসাক, মৌমা দাস, প্রাপ্তি সেনের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় গড়েছেন তিনি । আমেরিকায় গিয়েও অলিম্পিয়ান তৈরি করেছেন । 9 সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন তিনি ৷

Jayanta Pushilal
জয়ন্ত পুশিলাল (গেটি ইমেজেস)

অংশুমান গায়কোয়াড় (Anshuman Gaekwad), প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার: ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় ৷ দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 71 বছর ৷

Anshuman Gaekwad
অংশুমান গায়কোয়াড় (গেটি ইমেজেস)

দেশের হয়ে 40টি টেস্ট ও 15টি একদিনের ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা অংশুমান গায়কোয়াড় ছিলেন সুনীল গাভাসকরের অন্যতম ওপেনিং পার্টনার । 71 বছর বয়সি গায়কোয়াড়ের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন ৷ বোর্ডও সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে 1 কোটি টাকা তাঁর চিকিৎসা বাবদ দেয় ৷ একই সঙ্গে 1983 বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরাও তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ৷ 2018 সালে ভারতীয় বোর্ডের তরফে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হয় অংশুমান গায়কোয়াড়কে ৷

দত্তাজিরাও গায়কোয়াড় (Dattajirao Krishnarao Gaekwad), ক্রিকেটার: 1952 সালে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর । স্বাধীন দেশের প্রথম প্রজন্মের ক্রিকেটার খেলেছিলেন মোট 11টি টেস্ট । মৃত্যুর আগে দেশের প্রবীণতম টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন তিনি ৷

ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ (Frank Duckworth): ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ছিলেন তিনি ৷ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও তাঁর সহকর্মী পরিসংখ্যানবিদ অ্যান্টনি জন লুইসের (টনি লুইস) প্রণীত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি, বৃষ্টি-প্রভাবিত ক্রিকেট ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয় । ডাকওয়ার্থ এবং লুইস দুজন’কেই 2010 সালের জুন মাসে এমবিই’তে (মেম্বার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) ভূষিত করা হয়েছিল । 2020 সালের 15 মার্চে প্রয়াত হন টনি লুইস ৷ এই বছর চলে গেলেন তাঁর সহকর্মীও ৷

Frank Duckworth
ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ (গেটি ইমেজেস)

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার 1997 সালে ব্যবহার করা হয়েছিল এই পদ্ধতি ৷ 2001 সালে আইসিসি’তে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদ্ধতিটি গৃহীত হয় । পরে 2007 সালে অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন এই পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করেন । ফলে ডাকওয়ার্থ এবং লুইসের অবসর গ্রহণের পর পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতি ৷

ডেরেক আন্ডারউড (Derek Underwood), ইংরেজ ক্রিকেটার: উইকেট নেওয়ার দক্ষতার জন্য বাঁ-হাতি স্পিনারকে সতীর্থেরা ডাকতেন ‘ডেডলি’ নামে । ইংল্যান্ডের হয়ে 86টি টেস্ট খেলে 297টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি । 1966 সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল আন্ডারউডের । অবসর নেন 1982 সালে । বৃষ্টিভেজা পিচ থাকলেই জাদু দেখাতেন তিনি ৷

Derek Underwood
ডেরেক আন্ডারউড (গেটি ইমেজেস)

আন্দ্রেয়াস ব্রেহমে (Andreas Brehme), 1990 বিশ্বকাপজয়ী গোল স্কোরার: 1990 বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রেহমের স্পটকিক থেকে করা গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি । দিয়েগো মারাদোনার হৃদয় ভেঙেছিল তাঁর জালছোঁয়া শটেই ৷

Andreas Brehme
আন্দ্রেয়াস ব্রেহমে (গেটি ইমেজেস)

জোহান নিসকেন্স (Johan Neeskens), ফুটবলার: 1974 এবং 1978 সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে রানার্স নেদারল্যান্ডস দলের সদস্য ছিলেন তিনি ৷ 1974 সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর 90 সেকেন্ডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস ৷ ডাচরা সেই ফাইনাল জিততে না-পারলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালে দ্রুততম গোল সেটিই ৷

Johan Neeskens
জোহান নিসকেন্স (গেটি ইমেজেস)

ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (Franz Beckenbauer), জার্মান ফুটবলার: ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে ফুটবলে বিশ্বজয়ের নজির বিরল ৷ যে তিন জন কিংবদন্তি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার তাঁদের একজন ৷ ফুটবল সার্কিটে যিনি পরিচিত ছিলেন 'কাইজার' নামে ৷ মৃত্যুকালে জার্মান এবং একইসঙ্গে বায়ার্ন মিউনিখ কিংবদন্তির বয়স হয়েছিল 78 বছর ৷

Franz Beckenbauer
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (গেটি ইমেজেস)

সালভাতোর 'টোটো' শিলাচি (Salvatore Schillaci), ইতালীয় স্ট্রাইকার: দেশের জার্সিতে লম্বা নয় কেরিয়ার ৷ খেলেছিলেন মাত্র 16টি ম্যাচ ৷ তার মধ্যেই আদায় করে নিয়েছিলেন দেশের বিশ্বকাপ আইকনের তকমা ৷ তার কারণও ছিল সঙ্গত ৷ 1990 বিশ্বকাপে 6টি গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ী সেই প্রাক্তন ইতালি ফুটবলার সালভাতোর শিলাচি প্রয়াত হলেন বুধবার ৷ বিশ্ব ফুটবলে যিনি পরিচিত ছিলেন 'তোতো' নামে ৷ মাত্র 59 বছরে কোলন ক্যান্সার কেড়ে নিল আইকনিক ফুটবলারকে ৷

Salvatore Schillaci
সালভাতোর 'টোটো' শিলাচি (গেটি ইমেজেস)

2022 থেকে কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন সালভাতোর 'তোতো' শিলাচি ৷ জানা গিয়েছে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় কিছুদিন আগে ফের পালেরমোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন ফুটবলারকে ৷ সেই হাসপাতালের তরফেই এদিন সকালে শিলাচির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয় ৷ কেরিয়ারে মেসিনা, জুভেন্তাস, ইন্টার মিলানের মত ক্লাবে খেললেও অনুরাগীরা শিলাচিকে মনে রাখবেন 1990 বিশ্বকাপের জন্যই ৷

মারিও জাগালো (Mario Zagallo), ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার: খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি । ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি প্রয়াত হন 5 জানুয়ারি ৷ মৃত্যুকালে জাগালোর বয়স হয়েছিল 92 বছর ।

Gigi Riva
গিগি রিভা (গেটি ইমেজেস)

লুইগি 'গিগি' রিভা (Gigi Riva), ইতালির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা: রোম্বো ডি টুওনো ! গোদা বাংলায় ‘রোর অফ থান্ডার’ ৷ এই নামেই পরিচিত ছিলেন ইতালির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ৷ আজ্জুরিদের অন্যতম ভরসা দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন 42টি ম্যাচ ৷ জালে বল জড়িয়েছেন 35 বার ৷

আরও পড়ুন

হায়দরাবাদ, 17 ডিসেম্বর: শেষের পথে 2024 । বর্ষবরণের প্রহর গোনা শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ চলছে শেষ হতে চলা বছর থেকে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসেব-নিকেশও ৷ অন্যান্য বছরের মতো এবছরও ঘটনাবহুল । ক্রীড়াক্ষেত্রে যেভাবে একাধিক নজির দেখেছে বিশ্ব, তেমনই তারকা বিয়োগের যন্ত্রণাও রয়েছে ।

সবুজ গালিচা থেকে বাইশ গজ, বছরের পর বছর নিজেদের শৈলিতে মন মজিয়েছেন যারা, তাঁদের অনেকেই জীবনযুদ্ধে পরাজিত হয়েছেন । ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার থেকে মারিও জাগালো হয়ে কলকাতা ময়দানের টিকে চাত্তুনি, তারার দেশে পাড়ি দেওয়া তারকাদের সংখ্যাটা নেহাতই কম নয় । বছর শেষে তাঁদেরকেই স্মরণ করল ইটিভি ভারত ।

টিকে চাত্তুনি (T. K. Chathunni), ফুটবল কোচ: মোহনবাগানের প্রথম জাতীয় লিগ জয়ী কোচ টিকে চাত্তুনি ৷ 1997 সালে মোহনবাগানকে প্রথম জাতীয় লিগ জেতানো কোচ তিনি ৷ 12 জুন প্রয়াত হন তিনি, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল 79 বছর ৷

T. K. Chathunni
টিকে চাত্তুনি (ইটিভি ভারত)

1997-98 ফুটবল মরশুমে সালগাওকার থেকে এসেই মোহনবাগানকে চ্যাম্পিয়ন করেন টিকে চাত্তুনি ৷‌ অমল দত্তের ডায়মন্ড সিস্টেমের তখন রমরমা ৷ 1997 সালের ফেডারেশন কাপ সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে বিদায় নেয় সবুজ-মেরুন ৷ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় চাত্তুনির সালগাওকার ৷ মোহনবাগান কর্তাদের নজরে পড়ে যান কেরালার কোচ ৷ অমল দত্তের জায়গায় জাতীয় লিগে গঙ্গাপাড়ের ক্লাবের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে ৷ দায়িত্ব নিয়েই অল্প দিনের কোচিংয়ে জাতীয় লিগ জেতান মোহনবাগানকে ৷ তবে, কলকাতায় টিকে চাত্তুনির কোচিং জীবন খুব বেশি দিনের ছিল না ৷ পরবর্তীকালে আর এখানকার কোনও দলকে কোচিং করাতে দেখা যায়নি ৷

জয়ন্ত পুশিলাল (Jayanta Pushilal), দ্রোণাচার্য পুরস্কার বিজয়ী টেবিল টেনিস কোচ: বাংলার টেবল টেনিসের 'দ্রোণাচার্য' কোচ জয়ন্ত পুশিলাল । দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন তিনি । অরূপ বসাক, মৌমা দাস, প্রাপ্তি সেনের মতো জাতীয় চ্যাম্পিয়ন খেলোয়াড় গড়েছেন তিনি । আমেরিকায় গিয়েও অলিম্পিয়ান তৈরি করেছেন । 9 সেপ্টেম্বর প্রয়াত হন তিনি ৷

Jayanta Pushilal
জয়ন্ত পুশিলাল (গেটি ইমেজেস)

অংশুমান গায়কোয়াড় (Anshuman Gaekwad), প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার: ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং কোচ অংশুমান গায়কোয়াড় ৷ দীর্ঘদিন ধরে ব্লাড ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 71 বছর ৷

Anshuman Gaekwad
অংশুমান গায়কোয়াড় (গেটি ইমেজেস)

দেশের হয়ে 40টি টেস্ট ও 15টি একদিনের ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করা অংশুমান গায়কোয়াড় ছিলেন সুনীল গাভাসকরের অন্যতম ওপেনিং পার্টনার । 71 বছর বয়সি গায়কোয়াড়ের ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে আবেদন করেছিলেন ৷ বোর্ডও সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে 1 কোটি টাকা তাঁর চিকিৎসা বাবদ দেয় ৷ একই সঙ্গে 1983 বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরাও তাঁদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ৷ 2018 সালে ভারতীয় বোর্ডের তরফে জীবনকৃতি সম্মানে ভূষিত করা হয় অংশুমান গায়কোয়াড়কে ৷

দত্তাজিরাও গায়কোয়াড় (Dattajirao Krishnarao Gaekwad), ক্রিকেটার: 1952 সালে ভারতের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল তাঁর । স্বাধীন দেশের প্রথম প্রজন্মের ক্রিকেটার খেলেছিলেন মোট 11টি টেস্ট । মৃত্যুর আগে দেশের প্রবীণতম টেস্ট ক্রিকেটার ছিলেন তিনি ৷

ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ (Frank Duckworth): ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন (ডিএলএস) পদ্ধতির অন্যতম উদ্ভাবক ছিলেন তিনি ৷ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ ও তাঁর সহকর্মী পরিসংখ্যানবিদ অ্যান্টনি জন লুইসের (টনি লুইস) প্রণীত ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতি, বৃষ্টি-প্রভাবিত ক্রিকেট ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের জন্য ব্যবহৃত হয় । ডাকওয়ার্থ এবং লুইস দুজন’কেই 2010 সালের জুন মাসে এমবিই’তে (মেম্বার অফ দ্য অর্ডার অফ দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) ভূষিত করা হয়েছিল । 2020 সালের 15 মার্চে প্রয়াত হন টনি লুইস ৷ এই বছর চলে গেলেন তাঁর সহকর্মীও ৷

Frank Duckworth
ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থ (গেটি ইমেজেস)

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথমবার 1997 সালে ব্যবহার করা হয়েছিল এই পদ্ধতি ৷ 2001 সালে আইসিসি’তে (ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল) আনুষ্ঠানিকভাবে এই পদ্ধতিটি গৃহীত হয় । পরে 2007 সালে অস্ট্রেলিয়ান পরিসংখ্যানবিদ স্টিভেন স্টার্ন এই পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন করেন । ফলে ডাকওয়ার্থ এবং লুইসের অবসর গ্রহণের পর পদ্ধতিটির নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ লুইস স্টার্ন পদ্ধতি ৷

ডেরেক আন্ডারউড (Derek Underwood), ইংরেজ ক্রিকেটার: উইকেট নেওয়ার দক্ষতার জন্য বাঁ-হাতি স্পিনারকে সতীর্থেরা ডাকতেন ‘ডেডলি’ নামে । ইংল্যান্ডের হয়ে 86টি টেস্ট খেলে 297টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি । 1966 সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল আন্ডারউডের । অবসর নেন 1982 সালে । বৃষ্টিভেজা পিচ থাকলেই জাদু দেখাতেন তিনি ৷

Derek Underwood
ডেরেক আন্ডারউড (গেটি ইমেজেস)

আন্দ্রেয়াস ব্রেহমে (Andreas Brehme), 1990 বিশ্বকাপজয়ী গোল স্কোরার: 1990 বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রেহমের স্পটকিক থেকে করা গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল জার্মানি । দিয়েগো মারাদোনার হৃদয় ভেঙেছিল তাঁর জালছোঁয়া শটেই ৷

Andreas Brehme
আন্দ্রেয়াস ব্রেহমে (গেটি ইমেজেস)

জোহান নিসকেন্স (Johan Neeskens), ফুটবলার: 1974 এবং 1978 সালে বিশ্বকাপ ফুটবলে রানার্স নেদারল্যান্ডস দলের সদস্য ছিলেন তিনি ৷ 1974 সালে পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর 90 সেকেন্ডের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস ৷ ডাচরা সেই ফাইনাল জিততে না-পারলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনালে দ্রুততম গোল সেটিই ৷

Johan Neeskens
জোহান নিসকেন্স (গেটি ইমেজেস)

ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (Franz Beckenbauer), জার্মান ফুটবলার: ফুটবলার এবং কোচ হিসেবে ফুটবলে বিশ্বজয়ের নজির বিরল ৷ যে তিন জন কিংবদন্তি এই কৃতিত্ব অর্জন করেছেন, ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার তাঁদের একজন ৷ ফুটবল সার্কিটে যিনি পরিচিত ছিলেন 'কাইজার' নামে ৷ মৃত্যুকালে জার্মান এবং একইসঙ্গে বায়ার্ন মিউনিখ কিংবদন্তির বয়স হয়েছিল 78 বছর ৷

Franz Beckenbauer
ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার (গেটি ইমেজেস)

সালভাতোর 'টোটো' শিলাচি (Salvatore Schillaci), ইতালীয় স্ট্রাইকার: দেশের জার্সিতে লম্বা নয় কেরিয়ার ৷ খেলেছিলেন মাত্র 16টি ম্যাচ ৷ তার মধ্যেই আদায় করে নিয়েছিলেন দেশের বিশ্বকাপ আইকনের তকমা ৷ তার কারণও ছিল সঙ্গত ৷ 1990 বিশ্বকাপে 6টি গোল করে গোল্ডেন বুট জয়ী সেই প্রাক্তন ইতালি ফুটবলার সালভাতোর শিলাচি প্রয়াত হলেন বুধবার ৷ বিশ্ব ফুটবলে যিনি পরিচিত ছিলেন 'তোতো' নামে ৷ মাত্র 59 বছরে কোলন ক্যান্সার কেড়ে নিল আইকনিক ফুটবলারকে ৷

Salvatore Schillaci
সালভাতোর 'টোটো' শিলাচি (গেটি ইমেজেস)

2022 থেকে কোলন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন সালভাতোর 'তোতো' শিলাচি ৷ জানা গিয়েছে, অবস্থার অবনতি হওয়ায় কিছুদিন আগে ফের পালেরমোর একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন ফুটবলারকে ৷ সেই হাসপাতালের তরফেই এদিন সকালে শিলাচির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয় ৷ কেরিয়ারে মেসিনা, জুভেন্তাস, ইন্টার মিলানের মত ক্লাবে খেললেও অনুরাগীরা শিলাচিকে মনে রাখবেন 1990 বিশ্বকাপের জন্যই ৷

মারিও জাগালো (Mario Zagallo), ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার: খেলোয়াড় ও কোচের ভূমিকায় ইতিহাসে প্রথম বিশ্বকাপ জিতেছিলেন তিনি । ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি প্রয়াত হন 5 জানুয়ারি ৷ মৃত্যুকালে জাগালোর বয়স হয়েছিল 92 বছর ।

Gigi Riva
গিগি রিভা (গেটি ইমেজেস)

লুইগি 'গিগি' রিভা (Gigi Riva), ইতালির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা: রোম্বো ডি টুওনো ! গোদা বাংলায় ‘রোর অফ থান্ডার’ ৷ এই নামেই পরিচিত ছিলেন ইতালির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা ৷ আজ্জুরিদের অন্যতম ভরসা দেশের জার্সিতে খেলেছিলেন 42টি ম্যাচ ৷ জালে বল জড়িয়েছেন 35 বার ৷

আরও পড়ুন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.