ETV Bharat / sports

বিড়ালের গলায় ঘণ্টা বাঁধবে কে, লাল-হলুদের সমালোচনায় প্রাক্তনরা - লাল হলুদের সমালোচনায় প্রাক্তনরা

East Bengal Ban: যে ক্লাব এই কাজ করেছে তাদের যেমন ফুটবলারদের নথির ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত, তেমনই যে ফুটবলার এই নথি জমা দিচ্ছে তাদেরও সৎ হওয়া জরুরি । বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে ব্যান হওয়ার পরই ইস্টবেঙ্গলের সমালোচনায় প্রাক্তন ফুটবলাররা ৷

20889191
20889191
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 2, 2024, 6:44 PM IST

কলকাতা, 2 মার্চ: কলঙ্কিত ইস্টবেঙ্গল ৷ খেলোয়াড়দের বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে লাল-হলুদের অনুর্ধ্ব-17 দলকে ব্যান করেছে ফেডারেশন ৷ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ব্যান হয়েছে, বড় খবর । আমার মনে হয় খুন করার চেয়েও বড় অপরাধ । ফুটবলকে নিয়ে তঞ্চকতা করেছে । আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম তা প্রমাণিত হয়েছে । আমি কয়েকদিন আগেই বলেছিলাম নৌকা তরতরিয়ে চলবে । তা চলছে । আমরা ফুটবল খেলি । মাঠে গিয়ে মস্তানি করি না ৷”

অনুর্ধ্ব-17 যুব লিগের ডার্বিতে বয়স ভাঁড়িয়ে ফুটবলার খেলিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি । তা প্রমাণিত হওয়ায় চলতি মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গলের ওপর নির্বাসনের শাস্তি চাপিয়েছে ফেডারেশন । শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের কাছে যা অস্বস্তিকর এবং লজ্জার । স্বাভাবিকভাবেই ময়দানে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে । ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বয়স ভাঁড়ানো সবসময়ই অপরাধ । এই কাজ যে দলই করে থাকুক তা নিন্দনীয় । বড় দল হোক বা ছোট দল, এই কাজ ভারতীয় ফুটবলের জন্য খারাপ ছবি । যে ক্লাব এই কাজ করেছে তাদের যেমন ফুটবলারদের নথির ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত, তেমনই যে ফুটবলার এই নথি জমা দিচ্ছে তাদেরও সৎ হওয়া জরুরি । তবে বয়স ভাঁড়ানো ভারতীয় ফুটবলে বহুদিনের রোগ । সম্মেলিতভাবে চেষ্টা না-করলে এই রোগের উপশম হবে না । এখন ইস্টবেঙ্গল ধরা পড়েছে । অতীতে অন্য ক্লাবেরও একই অপরাধে ধরা পড়ার উদাহরণ রয়েছে ৷”

বয়স ভাড়ানো যে নিন্দার তা মনে করছেন অলোক মুখোপাধ্যায় । তিনিও এই কাজের বিরোধী । কারণ এর ফলে ক্ষতি হয় ফুটবলের । প্রাক্তন ডিফেন্ডার বলছেন, “এই বদভ্যাস বহু পুরনো । বেশি বয়সের ফুটবলার খেলিয়ে তাৎক্ষণিক বাজিমাত হয় । আদতে লাভ হয় না । আমাদের সময়ে এই ঘটনা প্রচুর ঘটত । এখন কম হয় । সচেতনতা বা সদিচ্ছা ক্লাব এবং ফুটবলার, দু’তরফেই জরুরি ।”

ইউনাইটেড স্পোর্টসের কর্তা নবাব ভট্টাচার্য কাঠগড়ায় তুলছেন দেশের ফুটবল কালচারকে । তিনি বলেন, “শুধু ইস্টবেঙ্গলকে দোষারোপ করলাম আর বাকিরা সৎ প্রতিপন্ন হলাম ব্যাপারটা তা নয় । এই দোষে আমরা সবাই দুষ্ট । আমার নিজের ছেলে অনুর্ধ্ব-15 দল থেকে বাদ পড়েছে । আমি তো তার বয়সটা ভুল দেব না । প্রতিটি বয়স ভিত্তিক বিভাগে এই দোষ চলছে । উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলো থেকে 25 বছরের ছেলেরা অনুর্ধ্ব-17 বিভাগে খেলছে । তাই এই রোগ সর্বত্র । প্রশাসন কঠোর হলে আমরা সতর্ক হব । না-হলে এই রোগ চলবে । সচেতনতা সবার প্রয়োজন ৷”

প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেনও সচেতন না-হওয়া এবং প্রশাসনের শিথিলতার দিকে আঙুল তুলছেন । লাল-হলুদের প্রাক্তন মিডফিল্ড জেনারেল বলেন, “তাৎক্ষণিক সাফল্যের জন্য আমরা বয়স ভাঁড়িয়ে সাফল্য পাচ্ছি । গলদ তো রয়েছে । তার সুযোগ ক্লাবগুলো নেয় । ইস্টবেঙ্গল শাস্তি পেয়েছে বলে নয় । এই দোষে সবাই দুষ্ট । কঠোর মানসিকতা ও সচেতনতা জরুরি ।”

আরও পড়ুন:

কলকাতা, 2 মার্চ: কলঙ্কিত ইস্টবেঙ্গল ৷ খেলোয়াড়দের বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে লাল-হলুদের অনুর্ধ্ব-17 দলকে ব্যান করেছে ফেডারেশন ৷ মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বলেন, “ইস্টবেঙ্গল ব্যান হয়েছে, বড় খবর । আমার মনে হয় খুন করার চেয়েও বড় অপরাধ । ফুটবলকে নিয়ে তঞ্চকতা করেছে । আমরা যে অভিযোগ করেছিলাম তা প্রমাণিত হয়েছে । আমি কয়েকদিন আগেই বলেছিলাম নৌকা তরতরিয়ে চলবে । তা চলছে । আমরা ফুটবল খেলি । মাঠে গিয়ে মস্তানি করি না ৷”

অনুর্ধ্ব-17 যুব লিগের ডার্বিতে বয়স ভাঁড়িয়ে ফুটবলার খেলিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি । তা প্রমাণিত হওয়ায় চলতি মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গলের ওপর নির্বাসনের শাস্তি চাপিয়েছে ফেডারেশন । শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবের কাছে যা অস্বস্তিকর এবং লজ্জার । স্বাভাবিকভাবেই ময়দানে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে । ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বয়স ভাঁড়ানো সবসময়ই অপরাধ । এই কাজ যে দলই করে থাকুক তা নিন্দনীয় । বড় দল হোক বা ছোট দল, এই কাজ ভারতীয় ফুটবলের জন্য খারাপ ছবি । যে ক্লাব এই কাজ করেছে তাদের যেমন ফুটবলারদের নথির ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত, তেমনই যে ফুটবলার এই নথি জমা দিচ্ছে তাদেরও সৎ হওয়া জরুরি । তবে বয়স ভাঁড়ানো ভারতীয় ফুটবলে বহুদিনের রোগ । সম্মেলিতভাবে চেষ্টা না-করলে এই রোগের উপশম হবে না । এখন ইস্টবেঙ্গল ধরা পড়েছে । অতীতে অন্য ক্লাবেরও একই অপরাধে ধরা পড়ার উদাহরণ রয়েছে ৷”

বয়স ভাড়ানো যে নিন্দার তা মনে করছেন অলোক মুখোপাধ্যায় । তিনিও এই কাজের বিরোধী । কারণ এর ফলে ক্ষতি হয় ফুটবলের । প্রাক্তন ডিফেন্ডার বলছেন, “এই বদভ্যাস বহু পুরনো । বেশি বয়সের ফুটবলার খেলিয়ে তাৎক্ষণিক বাজিমাত হয় । আদতে লাভ হয় না । আমাদের সময়ে এই ঘটনা প্রচুর ঘটত । এখন কম হয় । সচেতনতা বা সদিচ্ছা ক্লাব এবং ফুটবলার, দু’তরফেই জরুরি ।”

ইউনাইটেড স্পোর্টসের কর্তা নবাব ভট্টাচার্য কাঠগড়ায় তুলছেন দেশের ফুটবল কালচারকে । তিনি বলেন, “শুধু ইস্টবেঙ্গলকে দোষারোপ করলাম আর বাকিরা সৎ প্রতিপন্ন হলাম ব্যাপারটা তা নয় । এই দোষে আমরা সবাই দুষ্ট । আমার নিজের ছেলে অনুর্ধ্ব-15 দল থেকে বাদ পড়েছে । আমি তো তার বয়সটা ভুল দেব না । প্রতিটি বয়স ভিত্তিক বিভাগে এই দোষ চলছে । উত্তর-পূর্বাঞ্চল রাজ্যগুলো থেকে 25 বছরের ছেলেরা অনুর্ধ্ব-17 বিভাগে খেলছে । তাই এই রোগ সর্বত্র । প্রশাসন কঠোর হলে আমরা সতর্ক হব । না-হলে এই রোগ চলবে । সচেতনতা সবার প্রয়োজন ৷”

প্রাক্তন ফুটবলার মেহতাব হোসেনও সচেতন না-হওয়া এবং প্রশাসনের শিথিলতার দিকে আঙুল তুলছেন । লাল-হলুদের প্রাক্তন মিডফিল্ড জেনারেল বলেন, “তাৎক্ষণিক সাফল্যের জন্য আমরা বয়স ভাঁড়িয়ে সাফল্য পাচ্ছি । গলদ তো রয়েছে । তার সুযোগ ক্লাবগুলো নেয় । ইস্টবেঙ্গল শাস্তি পেয়েছে বলে নয় । এই দোষে সবাই দুষ্ট । কঠোর মানসিকতা ও সচেতনতা জরুরি ।”

আরও পড়ুন:

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.