কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: চলতি বছরের 28 জানুয়ারি, সুপার কাপ জিতে বিমানবন্দর থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে কার্লেস কুয়াদ্রাত ও তাঁর দল পৌঁছেছিল 4 ঘণ্টা সময় ব্যয় করে ৷ সদস্য সমর্থকদের বিপুল অভ্যর্থনায় লাল-হলুদ ব্রিগেড ভেসে গিয়েছিল। কিন্তু আট মাসের ব্যবধানে ছবিটা বদলে গিয়েছে। সেদিন যাঁরা কুয়াদ্রাতকে 'প্রফেসর' ও 'ম্যাজিশিয়ান' বিশেষণে মাথায় তুলে নেচেছিলেন, এখন তাঁদের থেকেই লাল-হলুদ কোচ শুনলেন 'গো-ব্যাক' ধ্বনি ৷
ইস্টবেঙ্গল আইএসএলের চলতি মরশুমের প্রথম থেকে হোঁচট খাচ্ছে ৷ শুক্রবার মরশুমের প্রথমবার ঘরের মাঠে নেমেও পরাজয়। বেঙ্গালুরু এফসি, কেরালা ব্লাস্টার্সের পর ঘরের মাঠে এফসি গোয়ার কাছে লজ্জার আত্মসমর্পণ। স্কোরবোর্ড বলছে, ইস্টবেঙ্গল হেরেছে 2-3 গোলের ব্যবধানে। তিন গোল হজম করে দু'গোল শোধ করার মধ্যেও লুকিয়ে লাল-হলুদের অসহায় ফুটবল ৷ যা দেখে উপস্থিত হাজার এগারো দর্শক ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।
'গো-ব্যাক কুয়াদ্রাত' আওয়াজ উঠল গ্যালারিতে ৷ টিম বাস বেরোনোর সময় সমর্থকরা চিৎকার করে প্রতিবাদ জানালেন এই খারাপ পারফরম্যান্সের। ফিরে যেতে বললেন কোচ কুয়াদ্রাতকে। পরপর তিন ম্যাচে হারের ধাক্কায় বিধ্বস্ত কুয়াদ্রাত স্বয়ং। সমস্যার চক্রব্যুহ থেকে দলকে টেনে বের করার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন ৷
তিন ম্যাচে পরাজয়ের পরে লাল হলুদ কোচ বলছেন ,“আমরা কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি ৷ কোনও কিছুই আমাদের পক্ষে যাচ্ছে না ৷ একটা পয়েন্টের জন্য আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে ৷ গত ম্যাচে আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারিনি।” সমর্থকদের এই হতাশা প্রকাশের মধ্যে অন্যায় দেখছেন না তিনি। “আমরা সকলেই জার্সির প্রতি আবেগপ্রবণ। আমাদের আরও পরিশ্রম করতে হবে। দিয়ামানতোকোস, সওল ক্রেসপো ফিরলে আমরা ভালো খেলব বলে আশাকরি,” বলছেন লাল-হলুদ কোচ ৷
একই সঙ্গে তিনি বলেন, “লিগ সবে শুরু হয়েছে। গত মরশুমে চেন্নাইয়িন এফসি প্রথম তিনটে ম্যাচ হারার পরে সুপার সিক্সে পৌঁছেছিল। দেখবেন একটা ম্যাচ জিতলেই সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের সামনে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ রয়েছে ৷ সেই টুর্নামেন্টের জন্য দলকে তৈরি হতে হবে। আমাদের আশাবাদী হতে হবে।” কোচের সুর মাদিহা তালালের মুখেও। তিনিও খারাপ খেলার কথা মেনে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলছেন।