কলকাতা, 30 অক্টোবর: বিরাশি দিন পরে জয় কাকে বলে তা অনুভব করল ইস্টবেঙ্গল । ভুটানের থিম্পুতে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে 4-0 গোলে হারিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড । দলের সামগ্রিক দাপুটে পারফরম্যান্সে কাঙ্খিত জয় । যা শেষ আটে পৌঁছে যাওয়ার আশা জাগিয়েছে । শুক্রবার লেবাননের নেজমেহর বিরুদ্ধে ম্যাচ । যা কার্যত ফাইনাল ইস্টবেঙ্গলের কাছে । প্রতিটি ম্যাচ ধরে প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা বিশ্লেষণ করে ছক সাজাতে চাইছেন অস্কার ব্রুজো ।
ইস্টবেঙ্গলের হেডস্যর বলছেন, “অনেক দিন পরে আমরা জিতেছি । এই জয় সমর্থকদের উৎসর্গ করছি । বিশেষত যাঁরা এখানে এসে আমাদের সমর্থন করছেন । আশা করি আমরা এ রকমই খেলতে পারব ।” কার্লেস কুয়াদ্রাতের ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলানোর পরে সমস্যার অন্ধকারে থাকা ইস্টবেঙ্গলকে টেনে তোলার চেষ্টা করছেন । দলের রোগ বিশ্লেষণ করে তার দাওয়াই দেওয়ার চেষ্টা করছেন । যার ফল দেরিতে হলেও ফলতে আরম্ভ করেছে ।“
দলে যোগ দেওয়ার পর শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানো লক্ষ্য ছিল আমার । মাত্র তিনটে পুরোদস্তুর অনুশীলন সেশনের সুযোগ পেয়েছি । দলের ফিটনেস নিয়ে আমি খুশি । প্রথমার্ধে সেটা সবাই দেখেছেন । তবে পুরোপুরি খুশি নই । কারণ 90 মিনিটই একই ছন্দে খেলতে চাই ৷” দলের ফিটনেসের উন্নতি ও পারফরম্যান্সে বিশ্লেষণ লাল-হলুদ হেডস্যারের ।
বসুন্ধরা কিংসের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন হেক্টর ইউস্তে । দলের বিদেশি ডিফেন্ডারের চোট নিয়ে বলতে গিয়ে লাল-হলুদ কোচ বলেছেন, “হেক্টরকে বুধবার দেখব । ওর পেশিতে কিছু সমস্যা রয়েছে । তবে আমরা চিন্তিত নই । কারণ ওর বিকল্প আমাদের তৈরি রয়েছে ।” আত্মবিশ্বাসী সুর এখন ইস্টবেঙ্গল জুড়ে । আনোয়ার, শৌভিক, নন্দকুমার, দিয়ামানতোকোস সকলেই গোল পাওয়ার তৃপ্তিতে মশগুল এবং আত্মবিশ্বাসী । তবে আত্মতৃপ্ত হতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল ।
দলের পারফরম্যান্সের ময়নাতদন্তে অস্কার ব্রুজো বলেছেন, “বসুন্ধরার ফুটবলারদের মাঝমাঠেই আটকে রাখতে পেরেছি । বাঁ-দিক দিয়ে আমরা প্রচুর আক্রমণ শানিয়েছি । নন্দকুমারও নিজেকে মেলে ধরেছে । ওরও প্রশংসা প্রাপ্য ।” অস্তিত্বরক্ষার ম্যাচে ‘মিশন ফ্রাই ডে’তে চোখ ইস্টবেঙ্গলের । দশম ম্যাচে জয়ের আলো । ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যাবর্তন সত্যিই হল কি না তা দেখার জন্য অপেক্ষা শুধু সময়ের ।