কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: আনোয়ার আলি ইস্যুতে প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির রিপোর্ট বকলমে কি আইএসএলের আগে মাঠের বাইরের লড়াইটা শুরু করে দিল ? ময়দানে কান পাতলে কিছু তেমনটাই আঁচ করা যাচ্ছে ৷ ফুটবলারের উপর চার মাসের ব্যান, আগামী দু'টি উইন্ডোয় ফুটবলার নেওয়ায় ক্লাবের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি প্রায় 13 কোটির মত জরিমানা ৷ এরপরে ইস্টবেঙ্গলের করণীয় কী? সাংবাদিকদের ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানালেন, আইনজীবীদের জানিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে আবেদন নিশ্চয় করবেন তাঁরা।
তবে এতকিছুর মধ্যেও পাশের ক্লাবকে খোঁচা দিতে ছাড়লেন না ময়দানের নীতু দা ৷ আনোয়ারের চার মাসের নির্বাসন ইস্যুতে বললেন, "ওর সঙ্গে চুক্তি তো পাঁচ বছরের ৷ অন্য কোথাও তো আর খেলবে না ৷" এরপরই জরিমানা দেওয়ার ব্য়াপারে পিএসসি'র এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন দেবব্রত সরকার ৷ তিনি বলেন, "আমি যতদূর জানি প্লেয়ার স্ট্য়াটাস কমিটি জরিমানা ঠিক করতে পারে না। এটা শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির কাজ। আমরা আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছি। আবেদনের পথ যখন খোলা আছে, আবেদন করব।"
সবমিলিয়ে লাল-হলুদ কর্তার প্রতিক্রিয়ায় প্রমাণিত আনোয়ার বিতর্ক শেষ হওয়ার বদলে ভিন্ন দিকে বইতে শুরু করল। ইতিমধ্যে দিল্লি এফসি'র কর্ণধার রঞ্জিত বাজাজ জানিয়েছেন তারা আবেদন করতে চলেছেন। 12 কোটি 90 লক্ষ টাকা, দু'টো ট্রান্সফার উইন্ডোয় ব্য়ান ৷ লাল-হলুদ কর্তারা মনে করছেন এই সিদ্ধান্ত ফুটবলের পরিপন্থী। সামগ্রিক রায়ে আনোয়ারের কেরিয়ার যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তেমনই ইস্টবেঙ্গলের দলগঠন বড়সড় ধাক্কা খাবে। তাই আবেদনে তাঁরা সঠিক বিচার পাবেন বলে লাল-হলুদ কর্তারা আশাবাদী।
আইনজীবীরা যেভাবে বিষয়টি আইনত লড়াইয়ের চেষ্টা করবেন সেভাবেই ক্লাব এগোবে বলে ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তার মত। তবে আনোয়ারের জন্য যে তাঁরা শেষ পর্যন্ত যাবেন, তা দেবব্রত সরকারের কথায় সুস্পষ্ট ৷ এরইমধ্যে 14 সেপ্টেম্বর আইএসএলে অভিযান শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। প্রতিপক্ষ বেঙ্গালুরু এফসি।