কলকাতা, 20 অগস্ট: ময়দানের তিন বড় ক্লাব 100 বছর পার করে দিয়েছে । প্রত্যেকেই ময়দানী ভাষায় ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ৷ তাদের সমর্থকরাই একসঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন । এবার একত্রে সাংবাদিক সম্মেলন সারলেন তিন প্রধানের কর্তারা ৷ যৌথভাবে বললেন, ‘‘সমর্থকরা একসঙ্গে প্রতিবাদ করছেন ৷ আমরাও একসঙ্গে হয়েছি ৷’’
ঐক্যমতের সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সচিবদের দাবি, ডুরান্ড কাপের সেমি-ফাইনাল এবং ফাইনাল কলকাতায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হোক । কারণ কলকাতার ফুটবল অনুরাগী মানুষ ফুটবল শহর থেকে চলে যাওয়ার বিরোধী ৷ সমর্থকদের সেই দাবীর সঙ্গে একমত কর্তারাও ৷ তাই তিন প্রধানের যৌথ মঞ্চের দাবি, ‘ফিরে এসো ডুরান্ড’ । কর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, ডুরান্ড কমিটি তাদের এই দাবিকে মান্যতা দিয়েছে । ডার্বি প্রশাসনিক জটিলতা এবং নিরাপত্তার কারণে করতে না পারলেও, ডুরান্ড কাপের বাকি ম্যাচ কলকাতায় আয়োজনের ব্যাপারে পুলিশ সম্মতি দিয়েছে ৷
একনজরে যৌথ মঞ্চের বক্তব্যের নির্যাস:
- রূপক সাহা (ইস্টবেঙ্গল সচিব): ঐতিহাসিক দিন ৷ ময়দানের তিন বড় ক্লাব একত্রিত হয়েছে ৷ ডুরান্ডের সেমি-ফাইনাল আর ফাইনাল এখানে করার কথা অনুরোধ করব প্রশাসনের কাছে।
- দেবাশিস দত্ত (মোহনবাগান সচিব): জাস্টিস চাইছি ৷ খেলা কলকাতা থেকে বন্ধ হতে পারে না ৷ সেমি-ফাইনাল আর ফাইনাল এখানে করার ব্যবস্থা করা হোক । সমর্থকরা শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে খেলা দেখতে যাবে ৷ আমরা ক্লাব হিসেবে জানাতে এসেছি, ডুরান্ড ফেরৎ আনতে হবে ৷
পরবর্তীতে কী পরিস্থিতি হয়েছে সেটা জানার বিষয় । আমরা কোনও রাজনীতিকরণকে সমর্থন করি না ৷ আমরা বিচার চাই তিলোত্তমার জন্য ৷ পুলিশের নির্দিষ্ট পদ্ধতি আছে, কীভাবে ডার্বি আয়োজন করা যায় ৷ পুলিশ মনে করেছে ওই পরিস্থিতিতে ডার্বি আয়োজন সম্ভব নয় ৷ পুলিশের নিজস্ব আইবি টিম থাকে । ওরা সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কথা বলে । পুলিশ কীভাবে ম্যাচ আয়োজন করা যায় সেটা জানে । আমাদের দু’টো বক্তব্য ছিল, সমর্থকরা চাইছে খেলা ফিরুক । আমরা চাই তদন্ত তাড়াতাড়ি হোক । ডুরান্ড কলকাতা থেকে চলে যাওয়া ঠিক নয় ৷ ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গেও এই বিষয়ে কথা হয়েছে ৷
রেনবো ‘বধে’ রামধনু লাল-হলুদের আকাশে ! মাঠেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে হীরারা
- ইস্তেয়াক আহমেদ রাজু (মহমেডান সচিব): ফুটবল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে । সেটা ফেরানো হোক । দর্শক, সমর্থকদের অধিকার আছে প্রতিবাদ করার । ‘ল অ্যান্ড অর্ডার’ মেনে হোক । ক্লাব থেকে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি যে কোনও সদস্য প্রতিবাদ করুক । তবে আমরা বিচার চাই । মুখ্যমন্ত্রী যেমন বলছেন ।
- দেবব্রত সরকার (ইস্টবেঙ্গল কর্তা): খেলা খেলার জায়গায় হোক । আপনারা সহযোগিতা করলে পুনরায় সেমি-ফাইনাল আর ফাইনাল এখানে হতে পারে । আমরা দোষীর শাস্তি চাই । তদন্তকারী সংস্থা দ্রুত এর নিষ্পত্তি করুক ।
সমর্থকদের পাশে দাঁড়াব । যে সহযোগিতা চাইবে তার পাশে দাঁড়াব । আমরা সরকারের বিচার করতে বসিনি । সরকার চালানো আমাদের কাজ নয় । আমি বলেছিলাম ম্যাচটা শিফট করা যায় কি না 20 তারিখের পর ৷ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই চলতে হয় ৷ ফুটবলাররা প্রতিবাদ করেছে । এটা তাদের অধিকার । আমাদের অনুমতি নেয়নি । ওদের প্রতিবাদের মঞ্চ ঠিক ছিল না ।