কলকাতা, 30 জুন: কলকাতা লিগ অভিযানে ইস্টবেঙ্গল। রবিবার ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে বিনো জর্জের প্রশিক্ষণাধীন লাল-হলুদ ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ টালিগঞ্জ অগ্রগামী। ভারতীয় ব্রিগেড নিয়ে এখন কলকাতা লিগে খেলতে হয়। ফলে বিদেশি ফুটবলারের নির্ভরতা সরিয়ে প্রমাণের দায়িত্বে এখন যেকোনও ম্যাচই অঘটনের। তথাকথিত ছোট দল জায়ান্ট কিলার। তাই টালিগঞ্জ অগ্রগামীর বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে সতর্ক ইস্টবেঙ্গল।
শনিবার অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন হীরা মণ্ডল। তাঁর চুক্তির বিষয়টি এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তবে যেভাবে বিষয়টি এগোচ্ছে তাতে বাঙালি সাইড ব্যাকের ফের লাল-হলুদ জার্সি পড়া সময়ের অপেক্ষা। এদিন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, আদিত্য পাত্র, তন্ময় দাসরা প্র্যাকটিস করেছেন জোরকদমে। প্রতিপক্ষ সম্পর্কে সমীহ থাকলেও তা নিয়ে কোনও বাড়তি চাপ নেই। ফুরফুরে মেজাজে পুরো লাল-হলুদ ব্রিগেড অনুশীলন সারল। গত মরশুমে ইস্টবেঙ্গল রানার্স হয়েছিল। কিন্তু এবারে বিনো জর্জের ছেলেরা ট্রফি খরা কাটাতে মরিয়া।
কোচ বিনো বলেছেন, "চলতি মরশুমে আমরা অভিজ্ঞ এবং নতুনদের মিলিয়ে আরও শক্তিশালী দল গড়েছি। গত মরশুমে আমরা একটুর জন্য ট্রফি জিততে পারিনি। কিন্তু এবারে ট্রফি জিততে মরিয়া।" আরও যোগ করেন, "শুধু চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাই নয়, আমাদের লক্ষ্য আরও বেশি সংখ্যক ফুটবলারেদর প্রথম দলে পাঠানো। সমর্থকদের কাছে আবদার থাকবে আরও বেশি করে আমাদের সমর্থন করা।"
কলকাতা লিগে ভালো খেলার ভিত্তিতে কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, আমন সিকে’দের সিনিয়র দলে সুযোগ দিয়েছিলেন। সেখানে তাঁদের পারফরম্যান্স ছিল আশাব্যাঞ্জক। এবার লাল-হলুদের তরুণ ব্রিগেড অভিজ্ঞ। ফলে বিনো জর্জের কাজটা কিছুটা হলেও সহজ। অন্যদিকে, নির্বাসনের খাড়া সদ্য সরেছে টালিগঞ্জ অগ্রগামীর ওপর থেকে। প্রস্তুতি জোরকদমে হয়েছে বলা যাবে না। ফলে আরেক নির্বাসনের খাড়া থেকে বেঁচে যাওয়া দল উয়াড়ি অ্যাথলেটিক্সের মতো টালিগঞ্জও অপ্রস্তুত অবস্থায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামছে তারা। মরিয়া লড়াই ছুঁড়ে দিয়ে পুরানো জায়ান্ট কিলার তকমা ফেরত পেতে চায় টালিগঞ্জ।