ETV Bharat / sports

সুপার কাপের ঝাঁঝ উধাও, ইস্টবেঙ্গলের লজ্জা বাড়াল ‘সফলতম’ আইএসএল - East Bengal - EAST BENGAL

ISL Journey ends for East Bengal: সুপার কাপে যাদের ‘বল্গাহীন’ দেখাচ্ছিল, আইএসএলে ফিরতেই তাদের রথের চাকা মাটিতে ঠেকে গেল ৷ ‘জিততেই হবে’, এই মন্ত্র জপে মাঠে নামা ইস্টবেঙ্গল কার্যত খাবি গেল ৷ পঞ্জাবের কাছে 4 গোল খেয়ে লাল-হলুদের আইএসএল যাত্রাতেই ইতি পড়ল না, লজ্জাও বাড়ল ৷

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 10, 2024, 10:35 PM IST

Updated : Apr 10, 2024, 10:56 PM IST

হায়দরাবাদ, 10 এপ্রিল: মাস তিনেক আগের কথা, জানুয়ারির 28 ৷ 12 বছরের 'বনবাস' কাটিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ৷ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের জাদুকাঠিতে 'বল্গাহীন' দেখাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলকে ৷ একযুগের অপেক্ষা শেষে ফের ট্রফি ঢুকেছিল ইস্টবেঙ্গলের ক্যাবিনেটে ৷ ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে সুপার কাপ জিতে নিয়েছিল পদ্মাপাড়ের ক্লাব ৷ সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, বুঁদ হয়েছিলেন সোনালী দিনের স্বপ্নে

কলকাতার এক প্রধান লিগ শিল্ড জয়ের অঙ্ক কষছে, আরেক প্রধান সদ্য আই লিগ জিতে আগামী আইএসএল যাত্রার রোডম্যাপ বানাচ্ছে ৷ ঠিক সেসময়েই হারের অতলে কলকাতার আরেক প্রধান ৷ গত দু’বছর নবম ও এগারোতম স্থানে শেষ করা দলের কাছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এ বছর ‘সফলতম’ হলেও, তা কোনওভাবেই ইস্টবেঙ্গলোচিত নয় ৷ প্রতিবার এক দৃশ্য সমর্থকদেরও ব্যথা বাড়াচ্ছে ৷

সুপার কাপ ঘরে তুলতেই স্প্যানিয়ার্ডের প্রসস্তিতে ভরেছিল সোশাল মিডিয়ার দেওয়াল ৷ গত বছরের এপ্রিলে লাল-হলুদের দায়িত্ব নেন কুয়াদ্রাত ৷ বেসুরো ছন্দে বাজতে থাকা টিমে প্রাণ সঞ্চারের দায়িত্ব তাঁর বিশ্বস্ত কাঁধেই সঁপেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট ৷ ভরসার দাম রেখেছিলেন কার্লেস ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চটকদারি মন্তব্য করেননি, ডার্বিতে বিধ্বস্ত হয়েও দমে যাননি ৷ মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছিলেন ৷ অল্প আঁচে রান্না করার মতোই ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন দলকে ৷ তাঁর টোটকাতেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আনাচে-কানাচে ধ্বনিত হচ্ছিল, 'খেলে দেখুন, বদলে গেছে' ৷ দু’মাসেই ফের উলটপুরাণ ৷

ISL Journey ends for East Bengal
ব্যর্থতাই সঙ্গী

গত কয়েক বছরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গী শুধুই ব্যর্থতা ৷ সঙ্গে দোসর স্পনসরের সঙ্গে সংঘাত এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের লাগাতার সাফল্য ৷ ফলে ক্রমাগত কোনঠাসা হচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির ৷ সুপার কাপ জয়ে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের সেই গুমোট ভাবটা খানিক কেটেছিল ৷ 73 দিনেই যাবতীয় সাফল্যের ঝংকার উধাও ৷ দেওয়াল লিখন স্পষ্ট বলছে, ‘‘লাল-হলুদ রয়েছে লাল-হলুদেই’’ ৷

স্প্যানিশ হেডস্যরের জাদুকাঠিতেই যে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব তরতরিয়ে এগোচ্ছিল, তাঁরাই হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ল কীভাবে ? সুপার কাপ জয়ের আত্মতুষ্টি ? বিদেশী বাছাইয়ে ম্যানেজমেন্ট ও কুয়াদ্রাতের ব্যর্থতা ? রেফারিংয়ের মতো মাঠের বাইরের সমস্যাকে নিজেরাই প্রকট করে তোলা ? যাত্রা শেষে নিঃসন্দেহে ব্যর্থতার ময়নাতদন্তে বসবে দল ৷

কোথায় পা ফসকাল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ?

  • ছন্নছাড়া রক্ষণ...

আলোচনা শুরু করতে গেলে, আজকের ম্যাচে চেয়ে ভালো ভূমিকা হতে পারে না ৷ আইএসএলের প্লে-অফে পৌঁছলে পঞ্জাবকে হারালেই শুধু হত না, তাকিয়ে থাকতে হত চেন্নাইয়িন-গোয়া ম্যাচের দিকেও ৷ প্রাথমিক কাজটাই করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল ৷ জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ল দল । ম্যাচের 18 মিনিটে গোল খাওয়া ইস্টবেঙ্গল যদিও প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরেছিল ৷ একক দক্ষতায় বিশ্বমানের গোল করে গিয়েছিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দলের তরুণ তুর্কি নাছোড়বান্দা মনোভাব নিয়ে খেললেও তা প্রতিফলিত হল না ক্লেইটন সিলভা, ভিক্টর ভাসকুয়েজের মতো খ্যাতনামা তারকাদের মধ্যে ৷

প্রথমার্ধের শেষে গোল করে পঞ্জাবকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মাদিহ তালাল ৷ মুহূর্তের ভুলে নিজেদের গোলমুখ খুলে দিয়েছিলেন হিজাজি মাহের, হরমোনজোৎ খাবড়ারা ৷ এই অবস্থায় ড্রেসিংরুমে গিয়ে সাধারণত চার্জড-আপ হয়ে ফেরে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দল ৷ এক্ষেত্রে হল উলটোটা ৷ কার্যত ঝিমিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ একের পর এক ভুল করেই গেল ৷ শেষের দিকে হরমনজোৎ সিং খাবরা গোললাইন সেভ না-করলে পাঁচ গোল হজম করতে হত ।

ISL Journey ends for East Bengal
ইস্টবেঙ্গল লজ্জা বাড়াল ‘সফলতম’ আইএসএল

প্রভসুখমন-শৌভিকের অনুপস্থিতিও ভোগাল লাল-হলুদকে ৷ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কার্ড সমস্যায় ছিলেন না গোলরক্ষক প্রোভসুখন গিল এবং মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী । গিলের না থাকা বড় ধাক্কা । কারণ পরিবর্ত মাঠে নামা গোলরক্ষক কমলজিৎ সিং পুরো মরসুমে একটিও ম্যাচ খেলেননি । যদিও ম্যাচে 18 মিনিটে দুরন্ত সেভে জাত চিনিয়েছিলেন তিনি ৷ তারপরেও একাধিক সেভ করেছেন ৷ কিন্তু প্রভসুখমন থাকলে আরও জমাট থাকত ইস্টবেঙ্গলের তেকাঠি ৷ অন্যদিকে, শৌভিকের অনুপস্থিতিতে কার্যত ভেঙে পড়েছে লাল-হলুদের রক্ষণ ৷ হিজাজি খানিক চেষ্টা করলেও খাবড়া একাধিকবার বালখিল্য ভুলে দলকে বিপদে ঠেলে দিলেন ৷

  • বিদেশী বাছাইয়ে ব্যর্থতা...

জাভিয়ের সিভেরিও টোরো ও বোরহা ফার্নান্দেজকে ছেড়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ বদলে দলে এসেছিলেন ভিক্টর ভাসকুয়েজ ও ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বস ৷ নামীদামি ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়ানো দুই খেলোয়াড়ের মাঠে নড়াচড়া দেখলে চোখ কপালে উঠবে ৷ কলকাতা ময়দানের অবসর নেওয়া যেকোনও বাঙালি খেলোয়াড় ওই পজিশনে বেশি কার্যকর হবে ৷

  • মাঠের বাইরের সমস্যাকে প্রকট করে তোলা...

প্রায় প্রতি ম্যাচের শেষেই রেফারিং নিয়ে সরব হয়েছেন দলের হেডস্যর ৷ তার উপর একাধিক ম্যাচে কার্ড দেখে ডাগ-আউটে ছিলেন না কুয়াদ্রাত ৷ কোচের এহেন শরীরিভাষা প্রভাব ফেলেছে দলে ৷ মাঠের নিজেদের বোঝাপড়ার অভাব নয়, ব্যর্থতার জন্য রেফারিংকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছিলেন খেলোয়াড়রাও ৷

আরও পড়ুন:

  1. কলিঙ্গে সুর্যোদয়, একযুগের খরা কাটিয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
  2. আইএসএল যাত্রা শেষ হল হারের দুঃস্বপ্নে, চার গোলের লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের
  3. 12 বছরের 'বনবাস' শেষ, কুয়াদ্রাতের জাদুকাঠিতেই 'বল্গাহীন' ইস্টবেঙ্গল

হায়দরাবাদ, 10 এপ্রিল: মাস তিনেক আগের কথা, জানুয়ারির 28 ৷ 12 বছরের 'বনবাস' কাটিয়েছিল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ৷ কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের জাদুকাঠিতে 'বল্গাহীন' দেখাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গলকে ৷ একযুগের অপেক্ষা শেষে ফের ট্রফি ঢুকেছিল ইস্টবেঙ্গলের ক্যাবিনেটে ৷ ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে সুপার কাপ জিতে নিয়েছিল পদ্মাপাড়ের ক্লাব ৷ সমর্থকরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, বুঁদ হয়েছিলেন সোনালী দিনের স্বপ্নে

কলকাতার এক প্রধান লিগ শিল্ড জয়ের অঙ্ক কষছে, আরেক প্রধান সদ্য আই লিগ জিতে আগামী আইএসএল যাত্রার রোডম্যাপ বানাচ্ছে ৷ ঠিক সেসময়েই হারের অতলে কলকাতার আরেক প্রধান ৷ গত দু’বছর নবম ও এগারোতম স্থানে শেষ করা দলের কাছে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের ইতিহাসে এ বছর ‘সফলতম’ হলেও, তা কোনওভাবেই ইস্টবেঙ্গলোচিত নয় ৷ প্রতিবার এক দৃশ্য সমর্থকদেরও ব্যথা বাড়াচ্ছে ৷

সুপার কাপ ঘরে তুলতেই স্প্যানিয়ার্ডের প্রসস্তিতে ভরেছিল সোশাল মিডিয়ার দেওয়াল ৷ গত বছরের এপ্রিলে লাল-হলুদের দায়িত্ব নেন কুয়াদ্রাত ৷ বেসুরো ছন্দে বাজতে থাকা টিমে প্রাণ সঞ্চারের দায়িত্ব তাঁর বিশ্বস্ত কাঁধেই সঁপেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট ৷ ভরসার দাম রেখেছিলেন কার্লেস ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চটকদারি মন্তব্য করেননি, ডার্বিতে বিধ্বস্ত হয়েও দমে যাননি ৷ মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছিলেন ৷ অল্প আঁচে রান্না করার মতোই ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন দলকে ৷ তাঁর টোটকাতেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আনাচে-কানাচে ধ্বনিত হচ্ছিল, 'খেলে দেখুন, বদলে গেছে' ৷ দু’মাসেই ফের উলটপুরাণ ৷

ISL Journey ends for East Bengal
ব্যর্থতাই সঙ্গী

গত কয়েক বছরে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গী শুধুই ব্যর্থতা ৷ সঙ্গে দোসর স্পনসরের সঙ্গে সংঘাত এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের লাগাতার সাফল্য ৷ ফলে ক্রমাগত কোনঠাসা হচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির ৷ সুপার কাপ জয়ে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাবের সেই গুমোট ভাবটা খানিক কেটেছিল ৷ 73 দিনেই যাবতীয় সাফল্যের ঝংকার উধাও ৷ দেওয়াল লিখন স্পষ্ট বলছে, ‘‘লাল-হলুদ রয়েছে লাল-হলুদেই’’ ৷

স্প্যানিশ হেডস্যরের জাদুকাঠিতেই যে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব তরতরিয়ে এগোচ্ছিল, তাঁরাই হঠাৎ মুখ থুবড়ে পড়ল কীভাবে ? সুপার কাপ জয়ের আত্মতুষ্টি ? বিদেশী বাছাইয়ে ম্যানেজমেন্ট ও কুয়াদ্রাতের ব্যর্থতা ? রেফারিংয়ের মতো মাঠের বাইরের সমস্যাকে নিজেরাই প্রকট করে তোলা ? যাত্রা শেষে নিঃসন্দেহে ব্যর্থতার ময়নাতদন্তে বসবে দল ৷

কোথায় পা ফসকাল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ?

  • ছন্নছাড়া রক্ষণ...

আলোচনা শুরু করতে গেলে, আজকের ম্যাচে চেয়ে ভালো ভূমিকা হতে পারে না ৷ আইএসএলের প্লে-অফে পৌঁছলে পঞ্জাবকে হারালেই শুধু হত না, তাকিয়ে থাকতে হত চেন্নাইয়িন-গোয়া ম্যাচের দিকেও ৷ প্রাথমিক কাজটাই করতে পারল না ইস্টবেঙ্গল ৷ জয়ের হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে নেমে মুখ থুবড়ে পড়ল দল । ম্যাচের 18 মিনিটে গোল খাওয়া ইস্টবেঙ্গল যদিও প্রবলভাবে ম্যাচে ফিরেছিল ৷ একক দক্ষতায় বিশ্বমানের গোল করে গিয়েছিলেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ দলের তরুণ তুর্কি নাছোড়বান্দা মনোভাব নিয়ে খেললেও তা প্রতিফলিত হল না ক্লেইটন সিলভা, ভিক্টর ভাসকুয়েজের মতো খ্যাতনামা তারকাদের মধ্যে ৷

প্রথমার্ধের শেষে গোল করে পঞ্জাবকে এগিয়ে দিয়েছিলেন মাদিহ তালাল ৷ মুহূর্তের ভুলে নিজেদের গোলমুখ খুলে দিয়েছিলেন হিজাজি মাহের, হরমোনজোৎ খাবড়ারা ৷ এই অবস্থায় ড্রেসিংরুমে গিয়ে সাধারণত চার্জড-আপ হয়ে ফেরে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের মতো দল ৷ এক্ষেত্রে হল উলটোটা ৷ কার্যত ঝিমিয়ে পড়া ইস্টবেঙ্গল রক্ষণ একের পর এক ভুল করেই গেল ৷ শেষের দিকে হরমনজোৎ সিং খাবরা গোললাইন সেভ না-করলে পাঁচ গোল হজম করতে হত ।

ISL Journey ends for East Bengal
ইস্টবেঙ্গল লজ্জা বাড়াল ‘সফলতম’ আইএসএল

প্রভসুখমন-শৌভিকের অনুপস্থিতিও ভোগাল লাল-হলুদকে ৷ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কার্ড সমস্যায় ছিলেন না গোলরক্ষক প্রোভসুখন গিল এবং মিডফিল্ডার সৌভিক চক্রবর্তী । গিলের না থাকা বড় ধাক্কা । কারণ পরিবর্ত মাঠে নামা গোলরক্ষক কমলজিৎ সিং পুরো মরসুমে একটিও ম্যাচ খেলেননি । যদিও ম্যাচে 18 মিনিটে দুরন্ত সেভে জাত চিনিয়েছিলেন তিনি ৷ তারপরেও একাধিক সেভ করেছেন ৷ কিন্তু প্রভসুখমন থাকলে আরও জমাট থাকত ইস্টবেঙ্গলের তেকাঠি ৷ অন্যদিকে, শৌভিকের অনুপস্থিতিতে কার্যত ভেঙে পড়েছে লাল-হলুদের রক্ষণ ৷ হিজাজি খানিক চেষ্টা করলেও খাবড়া একাধিকবার বালখিল্য ভুলে দলকে বিপদে ঠেলে দিলেন ৷

  • বিদেশী বাছাইয়ে ব্যর্থতা...

জাভিয়ের সিভেরিও টোরো ও বোরহা ফার্নান্দেজকে ছেড়ে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ বদলে দলে এসেছিলেন ভিক্টর ভাসকুয়েজ ও ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বস ৷ নামীদামি ক্লাবের জার্সি গায়ে চড়ানো দুই খেলোয়াড়ের মাঠে নড়াচড়া দেখলে চোখ কপালে উঠবে ৷ কলকাতা ময়দানের অবসর নেওয়া যেকোনও বাঙালি খেলোয়াড় ওই পজিশনে বেশি কার্যকর হবে ৷

  • মাঠের বাইরের সমস্যাকে প্রকট করে তোলা...

প্রায় প্রতি ম্যাচের শেষেই রেফারিং নিয়ে সরব হয়েছেন দলের হেডস্যর ৷ তার উপর একাধিক ম্যাচে কার্ড দেখে ডাগ-আউটে ছিলেন না কুয়াদ্রাত ৷ কোচের এহেন শরীরিভাষা প্রভাব ফেলেছে দলে ৷ মাঠের নিজেদের বোঝাপড়ার অভাব নয়, ব্যর্থতার জন্য রেফারিংকেই প্রাধান্য দিতে শুরু করেছিলেন খেলোয়াড়রাও ৷

আরও পড়ুন:

  1. কলিঙ্গে সুর্যোদয়, একযুগের খরা কাটিয়ে সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন ইস্টবেঙ্গল
  2. আইএসএল যাত্রা শেষ হল হারের দুঃস্বপ্নে, চার গোলের লজ্জার হার ইস্টবেঙ্গলের
  3. 12 বছরের 'বনবাস' শেষ, কুয়াদ্রাতের জাদুকাঠিতেই 'বল্গাহীন' ইস্টবেঙ্গল
Last Updated : Apr 10, 2024, 10:56 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.