কলকাতা, 26 ফেব্রুয়ারি: ভারতীয় ফুটবলে রেফারিংয়ের মান নিয়ে দুঃস্বপ্নের রাত্রিযাপন করেন কার্লেস কুয়াদ্রাত। আইএসএল ভারতীয় ফুটবলের অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে বলে বিশ্বাস করেন তিনি। তবে রেফারিদের মানোন্নয়ন কিছু হয়নি। সেই জন্য প্রতিটি ক্লাবকে ভুগতে হচ্ছে। এই ক্রমান্বয়ে খারাপ রেফারিং সহ্যের সীমার ছাড়িয়েছে বলেও মনে করেন লাল-হলুদ কোচ। প্রভসুখন গিলকে নিয়ে চেন্নাইয়িন এফসি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন কুয়াদ্রাত। তিনি বিশ্বাস করেন ইস্টবেঙ্গল এফসি-র এখনও শেষ ছয়ে ঢুকে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
সেই জন্য বাকি ম্যাচগুলোতে হার না-মানা মনোভাব দেখিয়ে ফুটবল খেলতে হবে। সোমবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ফুটবলাররা সেই মানসিকতাতেই খেলবে। 15 ম্যাচে 15 পয়েন্ট নিয়ে 9 নম্বরে ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে চেন্নাইয়িন এফসি 10 নম্বরে। তাই সোমসন্ধ্যার যুবভারতীতে লড়াইটা নবম এবং দশমের। এই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল তিন পয়েন্ট পকেটে নিতে পারলে ফের আট নম্বরে উঠে আসবে। কুয়াদ্রাত বলেন, "শেষ ম্যাচে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকা অবস্থায় সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয়েছে।" তাছাড়াও ইস্টবেঙ্গল বারবার খারাপ রেফারিংয়ের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কুয়াদ্রাত।
তাঁর মতে, অন্তত পাঁচ পয়েন্ট রেফারিদের খারাপ ম্যাচ পরিচালনার জন্য হারাতে হয়েছে। পাঁচ পয়েন্ট যোগ করা গেলে পয়েন্ট টেবিলে ইস্টবেঙ্গলের অবস্থান আরও উন্নত হত বলে দাবি করলেন। রেফারিংয়ের মান খারাপ হওয়ার কারণেই ভারতীয় ফুটবলে প্রত্যাশিত উন্নয়ন গত দশ বছরে হয়নি বলে মনে করেন। তাঁর অভিযোগের তির রাহুল গুপ্তা এবং ক্রিস্টাল জনের মতো রেফারিদের দিকে। কোনও রাখঢাক না-করেই কুয়াদ্রাত জানিয়েছেন, রাহুল গুপ্তাকে তিনি দুঃস্বপ্নে দেখে চমকে ওঠেন। একইকথা ক্রিস্টাল জন সম্পর্কেও প্রযোজ্য বলে জানিয়েছেন। এই ধরনের রেফারিদের নির্বাসিত না-করা হলে ভারতীয় ফুটবলের মেরুদণ্ডহীনতা প্রকাশ্যে আসবে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি।
ইস্টবেঙ্গল কোচ বলছেন ফুটবলারদের রক্ষা করা সবার কাজ। কোচ হিসেবে তিনি সেটা করাকেই সবার ওপরে রাখছেন। কারণ ফুটবলাররাই সবার আগে। অথচ তাদের রক্ষা করার ব্যাপারে রেফারিরা সচেষ্ট নন। এভাবে চলতে পারে না। এই নিয়মের বদল প্রয়োজন বলে সরব হয়েছেন। তা না-হলে রাহুল গুপ্তারা কার্ড দেখানোর প্রদর্শনী চালিয়ে যাবেন। ক্ষতিগ্রস্ত হবে ভারতীয় ফুটবল। আর তাঁর বিনিদ্র রাত্রিযাপন চলতেই থাকবে ৷
আরও পড়ুন: