কলকাতা, 20 অগস্ট: সুপার সাবে জয়ের আলো ইস্টবেঙ্গলের ৷ মঙ্গলবার কলকাতা লিগের ম্যাচে 2-0 গোলে রেনবো অ্যাথলেটিক ক্লাবকে হারাল লাল-হলুদ । সঞ্জীব ঘোষ এবং আশিক জয়ের গোল করলেন । 28 পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে আরও শক্তপোক্ত জায়গায় বিনো জর্জের ছেলেরা ৷
সিনিয়র দল ডুরান্ড কাপের শেষ আটের খেলা খেলতে শিলংয়ে ৷ দিয়ামান্তোকোস, ক্রেসপোদের সঙ্গেই শিলংয়ে গিয়েছেন পিভি বিষ্ণু, মনোতোষ, জেসিন টিকে’রা । কলকাতা লিগে প্রথম একাদশের তিন-চারজন ফুটবলার না-থাকা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলেক জয়ের কারণ দলের নাছোড়বান্দা মনোভাব । সুমন দে, সুনীল, আশিকরা দিনের শেষে জয়ী কারণ পুরো নব্বই মিনিট নিরবিচ্ছিন্ন দৌড়লেন । যার সামনে শিল্টন পালের দুরন্ত গোলরক্ষা ব্যর্থ ।
আল্ট্রা ডিফেন্সিভ ফুটবল খেলে ইস্টবেঙ্গলকে রুখে দেওয়ার ছক সাজিয়েছিলেন রেনবোর টিডি দেবজিৎ ঘোষ ৷ প্রথমার্ধে সেই ছক সফল । কিন্তু বিরতির পরে সঞ্জীব ঘোষ, আশিকরা নামতেই আরও বেশি চাপ বাড়াতে থাকে ইস্টবেঙ্গল । শেষ পর্যন্ত পঁচাত্তর মিনিটে অভিষেক কুঞ্জমের শট প্রতিহত হতেই ফিরতি বল জালে পাঠান সঞ্জীব । হারের শঙ্কা দেখা দিতেই রেনবো আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে । কিন্তু লাল-হলুদ রক্ষণ পুরো লিগ জুড়েই ধারাবাহিক ভালো ফুটবল খেলে চলেছে ৷ মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হল না ।
যদিও দু’বার লাল-হলুদ গোলমুখ খুলে ফেলেছিল রেনবো এসি । কিন্তু কাজের কাজ করতে ব্যর্থ ফরোয়ার্ডরা । অতিরিক্ত সময়ে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল । গোল করেন আশিক । দু’টো গোলই হার না-মানা মনোভাবের ফসল ৷ যা ইস্টবেঙ্গলকে টানা জয়ের সরণিতে রেখে দিল ৷ অন্যদিকে, আজ সমর্থকরা মাঠে আরজি করের প্রতিবাদ জানিয়েছে ৷ মাঠেও প্রতিবাদ জানালেন হীরা মণ্ডলরা ৷ প্রথম গোলের পর ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ গেঞ্জিতে লিখে প্রতিবাদ জানান তাঁরা । ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার জানান, তাঁরা ফুটবলারদের প্রতিবাদের বিষয়ে জানতেন না । তবে ব্যক্তিগতভাবে কেউ যদি প্রতিবাদ করে থাকেন, তাহলে তাঁরা বাধা দিতে পারেন না । সেই দায় ক্লাবের নেই।
অন্যদিকে, দুপুর তিনটেয় খেলা শুরু হওয়ার থাকলেও ইস্টবেঙ্গল এবং রেনবো অ্যাথলেটিক্সের খেলা সাতাশ মিনিট পরে শুরু হয় । এই বিলম্বের জন্য আবহাওয়াকে দায়ী করা হচ্ছে । বজ্রপাত এবং জোয়ারের জল মাঠে ঢুকে পড়াতেই বিপত্তি । সেই কারণে পৌনে তিনটে নাগাদ ফুটবলাররা ওয়ার্ম আপ শুরু করেন । পাশাপাশি একটি সূত্র বলছে, রেফারিরা নির্দিষ্ট সময়ে মাঠে না-পৌঁছতেই এই বিলম্ব ।