কলকাতা, 6 মে: কলকাতার স্বস্তির বৃষ্টি কলকাতা নাইট রাইডার্সকে শুধু অস্বস্তিতে ফেলেনি, বিড়ম্বনায় ফেলেছে । লখনউ থেকে কলকাতার আসার কথা থাকলেও কেকেআরের চাটার্ড বিমানকে ঝড়-বৃষ্টির জন্য গুয়াহাটিতে পাঠিয়ে দিতে হয় । সেখান থেকে রাত এগারোটা নাগাদ ফের কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেও নাইটরা কলকাতায় নামতে পারেনি । তাদের বারাণসী ফেরত যেতে হয় । সেখানে রাত তিনটের সময় অবতরণ করে নাইটরা । আজ তারা কলকাতায় ফিরবে । অর্থাৎ, সোমবার সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও নাইটরা দু’বার বিমান বিভ্রাটের কারণে চব্বিশ ঘণ্টা পরে কলকাতায় পা রাখতে চলেছে ।
কাঙ্খিত বৃষ্টিতে বঙ্গ জীবনে স্বস্তি নামলেও অস্বস্তিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স। রবিবার লখনউ সুপারজায়ান্টের বিরুদ্ধে ম্যাচ জেতার পরে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ কলকাতায় ফেরার কথা ছিল নাইটদের। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় সেটা হয়নি । কলকাতার বদলে বিমান গিয়ে নামে গুয়াহাটিতে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী রাতেই সেখান থেকে অন্য বিমানে কলকাতায় ফেরার কথা নাইটদের।
জানা গিয়েছে, চাটার্ড বিমানে আসছিলেন শ্রেয়স আইয়ার, রিঙ্কু সিং এবং সুনীল নারিনরা। কিন্তু সে সময় কলকাতার আকাশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় দমদম বিমানবন্দরে বিমান অবতরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি। নিরাপত্তার স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ফলে কেকেআরের বিমানকে মুখ ঘুরিয়ে গুয়াহাটি নিয়ে যেতে হয়। সেখানে নির্বিঘ্নে অবতরণ করে কেকেআরের চাটার্ড ফ্লাইট।
নাইট শিবির থেকে কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির কারণে বিমান বিভ্রাটের কথা জানানো হয়েছে। তারা যে গুয়াহাটিতে নির্বিঘ্নে অবতরন করেছেন সেটাও জানিয়েছে কেকেআর। আপাতত তারা গুয়াহাটিতে আছেনন এবং আবহাওয়া ভালো হওয়ায় রাতেই কলকাতায় ফিরবেন। পরপর দুটো ম্যাচ মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং লখনউ সুপারজায়ান্টের বিরুদ্ধে খেলে কলকাতায় ফিরছিল কেকেআর।
11 মে ইডেনে নাইটদের ম্যাচ রয়েছে। প্রতিপক্ষ সেই মুম্বই । এক যুগ পর মুম্বই তাদের নিজেদের শহরে হারিয়ে চাঙ্গা নাইট শিবির। সবমিলিয়ে শনিবার তাদের থেকে ভালো কিছু আশা করাই যায়। ইতিমধ্যে 11 ম্যাচে 8টি জয় তুলে নিয়ে প্লে অফের টিকিট পাকা করেছে কেকেআর। রান রেট ভালো থাকার কারনে পয়েন্ট টেবিলে নাইটরা শীর্ষে। এই অবস্থায় আগামী মুম্বই ম্যাচ নাইটদের কাছে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার ম্যাচ। তবে তার আগে কলকাতায় ফেরত আসার সময় সমস্যায় পড়তে হাওয়ায় নাইটরা অস্বস্তিতে। তাই বঙ্গ জুড়ে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড় বৃষ্টি জনজীবনে স্বস্তি নিয়ে এলেও নাইটরা অস্বস্তিতে।
আরও পড়ুন: