কলকাতা, 5 অক্টোবর: কার্লেস কুয়াদ্রাত কোচিং ছাড়লেও তাঁর কোচিং স্টাফরা এখনও লাল-হলুদের দায়িত্ব পালন করছেন । বিনো জর্জের অধীনে কাজ করছেন । অন্যদিকে, প্রফেসরের পদত্যাগের পর নতুন কোচ খোঁজার কাজও শুরু করে দিয়েছে লাল-হলুদ । খুব শীঘ্রই হয়তো নাম ঘোষণা হতে পারে । অস্কার ব্রুজো কুয়াদ্রাতের জুতোয় পা গলানোর দৌড়ে এগিয়ে বলেও শোনা যাচ্ছে ।
তারমধ্যেই এবার অন্তরালে থাকার পর খুললেন লাল-হলুদ সমর্থকদের ‘প্রফেসর’ । সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন কুয়াদ্রাত ৷ সমর্থক থেকে শুরু করে সকলকে ধন্যবাদ জানান তাঁর এই দেড় বছরের মেয়াদের জন্য । কার্লেস লিখেছেন, ‘‘ধন্যবাদ ইস্টবেঙ্গল ক্লাব আমাকে এতগুলো ভালো মুহূর্ত দেওয়ার জন্য । এই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা গর্ব ও সম্মানের । আমি বুঝেছি ঐতিহাসিক একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করার অর্থ কী । আমি এই দেশটা ছাড়ছি অনেক শ্রদ্ধা এবং আমরা একসঙ্গে যা পেয়েছি তা নিয়ে ।’’
এরপর তিনি বেঙ্গালুরু এফসি’র প্রসঙ্গ টানেন । 2019 সালে বেঙ্গালুরুর কোচ হিসেবে সাফল্য পান । আইএসএল জেতেন । তাঁর হাত ধরে বেঙ্গালুরু থেকে অনেক প্লেয়ার জাতীয় দলে সুযোগ পান । ইস্টবেঙ্গলেও সেই ছবি দেখা গিয়েছে । তাঁর হাত ধরেই রাহুল ভেকে, সুরেশ, রোশন, নিশু কুমার জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন । ছোটদের দলে ডাক পেয়েছেন প্রভসুখন সিং গিল, পিভি বিষ্ণুরা ।
কুয়াদ্রাত বারবার বলেছিলেন, ইস্টবেঙ্গলের এই দলটা ভবিষ্যতের দল । একটা প্রক্রিয়া চলছে । দলে একাধিক নতুন ফুটবলার রয়েছে । তাঁদের দলে মানিয়ে নিতে সময় দিতে হবে । আনোয়ার, হেক্টর ইউস্তেরা সবে কয়েকটি ম্যাচ খেলেছে । দল যে খারাপ খেলছে তা নয় । কিন্তু পরপর 3 হারে সদস্য-সমর্থকরা আকাশে সিঁদুরে মেঘ দেখলেন ব্যর্থতার। ‘গো ব্যাক’ ধ্বনি শোনালেন কুয়াদ্রাতকে । সমর্থকদের বিতৃষ্ণা স্প্যানিশ ভদ্রলোককে আঘাত দিয়েছিল মানসিকভাবে । তাই দলের ভুল খোঁজার বৈঠকে শুরুতেই সরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন । কোচের পদ থেকে আচমকা কার্লেসের সরে যাওয়া মেনে নিতে পারেননি অনেক সমর্থক । কর্তারাও বলছেন, পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলেন না । প্রথম মরশুম ভালো গেলেও দ্বিতীয় মরশুমে শুরুটা ভালো হয়নি । কিন্তু কোথায় তাল কাটল তার কোনও হদিশ না-দিয়েই কুয়াদ্রাত নিজের দেশে ফিরলেন ।