ভুবনেশ্বর, 28 জানুয়ারি: একযুগের অপেক্ষা শেষ ৷ ফের ট্রফি ঢুকল ইস্টবেঙ্গল ক্যাবিনেটে ৷ ওড়িশা এফসিকে হারিয়ে সুপার কাপ জিতে নিল পদ্মাপাড়ের ক্লাব ৷ দিয়েগো মরিসিওর গোলে প্রথমে ওড়িশা এগিয়ে গেলেও সমতা ফেরান উৎকুলভূমের 'ঘরের ছেলে' নন্দকুমার ৷ স্পটকিক থেকে ব্যবধান বাড়ান সাউল ক্রেসপো ৷ খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে 113 মিনিটে ত্রাতা ক্যাপ্টেন ক্লেইটন সিলভা ৷ তবে 'বনবাস' কাটার পেছনে রয়েছেন কার্লেস কুয়াদ্রাত ৷ স্প্যানিশ হেডস্যরের জাদুকাঠিতেই তরতরিয়ে এগোচ্ছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব ৷
2012 সালের ফেডারেশন কাপ, শেষবার সর্বভারতীয় ট্রফি ঢুকেছিল পদ্মাপাড়ের ক্যাবিনেটে ৷ তারপর থেকেই শুধুই অপেক্ষা ৷ 2018 সালে দার্জিলিং গোল্ড কাপ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ খাতায়কলমে তা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট হলেও কৌলিন্যের বিচারে তা কোনওভাবেই প্রথম সারির নয় ৷ ফলে মাঝের বছরগুলিতে ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গী শুধুই ব্যর্থতা ৷ সঙ্গে দোসর স্পনসরের সঙ্গে সংঘাত এবং চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাবের লাগাতার সাফল্য ৷ ফলে ক্রমাগত কোনঠাসা হচ্ছিল লাল-হলুদ শিবির ৷
কাট টু 2023: গত বছরের এপ্রিলে লাল-হলুদের দায়িত্ব নেন কুয়াদ্রাত ৷ বেসুরো ছন্দে বাজতে থাকা টিমে প্রাণ সঞ্চারের দায়িত্ব তাঁর বিশ্বস্ত কাঁধেই সঁপেছিল লাল-হলুদ ম্যানেজমেন্ট ৷ ভরসার দাম রেখেছেন কার্লেস ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পরেই চটকদারি মন্তব্য করেননি, ডার্বিতে বিধ্বস্ত হয়েও দমে যাননি ৷ মাটি কামড়ে পড়ে থেকেছেন ৷ অল্প আঁচে রান্না করার মতোই ধীরে ধীরে তৈরি করেছেন দলকে ৷ বাছাই করে বিদেশী এনেছেন ৷ ক্রমশ দলের বোঝাপড়া বাড়িয়েছেন ৷ তাঁর টোটকাতেই ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আনাচে-কানাচে এখন ধ্বনিত হচ্ছে, 'খেলে দেখুন, বদলে গেছে' ৷
সুপার কাপ: পিছিয়ে পড়ে প্রত্যাঘাত। আর তাতেই অন্ধকার সরিয়ে ট্রফির আলো । এক যুগ পরে সর্বভারতীয় মঞ্চে পোডিয়াম ফিনিশ ইস্টবেঙ্গল এফসির । কলিঙ্গ সুপার কাপের ফাইনালে ওড়িশা এফসিকে 3-2 গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ৷ সুরটা বাজছিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ৷ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে 3 গোলের মালা পরিয়ে সেমি-ফাইনাল ৷ শেষ চারে জামশেদপুরকে একপেশে ম্যাচে হারানো থেকে ফাইনালে বাজিমাত ৷ কুয়াদ্রাতের ছেলেরা যেন বলছে, 'পিকচার আভি বাকি হ্যায়...' ৷
আরও পড়ুন: