প্যারিস, 8 মে: প্যারিস সাঁ জা’র জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলে ফেললেন কিলিয়ান এমবাপে ৷ ঘরের মাঠে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বিরুদ্ধে 0-1 হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে গেল পিএসজি ৷ সেমিফাইনালের দুই লেগ মিলিয়ে 2-0 গোলে জিতে ফাইনালে উঠেছে জার্মানির ফুটবল ক্লাব ডর্টমুন্ড ৷ আগামী 1 জুন লন্ডনে তাদের মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা বায়ার্ন মিউনিখ ৷
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন জার্মান মিডফিল্ডার ম্যাট হুমেলস ৷ জুলিয়ান ব্র্যান্ডের কর্নার কিক হেডারে ডান দিকের বার দিয়ে জালে জড়িয়ে দেন তিনি ৷ ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে 50 মিনিটে সেই গোল পিএসজিকে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে দেয়নি ৷ ফরাসি ক্লাবের হয়ে শেষ মরশুম ছিল এটি এমবাপের ৷ তাই সকল ফ্যানদের আশা ছিল নিজের সেরাটা দেবেন তিনি ৷ বিশেষত, সেমিফাইনালের প্রথম লেগে অ্যাওয়ে ম্যাচ 0-1 গোলে হারার পর পিএসজিকে জেতাতে মরিয়া হয়ে উঠবেন তিনি ৷
কিন্তু, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপেকে চেনা ছন্দে দেখা যায়নি ৷ তবে, সুযোগ যে তিনি পাননি তা নয় ৷ ওয়ান-টু-ওয়ানে ডর্টমুন্ডের গোলকিপার গ্রেগর কোবলে এমবাপের লো-শট বাঁচিয়ে দেন ৷ অবধারিত গোল বাঁচিয়ে আগ্রাসনের সঙ্গে তা উদযাপন করতে দেখা যায় গ্রেগরকে ৷ ওয়ারেন জাইরে-এমেরি একটি সহজ সুযোগ মিস করেছেন ৷ ম্যাচের 48 মিনিটের মাথায় খালি গোলে জালে বল জড়াতে ব্যর্থ হন তিনি ৷ আর তার খনিকের মধ্যে ম্যাট হুমেলস কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বল স্কোরে পরিণত করেন ৷
দ্বিতীয়ার্ধে একাধিক সুযোগ তৈরি করেছিল প্যারিস সেরা ক্লাবটি ৷ কিন্তু, 2-0 এগ্রিগেডে এগিয়ে যাওয়ার পর রক্ষণে বাড়তি জোর দেয় বরুসিয়া ডর্টমুন্ট ৷ নিজেদের অর্ধে ভিড় বাড়িয়ে লং বলে খেলা শুরু করে ৷ এদিন ম্যাচ শেষে 'লন্ডন 24' লেখা টি-শার্ট পড়ে ডর্টমুন্ডের ফুটবলাররা সেলিব্রেশন শুরু করে ৷ আগামী 1 জুন লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনাল খেলতে নামবে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ৷ তাদের প্রতিপক্ষে থাকবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা বুন্দেশলিগায় ডর্টমুন্ডের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ ৷
উল্লেখ্য, এই মিউনিখের বিরুদ্ধে 2013 সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হারতে হয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ৷ আজ রাতে সেন্তিয়াগো বেনার্বাউয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের বিরুদ্ধে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ ৷ এর আগে বায়ার্নের ঘরের মাঠে 2-2 ড্র করে এসেছে রিয়াল ৷ মোট 14 বার রিয়াল মাদ্রিদ ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব জিতেছে ৷ অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখ ছ’বারের চ্যাম্পিয়ন ৷
আরও পড়ুন: