জলপাইগুড়ি, 7 এপ্রিল: 'কথা দিচ্ছি আগামী 4 জুনের পর দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে ৷' ধূপগুড়ির জনসভা থেকে রাজ্য়ের রেশন দুর্নীতি ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন প্রধানন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ এই দুই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে রাজ্য়ের শাসক শিবিরের বহু নেতা-মন্ত্রী বর্তমানে জেলে রয়েছেন ৷ এখনও তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি এবং সিবিআই ৷
লোকসভা নির্বাচনের আবহে সেই বিষয়টিকে নিয়ে ফের একবার রাজ্য়ের শাসক শিবিরকে আক্রমণ করেন মোদি ৷ সভায় উপস্থিত দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্য়ে তাঁর প্রশ্ন, "দেশ থেকে দুর্নীতি ঘোচাতে হবে তো ? রেশন ও শিক্ষক নিয়োগে অভিযুক্ত দুর্নীতিবাজদের সাজা পাওয়া উচিত তো ? তৃণমূলের দুর্নীতি ঘোচাতে হবে তো ?" এরপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, "কাউকে ছাড়া হবে না ৷"
তবে এদিন এখানেই থেমে থাকেননি প্রধানমন্ত্রী ৷ তাঁর কথায়, শিক্ষক নিয়োগে গরীব মানুষের পয়সা গিয়েছে ৷ সেই 3 হাজার কোটি টাকা এখন ইডি-র হেফাজতে রয়েছে ৷ 'সেই টাকা আমি ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব ৷' এরপরই তাঁর সংযোজন, "তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস এক এপরের দুর্নীতি বাড়াতে ইন্ডি জোট করেছে । আমি দুর্নীতিবাজদের সরানোর কথা বলি। ইন্ডিয়া জোটের নেতারা তাদের বাঁচাও বলে ।"
এদিনের জনসভার শুরু থেকে তৃণমূলকে নিশানা করে গিয়েছেন মোদি ৷ তাঁর কথায়, "রাজ্য়ে উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্রেক লাগিয়ে রেখেছে তৃণমূল সরকার ৷ গরীবের কথা ভেবে 30 হাজার কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে ৷ অথচ সমস্ত টাকা নিজেদের অ্য়াকাউন্টে পুরেছে তৃণমূল ৷" উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, " তৃণমুল গরীব বিরোধী সরকার। আয়ুষ্মান ভারত যোজনা লাগু করতে দিচ্ছে না । পিএম কিষান যোজনা করতেও দিচ্ছে না।"
এদিন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভার কয়েক ঘণ্টা আগে বকেয়া মেটানোর দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় নিউ ডুয়ার্স চা বাগানের শ্রমিকরা ৷ অথচ চা শ্রমিকদের উন্নয়নের কথাও উঠে এসেছে এদিন মোদির ভাষণে ৷ তাঁর কথায়, চা বাগানের সমস্যা হচ্ছে । উত্তরবঙ্গের চা বাগানের শ্রমিকরা বঞ্চিত । গোটা দেশের মধ্যে বাংলার চা বাগানের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ ৷ তৃণমূলের ছোট বড় নেতারা বড় বড় বাড়ি বানাচ্ছেন । চা বাগানের শ্রমিকদের প্রাপ্য সুবিধা দিচ্ছেন না।" বলে দাবি মোদির ৷
আরও পড়ুন: