কলকাতা, 16 এপ্রিল: প্রথম দফার নির্বাচনে রাজ্যে থাকছে 277 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ সেইসঙ্গে 10 শতাংশ বুথ থেকেই ওয়েব কাস্টিংয়ের চেষ্টা করা হবে ৷ '24-এর লোকসভা নির্বাচন শুরুর 72 ঘণ্টা আগে ঘোষণা করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷
19 এপ্রিল থেকে দেশজুড়ে শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন ৷ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না নির্বাচন কমিশন ৷ কড়া নিরাপত্তার চাদরে চলবে ভোটগ্রহণ পর্ব ৷ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, যে সমস্ত বুথে ওয়েব কাস্টিং করা যাবে না, সেখানে সিসিটিভি রেকর্ডিং-এর ব্যবস্থা করা হবে । এছাড়াও থাকবে স্যাটেলাইট ফোনের পরিষেবা ।
হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন । তারপরেই রাজ্য তথা দেশে প্রথম দফার নির্বাচন । রাজ্যে 19 এপ্রিল প্রথম দফার নির্বাচন হবে কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে । এই মুহূর্তে 277 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে । তবে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে আরও 22 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন করা হবে । 20 এপ্রিলের মধ্যেই তাঁরা রাজ্যে এসে পৌঁছে যাবে । এই বাড়তি বাহিনীর মধ্যে 9 কোম্পানি আসছে সিকিম থেকে এবং 13 কোম্পানি আসছে মেঘালয় থেকে । অর্থাৎ রাজ্যে ভোটের দায়িত্বে মোট 299 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন ৷
26 এপ্রিল হবে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন ৷ এই দফায় ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে বালুরঘাট ও দার্জিলিংয়ে । প্রতিটি বুথেই থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী ৷ 272 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হবে এই দফায় ৷
বাকি ফোর্স মোতায়ন করা হবে:
দক্ষিণ দিনাজপুর - 73 কোম্পানি
রায়গঞ্জ - 60 কোম্পানি
ইসলামপুর - 51 কোম্পানি
দার্জিলিং - 51 কোম্পানি
শিলিগুড়ি - 21 কোম্পানি
কালিম্পং - 16 কোম্পানি
এছাড়া, স্ট্রং রুমের নিরাপত্তার জন্যও রাখা হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ৷ ভোট পরবর্তী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থেও ব্যবহার করা হবে তাঁদের ।
দ্বিতীয় পর্বের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে:
মালদা - 3 কোম্পানি
মুর্শিদাবাদ - 3 কোম্পানি
জঙ্গিপুর - 2 কোম্পানি
কৃষ্ণনগর - 1 কোম্পানি
সেইসঙ্গে প্রতিটি বুথে থাকছে মাইক্রো অবজারভার ৷
রাজ্যে নির্বাচন চলাকালীন হিংসা কিংবা ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নতুন কিছু নয় ৷ পঞ্চায়েত হোক কিংবা বিধানসভা শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে ভোট রিগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে বার বার ৷ উলটো দিকে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছে শাসক শিবিরও ৷ তবে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চাইছে না কমিশন ৷ কমিশনের তরফে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ সুপারদের কড়া নির্দেশ, যে পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হচ্ছে সকলকেই যেন নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা হয় ৷
আরও পড়ুন: