বর্ধমান, 26 এপ্রিল: দিলীপ ঘোষের রোড শোতে গো-ব্যাক স্লোগান দিল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা । পালটা বিজেপির পক্ষ থেকে উঠল 'চোর চোর' স্লোগান, যা নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমানের কাঞ্চননগর এলাকা । যদিও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় কোনও গণ্ডগোল হয়নি । তবে তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ারি দিতে ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ ৷ তাঁর কথায়, "যারা লুটপাঠ করেছে হয় তাদের কাছ থেকে সব কিছু সুদ সমেত আদায় করব, নয় তো বর্ধমান ছাড়া করব ।"
শুক্রবার বর্ধমান শহরের আঁকরবাগান মোহন্তস্থল এলাকার হোমিওপ্যাথি কলেজ থেকে উত্তম কুমার স্ট্যাচু পর্যন্ত রোড শো করেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ । পরে বর্ধমান উত্তর বিধানসভা এলাকার বেলকাশ অঞ্চলের উদয়পল্লি বাজার হয়ে উদয়পল্লি বাঁধ পর্যন্ত রোড শো চলে তাঁর । রোড শোতে বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ হুডখোলা গাড়িতে চেপে রাস্তার দু'পাশে ফুল ছুঁড়তে শুরু করেন । গাড়িটি বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের বাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শাসকদলের কর্মীরা গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করে । পালটা বিজেপি কর্মী সমর্থকেরা চোর চোর স্লোগান দেয় । ফলে একটা উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয় । যদিও পুলিশ দুই পক্ষকেই সামাল দেওয়ায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি ।
এ দিন হুডখোলা গাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষ গো ব্যাক স্লোগান প্রসঙ্গে বলেন, "আমি বলে দিয়েছি, 'হাতি চলে বাজার তো কুত্তা ভোকে হাজার' । বাজারে হাতি চললে কুকুরে তো চিৎকার করবেই ! ফলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই । আমি যেদিন থেকে রাজনীতি করছি, ততদিন এই ধরনের স্লোগান শুনছি ।" পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ সেই প্রসঙ্গে এ দিন তিনি বলেন, "রাজনৈতিক নেতারা সেভাবে লড়াই করবে । তদন্ত হবে । রাজনৈতিক হত্যা পশ্চিমবঙ্গ বা মেদিনীপুরে প্রথম নয় । এখনও সেটা চলছে । এর প্রতিকার হওয়া উচিত ।"
বিধানসভা নির্বাচনের পরে উদয়পল্লি এলাকায় বিজেপি কর্মীদের উপরে হামলা ঘটনার অভিযোগ ওঠে । সেই প্রসঙ্গে এ দিন তৃণমূল কংগ্রেসকে হুঁশিয়ার করে দেন দিলীপ ঘোষ । তিনি বলেন, "দিলীপ ঘোষ কঠিন জায়গা থেকে সরল কাজ শুরু করে । তাই বার্তা দিতে এসেছি, এলাকা কারও নয় । এখন দিলীপ ঘোষের এলাকা । এলাকার মহিলারা মিষ্টি জল মালা বিতরণ করছে । আর আমি লজেন্স দিচ্ছি । এই এলাকায় আমাদের কর্মীদের দোকান লুঠ করা হয়েছিল । তাই আমি ওখান থেকেই জবাব দেব । পাই-পাই সেই জবাব দেব । কারা লুঠ করেছে সেটাও জানি । সব ব্যাটাদের কাছ থেকে সুদ সমেত সব আদায় করব । আর না হলে বর্ধমান ছাড়া করব ।"
তাঁর কথায়, "আমি মিডিয়ার সামনে বলছি । এই এলাকায় বেশিরভাগ গুণ্ডাদের জায়গা । ভদ্রলোকেরা বের হয় না । কিছু বলে না । কিছু ছিঁচকে চোর সমাজ বিরোধী আজ নেতা হয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে । দিলীপ ঘোষ সব কড়ায় গণ্ডায় আদায় করবে । ভোটের পরে আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙা হয়েছে । দোকান লুঠ করে তালা দেওয়া হয়েছে । তার জবাব দিতে আমি এসেছি । বাড়ি বিক্রি করে সব আদায় করাব ।"
আরও পড়ুন: