কলকাতা, 29 ফেব্রুয়ারি: শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল ৷ গ্রেফতারির পরই ছয় বছরের জন্য শেখ শাহজাহানকে সাসপেন্ড করল রাজ্যের শাসকদল ৷ পাশাপাশি বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদিকেও টার্গেট করল তৃণমূল ৷
এদিন সকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার ৷ তিনি জানান, বুধবার রাতে মিনাখা থেকে শেখ সাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ এদিন সকালে বসিরহাট আদালতে পেশ করা হয় শাহজাহানকে ৷ আর তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দল থেকে শাহজাহানকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল ৷ এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ডেরেক ওব্রায়েন বলেন, "আদালত ছাড়পত্র দেওয়ার পরই তৃণমূল শাহজাহানকে সাসপেন্ড করেছে। বিজেপি কি সেই সাহস দেখাতে পারবে ? তাদের দলে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস কি দেখাবে বিজেপি ?"
একই সঙ্গে, তৃণমূল নেতা ডেরেক প্রশ্ন তুলেছেন, "কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারিতে এত অনিহা কেন ? সেই জন্যেই আদালতে আরও বেশি সময় চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ঠিক যেভাবে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে গ্রেফতার করেছিল এই সরকার একইভাবে শাজাহানকেও গ্রেফতার করল সরকার। শম্ভুনাথ কাউ থেকে শুরু করে আরাবুল এবং আজ শাজাহান, রাজধর্ম পালনে যে দৃষ্টান্ত তৈরি করল রাজ্য সরকার তেমনটা অন্য কেউ দেখাতে পারবে কি ? দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ, তিনি যদি এই সত্যটা আদালতের সামনে না আনতেন, তাহলে আজকে শাজাহানকে গ্রেফতার সম্ভব হত না। তৃণমূল প্রশাসনে গণতন্ত্র চালায় না ৷ দল আলাদা চলে, সরকার আলাদা চলে ৷"
পাশাপাশি এদিন ডেরেক বলেন, "নীরব মোদি, মেহুল চোকসি এরা সকলেই ফেরার, পলাতক ৷ নারায়ণ রানে, হেমন্ত বিশ্ব শর্মা, শুভেন্দু অধিকারী, ব্রিজ ভূষণ তাদের সাসপেন্ড করেছেন মোদি ?"
আরও পড়ুন
শাহজাহানের গ্রেফতারি নিয়ে ঝাড়গ্রামের সভায় 'চুপ' মমতা
তথ্যপ্রমাণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ ইডি
ইডির উপর হামলার ছক কে কষেছিল, শাহজাহানের থেকে জানতে চায় সিআইডি