কলকাতা, 17 এপ্রিল: সন্দেশখালি 1 নম্বর ব্লকে বড় সভা হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ মুহূর্তে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে তা বাতিল করল তৃণমূল ৷ তার বদলে আগামিকাল তৃণমূলের দুই মন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আরও একবার সন্দেশখালি যাচ্ছে ৷ রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক এবং সুজিত বসু রবিবার সন্দেশখালি যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। মূলত এরা সন্দেশখালির ভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করবেন ৷ তাঁদের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করবেন ৷ সেই মতো ফিরে এসে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব একটি রিপোর্ট দেবেন তাঁরা ৷ অন্যদিকে, তৃণমূল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে বাতিল হওয়া সভাটি হবে মার্চ মাসের 3 তারিখ।
এর আগে অশোকনগরের বিধায়ক তথা উত্তর 24 পরগনা সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামীকে নিয়ে সন্দেশখালি গিয়েছিলেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ৷ তখনই তাঁরা ঘোষণা করেছিলেন 18 ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি থেকে 144 ধারা উঠে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস একটি সভা করবে ৷ যেখানে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, ব্রাত্য বসু-সহ এক ঝাঁক নেতা মন্ত্রীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল ৷ কিন্তু, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে এই সভা হচ্ছে না বলে আজ জানিয়েছে তৃণমূল ৷
তবে, সভা না হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে বলে দেওয়া হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মিটে গেলে, কোর কমিটির সদস্যরা সন্দেশখালিতে একটি বড় সভা করবে ৷ শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়েছে, যেখানে স্থানীয় মানুষদের হাজির করে, সন্দেশখালি নিয়ে চলা মিথ্যাচারের পর্দা ফাঁস করা হবে ৷ উল্লেখ্য, গত 10 ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে 1 ও 2 নম্বর ব্লকে 144 ধারা জারি করে বসিরহাট পুলিশ প্রশাসন ৷ কিন্তু, দু’দিন পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে 144 ধারা তুলে নিতে হয় পুলিশকে ৷ বদলে আদালতের নির্দেশে অশান্ত এলাকার তালিকা তৈরি করে সন্দেশখালি 2 ব্লকের 19টি জায়গায় 144 ধারা জারি করা হয়েছে ৷
গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি এই সন্দেশখালি ইস্যুতেই ৷ সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে, জমি দখল, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থকদের চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ৷ শুধু রাজ্যই নয়, জাতীয় ক্ষেত্রেও এই মুহূর্তে সন্দেশখালি আলোচনার বিষয় ৷ আর সেই জায়গা থেকে নিজেদের জমি উদ্ধারে নেমেছে তৃণমূল ৷ রাজনৈতিকমহলের মতে, সেই দিক থেকে সভা বাতিল করে দুই মন্ত্রীকে দিয়ে আগে সন্দেশখালির পরিস্থিতি যাচাই করতে চাইছে তৃণমূল ৷
আরও পড়ুন: