ETV Bharat / politics

মমতাকে কালিমালিপ্ত করলে হাত মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা, আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি অরূপ চক্রবর্তীর - Arup Chakraborty

Arup Chakraborty: আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে সরব সারা রাজ্য ৷ এই নিয়ে আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি দিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী ৷ তাঁর কথায়, মমতাকে কালিমালিপ্ত করলে হাত মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা ৷

Arup Chakraborty
বাঁকুড়ার সাংসদ তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তী (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 19, 2024, 3:06 PM IST

বাঁকুড়া, 19 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে ব্যাকফুটে শাসক ৷ জনবিক্ষোভের আঁচ প্রশমিত করতে পথে নামতে হয়েছে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ পরিস্থিতি যে সুবিধের নয়, তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি তাঁর ৷ কিন্তু তাঁর দলের লোকজন কি তা বুঝতে পারছেন ? অন্তত বাঁকুড়ার সাংসদ, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর কথাবার্তা শুনে তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বোধসম্পন্ন মানুষজন ৷

মমতাকে কালিমালিপ্ত করলে হাত মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা, আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি অরূপ চক্রবর্তীর (ইটিভি ভারত)

রবিবার বিকেলে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় মঞ্চ থেকে অরূপবাবুর হুঁশিয়ারি, যে তাঁর নেত্রী কিংবা রাজ্য সরকারের গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করবে, তার হাত মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা ৷ যে সময় চিকিৎসক পড়ুয়ার নৃশংস পরিণতি নিয়ে ক্ষোভের আগুনে ফুটছে সারা রাজ্য, সেই সময় বর্ষীয়ান এই সাংসদের এই হুঁশিয়ারি মানুষের ক্ষোভের সেই আগুনে ঘি ঢালল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

মমতার নির্দেশেই রবিবার সারা রাজ্যজুড়ে আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয় তৃণমূল ৷ গ্রাম থেকে শহরে সংগঠিত হয় মিছিল ৷ নেত্রীর নির্দেশ মেনে বাঁকুড়া শহরের হিন্দু স্কুল মাঠ থেকে মাচানতলা পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা ৷ মিছিল শেষ হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলায় ৷ সেখানেই মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন সাংসদ অরূপ ৷ তিনি আবার দলের বাঁকুড়া জেলার সভাপতিও ৷

বক্তব্যে ঠিক কী বলেছেন সাংসদ ! তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কারও দয়ায় ক্ষমতায় এসেছেন নাকি ? জনগণের আশীর্বাদ, ভালোবাসা নিয়ে তিনি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ তাঁর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করবেন না ৷ হাতটা মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা ৷ মিথ্যে অপপ্রচার ছড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যারাই অভিযোগ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কঠোর হতে হবে ৷ আমরা কোনোদিন বলিনি, এবার বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলার নেত্রী, বাংলার সরকার বা তৃণমূলের নামে যারা মিথ্যে অপপ্রচার করে, তাদের আর রেহাই মিলবে না ৷ আর রবীন্দ্র সংগীত বাজবে না ৷ একথা আপনাদের বুঝিয়ে দিতে হবে ৷”

এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি অরূপ ৷ তিনি চিকিৎসক ও পুলিশকেও ওই মঞ্চ থেকে একহাত নিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, “আমার কাছে খবর আছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারবাবুরা ধরনার নাম করে বেড়াতে যাচ্ছেন ৷ ধরনার নাম করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন ৷ ডাক্তারি করছেন না ৷ এসব করবেন না ৷ সিনিয়ার ডাক্তারদের বলব, যেসব রোগী ভর্তি আছে, তাদের কাছে যান ৷ পুলিশকে সতর্ক করে বলছি, আইনমাফিক কাজ করুন ৷ ব্যাং আর সাপের মুখে একসঙ্গে চুমু খাবেন না ৷ বিজেপি-সিপিএমকে মিটিং মিছিল করে দেওয়ার সুযোগ বেশিদিন চলবে না ৷ মনে রাখবেন, আপনাদের রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করতে হবে ৷”

সাংসদের ভাষায়, “কুলাঙ্গারের দল সিপিআইএম আর বিজেপি মা-বোনদের সুরসুড়ি দিয়ে রাস্তায় বের করছে ৷ সেই মায়েদের ধন্যবাদ ৷ কারণ, তাঁরা হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন ৷ যাঁরা আন্দোলন ও প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ ৷ প্রতিবাদ করা মানুষের কর্তব্য ৷ কিন্তু প্রতিবাদের নামে সিপিএম ঘোলা জলে তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করছে ৷ এটা বন্ধ করতে হবে ৷ সিবিআই তদন্ত না করলে আরও ভালো হতো ৷ সিবিআই আসায় কেসটা দেরি হবে ৷ সেটাই চাইছে বিজেপি আর সিপিআইএম ৷”

সম্প্রতি মহিলা ফরেস্ট রেঞ্জারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন অখিল গিরি ৷ আরজি কর কাণ্ডে বেসুরো হয়ে নেতৃত্বের বিরাগভজন হয়েছেন শান্তনু সেন-সহ আরও কয়েকজন ৷ এসব সিদ্ধান্তে ঠারেঠোরে তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের সমর্থন অক্ষুন্ন রাখতে তিনি এখন রাফ ও টাফ ৷ কিন্তু সুরে গাওয়ার পরও বাঁকুড়ার সাংসদকে এর মূল্য চোকাতে হবে না তো ? প্রশ্নটা কিন্তু উঠেই যাচ্ছে ৷

বাঁকুড়া, 19 অগস্ট: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে ব্যাকফুটে শাসক ৷ জনবিক্ষোভের আঁচ প্রশমিত করতে পথে নামতে হয়েছে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৷ পরিস্থিতি যে সুবিধের নয়, তা বুঝতে অসুবিধে হয়নি তাঁর ৷ কিন্তু তাঁর দলের লোকজন কি তা বুঝতে পারছেন ? অন্তত বাঁকুড়ার সাংসদ, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তীর কথাবার্তা শুনে তেমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বোধসম্পন্ন মানুষজন ৷

মমতাকে কালিমালিপ্ত করলে হাত মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা, আন্দোলনকারীদের হুঁশিয়ারি অরূপ চক্রবর্তীর (ইটিভি ভারত)

রবিবার বিকেলে বাঁকুড়া শহরের মাচানতলায় মঞ্চ থেকে অরূপবাবুর হুঁশিয়ারি, যে তাঁর নেত্রী কিংবা রাজ্য সরকারের গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করবে, তার হাত মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা ৷ যে সময় চিকিৎসক পড়ুয়ার নৃশংস পরিণতি নিয়ে ক্ষোভের আগুনে ফুটছে সারা রাজ্য, সেই সময় বর্ষীয়ান এই সাংসদের এই হুঁশিয়ারি মানুষের ক্ষোভের সেই আগুনে ঘি ঢালল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷

মমতার নির্দেশেই রবিবার সারা রাজ্যজুড়ে আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয় তৃণমূল ৷ গ্রাম থেকে শহরে সংগঠিত হয় মিছিল ৷ নেত্রীর নির্দেশ মেনে বাঁকুড়া শহরের হিন্দু স্কুল মাঠ থেকে মাচানতলা পর্যন্ত মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা ৷ মিছিল শেষ হয় শহরের প্রাণকেন্দ্র মাচানতলায় ৷ সেখানেই মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন সাংসদ অরূপ ৷ তিনি আবার দলের বাঁকুড়া জেলার সভাপতিও ৷

বক্তব্যে ঠিক কী বলেছেন সাংসদ ! তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি কারও দয়ায় ক্ষমতায় এসেছেন নাকি ? জনগণের আশীর্বাদ, ভালোবাসা নিয়ে তিনি তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷ তাঁর গায়ে কালি লাগানোর চেষ্টা করবেন না ৷ হাতটা মুচড়ে দেবে তৃণমূল কর্মীরা ৷ মিথ্যে অপপ্রচার ছড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে যারাই অভিযোগ করবে, তাদের বিরুদ্ধে আপনাদের কঠোর হতে হবে ৷ আমরা কোনোদিন বলিনি, এবার বলতে বাধ্য হচ্ছি, বাংলার নেত্রী, বাংলার সরকার বা তৃণমূলের নামে যারা মিথ্যে অপপ্রচার করে, তাদের আর রেহাই মিলবে না ৷ আর রবীন্দ্র সংগীত বাজবে না ৷ একথা আপনাদের বুঝিয়ে দিতে হবে ৷”

এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি অরূপ ৷ তিনি চিকিৎসক ও পুলিশকেও ওই মঞ্চ থেকে একহাত নিয়েছেন ৷ তাঁর দাবি, “আমার কাছে খবর আছে, বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারবাবুরা ধরনার নাম করে বেড়াতে যাচ্ছেন ৷ ধরনার নাম করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন ৷ ডাক্তারি করছেন না ৷ এসব করবেন না ৷ সিনিয়ার ডাক্তারদের বলব, যেসব রোগী ভর্তি আছে, তাদের কাছে যান ৷ পুলিশকে সতর্ক করে বলছি, আইনমাফিক কাজ করুন ৷ ব্যাং আর সাপের মুখে একসঙ্গে চুমু খাবেন না ৷ বিজেপি-সিপিএমকে মিটিং মিছিল করে দেওয়ার সুযোগ বেশিদিন চলবে না ৷ মনে রাখবেন, আপনাদের রাজ্য সরকারের অধীনে চাকরি করতে হবে ৷”

সাংসদের ভাষায়, “কুলাঙ্গারের দল সিপিআইএম আর বিজেপি মা-বোনদের সুরসুড়ি দিয়ে রাস্তায় বের করছে ৷ সেই মায়েদের ধন্যবাদ ৷ কারণ, তাঁরা হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন ৷ যাঁরা আন্দোলন ও প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ ৷ প্রতিবাদ করা মানুষের কর্তব্য ৷ কিন্তু প্রতিবাদের নামে সিপিএম ঘোলা জলে তৃণমূলের দিকে আঙুল তোলার চেষ্টা করছে ৷ এটা বন্ধ করতে হবে ৷ সিবিআই তদন্ত না করলে আরও ভালো হতো ৷ সিবিআই আসায় কেসটা দেরি হবে ৷ সেটাই চাইছে বিজেপি আর সিপিআইএম ৷”

সম্প্রতি মহিলা ফরেস্ট রেঞ্জারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে মন্ত্রিত্ব হারিয়েছেন অখিল গিরি ৷ আরজি কর কাণ্ডে বেসুরো হয়ে নেতৃত্বের বিরাগভজন হয়েছেন শান্তনু সেন-সহ আরও কয়েকজন ৷ এসব সিদ্ধান্তে ঠারেঠোরে তৃণমূলনেত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, মানুষের সমর্থন অক্ষুন্ন রাখতে তিনি এখন রাফ ও টাফ ৷ কিন্তু সুরে গাওয়ার পরও বাঁকুড়ার সাংসদকে এর মূল্য চোকাতে হবে না তো ? প্রশ্নটা কিন্তু উঠেই যাচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.